উইকিশৈশব:সৌরজগৎ/বুধ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
৪৪ নং লাইন:
== বুধগ্রহের আবিষ্কারক কে? ==
[[File:MESSENGER.jpg|thumb|300px|left|কম্পিউটার দ্বারা নির্মিত বুধের চারদিকে ম্যাসেঞ্জার মহাকাশযান আবর্তনের প্রতীকী চিত্র]]
বুধ গ্রহের উপস্থিতি আবিষ্কারক কে তথ্য সঠিক কারো জানা নেই কিন্তু প্রথম জানা নথিভূক্ত পর্যবেক্ষণ বলা যেতে পারে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার বছর পূর্বে তথা খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতাব্দীর অ্যাসাইরিয়ার মাটির ট্যাবলেট। সম্ভবত এটিই ছিল বুধের গতিবিধি সম্পর্কিত একটি তথ্যবহুল নিবন্ধ আকার। এই ট্যাবলেট গুলিতে বুধকে (ভাষান্তরে) ''দ্য জাম্পিং প্লানেট'' বলে অভিহিত করা হয়েছে। প্রায় সমস্ত প্রাচীন সভ্যতায় বুধের আলাদা আলাদা নিজস্ব লিখিত নিবন্ধিত নাম রয়েছে।
১৬৩৯ সালে এক ইতালীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী গিওভান্নি জুপি লক্ষ্য করেন পৃথিবীর চারদিকে ঘোরার জন্য চাঁদের যেমন চন্দ্রকলা তৈরি হয় বুধেরও ঠিক তেমনিই সূর্যের চারদিকে ঘোরার কারণে একাধিক পর্যায় রয়েছে। এই তথ্য প্রমাণ করে সূর্যের চারদিকে বুধের একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথ অবশ্যই রয়েছে, এই ধারণাটি ছিল সেই সময়ে একেবারে নতুন পর্যবেক্ষণ, যদিও তার এক শতাব্দী পূর্বে জ্যোতির্বিজ্ঞানী কোপার্নিকাস অনুরূপ ধারণার সূত্রপাত করেছিলেন।
বিংশ শতাব্দীর পূর্বে প্রতিটি জ্যোতির্বিজ্ঞানীর কাছে বুধের আর্নিক এবং বার্ষিক গতি সম্বন্ধীয় একাধিক জিজ্ঞাস্য অস্পষ্ট ছিল। ১৯৬২ সালে কিছু জ্যোতির্বিজ্ঞানী এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বুধে রাডার সিগনাল প্রেরণ করেন, যা ৫৯ দিন পর আমার পৃথিবীপৃষ্ঠে ফেরত আসে, অর্থ বুধঃ সূর্যের চারদিকে আবর্তিত হতে ৫৯ দিন অতিবাহিত করে।
যেহেতু বুধ সূর্যের খুব কাছাকাছি অবস্থিত এবং পৃথিবীর তুলনায় এই গ্রহটি সূর্যকে অধিক দ্রুত আবর্তন করে তাই পৃথিবী থেকে বুধে কোনো ''স্পেস প্রোব'' (মহাকাশ পরীক্ষক যান) প্রেরণ করা সহজ কাজ নয়। কোন স্পেস প্রোবকে বুধের চারিদিকে ঘোরার জন্য বুধের মাটিতে অবস্থান করার জন্য বুধের গতিতে ওই প্রোবটিকে ক্রমধাবমান করবার প্রয়োজন ছিল যা অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ সাপেক্ষ। ১৯৭৩ সালে দুধের গঠন পরিমাপ এবং এর পৃষ্ঠতলের অনুমান পাওয়ার জন্য মারিনার ১০ স্পেস প্রোব পাঠানো হয়। যেহেতু বুধকে প্রদক্ষিণ করা যথেষ্ট ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়াবে তাই এই মহাকাশ পরীক্ষক যান বুধের বদলে সূর্যের চারদিকে ঘোরা শুরু করে ও যতবার এটি বুধের নিকটতম অবস্থানে আসে ততবার ছবি সংগ্রহ করতে থাকে। দুর্ভাগ্যবশত বুধের ৪৫% পৃষ্ঠতলের চিত্রাঙ্কণ করার পর মারিনার ১০-এর জ্বালানি শেষ হয়ে যায়। তবে একটি বুধের লৌহসমৃদ্ধ কেন্দ্র এবং চৌম্বক ক্ষেত্রের উপস্থিতি আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়। ২৯ বছর পর ২০০৪ সালে মেসেঞ্জার নামে আরেকটি প্রোব উৎক্ষেপণ করা হয়। মেসেঞ্জারের উদ্দেশ্য ছিল বুধের উপরিতল, মহাকাশ পরিবেশ, ভূ-রসায়ন ও গ্রহ সংক্রান্ত শ্রেণীবিন্যাসের বিভিন্ন তথ্য প্রেরণ করা। মেসেঞ্জার একটি বিশেষ জটিল পথে অধিক জ্বালানি খরচ না করে ধীরে ধীরে বুধের গতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিজের গতি বৃদ্ধি করার ক্ষমতা রাখে। এটি বুধকে এখন অবধি তিনবার অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে ও উৎক্ষেপণের ৬ বছরের মধ্যে বুধের কক্ষপথের চারদিকে অবস্থান করতে সফল হয়েছে। ২০১৩ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মেসেঞ্জার বুধের উপরিতলের ১০০% চিত্রাঙ্কন করতে পেরেছে।
== কার নামে বুধগ্রহের নামকরণ করা হয়েছে? ==
|