চীনের ইতিহাস/সিয়া রাজবংশ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Alphaa Noman (আলোচনা | অবদান)
Alphaa Noman (আলোচনা | অবদান)
আপডেট
২ নং লাইন:
সাং নামক একটি ছোট রাজ্য এর সুযোগ নিয়ে সিয়াজিয়ের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালায় এবং অবশেষে সিয়াজিয়ের সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে । রাজা সিয়াজিয়ে রাজধানী ছেড়ে পালিয়ে যান এবং সেখানে তাঁর মৃত্যু হয় । সেই সঙ্গে সিয়া রাজত্ব পতন ঘটে।
সিয়া রাজবংশ সম্পর্কিত ঐতিহাসিক তথ্য অপ্রতুল বলে ইতিহাসে সিয়া রাজবংশের অস্তিত্ব নিয়েই চীনের জ্ঞানী পণ্ডিতদের মধ্যে মত পার্থক্য রয়েছে । কিন্তু চীনের ঐতিহাসিক গ্রন্থ এ স্পষ্ট ভাষায় সিয়া রাজবংশের কুলজী বর্ণনা করা হয়েছে। ১৯৫৯ সালে চীনের সিয়া সুতেযে খনন কাজ আরম্ভ হয় , তাতে সিয়া সংস্কৃতি সন্ধানের সুত্রপাত ঘটে। বর্তমানে চীনের অধিকাংশ পণ্ডিত মনে করেন যে, হো নান প্রদেশের ইয়ান শির “ এর লি থৌ” ধ্বংশাবশেষে সিয়া রাজত্বকালের সংস্কৃতির সন্ধান পাওয়া যেতে পারে। পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে ,আনুমানিক খ্রীষ্টপূর্ব ১৯০০ সালে “ এর লি থৌ” সংস্কৃতির জন্ম এবং তা সিয়া-অব্দে পড়ে । “ এর লি থৌ” সংস্কৃতি যে সিয়া রাজত্বকালের সংস্কৃতির অংশ বিশেষ তার আসল প্রমান পাওয়া না যায় নি।
“ এর লি থৌ” ধ্বংসাবশেষ থেকে উৎপাদন কার্যে ব্যবহৃত হাতিয়ার পাওয়া গিয়েছে। এই হাতিয়ারগুলোর বেশীর ভাগ পাথর দিয়ে তৈরী । তবে হাড় ও ঝিনুকের খোল দিয়ে তৈরী হাতিয়ার পাওয়া গেছে। কিছু বাড়ির ভিত ,খাদ ও কবরের প্রাচীরে কাঠের কৃষিযন্ত্র দিয়ে মাটি খোঁড়ার চিহ্ন দৃষ্ট। তখনকার পরিশ্রমী মানুষ এই সব সহজ হাতিয়ার ব্যবহার করে জলসেচ আর কৃষি উত্পাদনে কঠোর পরিশ্রম ও বিজ্ঞতার পরিচয় রেখা দিয়েছিল । সিয়া রাজবংশের শাসনামলে তৈরী বড় তামার যন্ত্র এখনো আবিস্কৃত হয় নি , কিন্তু “ এর লি থৌ” ধ্বংসাবশেষ থেকে তামার চাকু, কুড়ালি , বাটালি , তীর,অস্ত্র আর পেয়ালা পাওয়া গিয়েছে । এ ছাড়া মৃত পাত্র, তামার গুঁড়ো আর মুচির টুকরো, অপেক্ষাকৃত উন্নতমানের জেড পাথরের পাত্র , সবুজ বল খোদিত অলংকার এবং পাথরের বাদ্যযন্ত্রও পাওয়া গিয়েছে ।
==তথ্যসূত্র==
{{BookCat}}