লাতিন ভাষা শিক্ষা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Rahul amin roktim (আলোচনা | অবদান)
বিষয়শ্রেণী:ভাষা অনুযায়ী বর্ণমালা যোগ হটক্যাটের মাধ্যমে
Muhammad (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
লাতিন ভাষা (lingua Latina) ইতালীয় গ্রুপের একটি ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা যা থেকে আধুনিক সবগুলো রোমান্স (Romance) ভাষার (ইতালীয়, স্পেনীয়, পর্তুগিজ, ফরাসি) জন্ম হয়েছে। শুরুতে শুধুমাত্র ইতালির তিবেরিস (Tiberis) নদীর দুই পাশে, অর্থাৎ রোম নগরীর আশপাশে, বসবাসকারী একটি ছোট্ট গোষ্ঠী এই ভাষায় কথা বলত; এই অঞ্চল থেকে ভাষাটি প্রথমে ইতালির সর্বত্র, এবং পরে, রোমানদের আধিপত্যের যুগে, গোটা ইউরোপে ও ভূমধ্যসাগরের পশ্চিম উপকূলাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। রোমান সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ লাতিনের বিভিন্ন রূপে কথা বলত, যে-কারণে বর্তমান রোমান্স ভাষাগুলো শুনতে এত আলাদা লাগে। মাত্র কয়েকশ' বছর আগ পর্যন্তও পাশ্চাত্যে শিক্ষাদীক্ষার প্রধান মাধ্যম ছিল লাতিন; নিউটন এবং স্পিনোজার মতো মানুষদেরকেও বই লিখতে হয়েছে লাতিনে, এবং এখনও রোমান ক্যাথলিক চার্চের অনেক অনুষ্ঠান লাতিনে সম্পাদিত হয়। এখন পর্যন্ত লাতিন ভাষার প্র্রাচীনতম যে-নিদর্শনটি পাওয়া গেছে তা খ্রিস্টপূর্ব ৭ম শতাব্দীর।
 
বাংলার যেমন আমরা সাধু, চলিত, আঞ্চলিক এই তিন রূপ পাই, অনেকটা তেমনি ক্লাসিকেল যুগে লাতিনের তিন রূপ ছিল: ধ্রুপদী লেখ্য, ধ্রুপদী কথ্য, এবং সাধারণ কথ্য। সাহিত্য লেখা হতো ধ্রুপদী লেখ্য রূপে, অভিজাত ব্যক্তিবর্গ, যেমন রাজনীতিবিদরা ভাষণ দিতেন ধ্রুপদী কথ্য রূপে, আর সাধারণ মানুষ কথা বলত সাধারণ কথ্য রূপে। এই সাধারণ কথ্য রূপটিই ''ভালগার লাতিন'' নামে পরিচিত হয় এবং ধীরে ধীরে রোমান্স ভাষাগুলোতে রূপলাভ করে। তৃতীয় শতাব্দী থেকে শুরু করে ভালগার রূপেও অনেক কিছু লিখিত হতে থাকে, যদিও চতুর্থ শতাব্দীতেও সন্ত অগাস্টিন ধ্রুপদী, অভিজাত রূপ ব্যবহার করে লিখেছেন।
 
এই বইয়ে মূলত ''ধ্রুপদী লেখ্য'' লাতিন শেখানো হবে।
 
===সূচনা===
*[[লাতিন/ল্যাটিন বর্ণমালা]]