[[Fileচিত্র:EN English Language Symbol ISO 639-1 IETF Language Tag Icon.svg|thumbথাম্ব|leftবাম|uprightডানে_উপরে|EN ([[ISO 639]]-1)]]
[[১০৬৬]] সালে উত্তর [[ফ্রান্স|ফ্রান্সের]]ের [[নরমঁদি]] অঞ্চলে বসবাসকারী [[নর্মান জাতি]] [[ইংলিশ চ্যানেল]] পাড়ি দিয়ে [[ইংল্যান্ড]] আক্রমণ করে। নর্মানদের ইংল্যান্ড বিজয়ের পর প্রায় ৩০০ বছর ধরে নর্মান বংশোদ্ভূতরাই ইংল্যান্ড শাসন করেছে। এসময় রাজকীয় ও প্রশাসনিক কাজকর্ম কেবল নর্মানদের কথ্য এক ধরনের প্রাচীন [[ফরাসি ভাষা|ফরাসি ভাষায়]]য় সম্পন্ন হত। এই যুগে বিপুল পরিমাণ ফরাসি শব্দ প্রাচীন ইংরেজি ভাষায় আত্তীকৃত হয়ে যায়, ইংরেজি ভাষার বেশিরভাগ বিভক্তি লুপ্ত হয় এবং এর ফলস্বরূপ [[মধ্য ইংরেজি ভাষা|মধ্য ইংরেজি ভাষার]]র আবির্ভাব ঘটে। প্রাচীন ও মধ্য ইংরেজির সবচেয়ে বিখ্যাত সাহিত্যকর্মের মধ্যে আছে ''[[বেওউল্ফ]]'' এবং [[চসার|চসারের]]ের ''[[দ্য ক্যান্টারবেরি টেলস]]''।
[[১৫০০]] সালের দিকে বিরাট স্বরধ্বনি সরণ সংঘটিত হয় এবং [[আধুনিক ইংরেজি|আধুনিক ইংরেজির]]র উদ্ভব ঘটে। [[উইলিয়াম শেক্স্পিয়ার|শেক্সপিয়ারের]] রচনাসহ আধুনিক ইংরেজি সাহিত্যের পুরোটাই এই আধুনিক ইংরেজিতে লেখা। [[এথ্নোলগ]] অনুসারে ইংরেজি ভাষার মাতৃভাষীর সংখ্যা প্রায় ৩৪ কোটি। মাতৃভাষীর সংখ্যা অনুযায়ী ইংরেজির স্থান [[ম্যান্ডারিন]], [[হিন্দি]] ও [[স্পেনীয় ভাষা|স্পেনীয় ভাষার]]র পরেই।
প্রথমে [[ইংল্যান্ড]] ও পরে [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের]]ের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাবের কারণে বিশ্বের অন্য যেকোনো ভাষার চেয়ে ইংরেজিই বেশি বিস্তার লাভ করেছে। ইংরেজি প্রায় ৫২টি দেশের জাতীয় বা সরকারি ভাষা। বিশ্বের [[ইন্টারনেট]] ব্যবহারকারী জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশই ইংরেজিভাষী। আধুনিক যোগাযোগে ও বিভিন্ন পেশায় ইংরেজির ব্যাপক ব্যবহারের কারণে এটি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অধীত [[দ্বিতীয় ভাষা]]। সংস্কৃতি ও প্রযুক্তির নতুন নতুন আন্তর্জাতিক পরিভাষার অধিকাংশই ইংরেজি থেকে এসেছে।