সংস্কৃত ভাষা/ব্যাকরণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
কসমেটিক পরিবর্তন
Obangmoy (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১০ নং লাইন:
* প্রাতিপদিকের সঙ্গে 'সুপ্' বা নাম বিভক্তি যুক্ত হয়ে ''নামপদ'' বা ''সুবন্ত শব্দ'' তৈরি করে। যেমন: নর (প্রাতিপদিক) + সু (নাম বিভক্তি) = নরঃ (নামপদ)।
 
* ধাতুর সঙ্গে 'তিঙ্' বা ক্রিয়া বিভক্তি যুক্ত হয়ে ''ক্রিয়াপদ'' বা ''তিঙন্ত শব্দ'' তৈরি করে। যেমন: ভূ (ধাতু) + তি (ক্রিয়া বিভক্তি) = ভবতি (ক্রিয়াপদ)।
 
* বাক্যে প্রয়োগের সময় নামপদের সঙ্গে বিভক্তি ('সুপ্') ছাড়াও তাঁর ''বচন'' (এক, দ্বি, বহু) ও ''লিঙ্গ'' (পুং, স্ত্রী, ক্লীব) যোগ করা হয়। [নির্দিষ্ট লিঙ্গ অনুযায়ী বিভক্তি ও বচন যোগে প্রাতিপদিকের পরিবর্তিত রূপগুলিকে '''শব্দরূপ''' বলে।]
 
* ক্রিয়াপদের সঙ্গে বিভক্তি ('তিঙ্') ছাড়াও তাঁর ''বচন'' (এক, দ্বি, বহু) ও ''পুরুষ'' (উত্তম, মধ্যম, প্রথম) যোগ করা হয়। [নির্দিষ্ট পুরুষ অনুযায়ী বিভক্তি ও বচন যোগে ধাতুর পরিবর্তিত রূপগুলিকে '''ধাতুরূপ''' বলে।]
 
* ''প্রাতিপদিকের নির্দিষ্ট লিঙ্গের অন্তিম স্বর বা ব্যঞ্জন বর্ণের উপর নির্ভর করে সেই লিঙ্গের সেই স্বর বা ব্যঞ্জন বর্ণান্ত প্রায় যাবতীয় প্রাতিপদিকের শব্দরূপ একই আকৃতির হয়।'' যেমন: পুংলিঙ্গবাচক 'নর' প্রাতিপদিকের শেষের বর্ণ 'অ' হওয়ার কারণে অ-বর্ণান্ত পুংলিঙ্গবাচক প্রায় যাবতীয় প্রাতিপদিকের (যথা: অংশ, দিবস, কৃষ্ণ, ধূর্ত, কোষ, আচার্য, ইতিহাস প্রভৃতি) শব্দরূপ 'নর' শব্দের মত।
 
যেমন: পুংলিঙ্গবাচক 'নর' প্রাতিপদিকের শেষের বর্ণ 'অ' হওয়ার কারণে অ-বর্ণান্ত পুংলিঙ্গবাচক প্রায় যাবতীয় প্রাতিপদিকের (যথা: অংশ, দিবস, কৃষ্ণ, ধূর্ত, কোষ, আচার্য, ইতিহাস প্রভৃতি) শব্দরূপ 'নর' শব্দের মত।
* নামপদ বা সুবন্ত শব্দ তিন ধরনের। যথা: ''বিশেষ্য'', ''বিশেষণ'' ও ''সর্বনাম'' (— উদা: অস্মদ্, যুষ্মদ, তদ্, কিম্)।
 
* ক্রিয়াপদ বা তিঙন্ত শব্দ এক ধরনের (— উদা: অস্তি, ভবামি, গচ্ছতু)।
 
* এছাড়া আরেক ধরনের শব্দ বা পদ আছে, বাক্যে প্রয়োগের সময় যাদের মূলরূপের কোনও ব্যয় বা পরিবর্তন হয় না, এদের '''অব্যয় পদ''' বলে। যেমন: অত্র, কুত্র, তদা, অধুনা, অকস্মাৎ প্রভৃতি।
 
== বিশেষ্যপদের প্রয়োগ ==