শেখার সাথে অনেকগুলো কার্যকলাপ জড়িত, যেমন- সময়ের ব্যবস্থা করা, নোট নেওয়া, বই পড়া, বক্তৃতা শোনা, মুখস্থ করা, আলোচনা করা এবং লিখিত পরীক্ষা। আমরা এই প্রতিটি ক্রিয়াকলাপকে পৃথকভাবে চর্চা করব এবং সেগুলোকে আরও কার্যকরভাবে সম্পন্ন করতে আপনাকে শেখাব৷ যে ক্রমানসুরে অধ্যায়গুলো শিখতে আপনার সুবিধা হয় আপনি নির্দ্বিধায় সেভাবে পড়তে পারেন; তবে যেহেতু এটি একটি পাঠ্যবই, আমরা আপনাকে পাঠ্যপুস্তক অধ্যয়ন অধ্যায় দিয়ে শুরু করার পরামর্শ দিচ্ছি।

কোন কিছু অধ্যয়ন শুরু করার আগে, অনুসরণ করার মত আপনার জন্য কিছু মৌলিক মৌলিক নিয়ম আছে:

  1. বিষয়টি শেখার ইচ্ছা। আপনি যদি নিজ থেকে অনুপ্রাণিত না হন তবে আপনি শিখতে পারবেন না। ২০১৩ সালে রেসপিসিয়াস রেহামবিজা জোর দিয়েছিলেন যে, শেখার ইচ্ছা আপনাকে অধ্যয়নের জন্য অন্যকিছু ত্যাগ করতে এবং অধ্যয়নের জন্য সময়ের ব্যবস্থা করতে সক্ষম করে। এটি আপনাকে যে কোনও জায়গায় এবং যে কোনও সময় অধ্যয়ন করতে সক্ষম করে তুলবে। এটি অধ্যয়ন সম্পর্কে আপনার মধ্যে দায়িত্ববোধ তৈরি করে, যা সাফল্যের লক্ষণ। এটি আপনাকে আরও বেশি করে শিখতে প্রতিযোগিতার অনুভূতিতে ফেলে দেয়। এটি আপনাকে অধ্যয়নের জন্য নতুন ধারণা এবং কৌশল তৈরি, কীভাবে কার্যকরভাবে অধ্যয়ন করতে হয়, কীভাবে মনোনিবেশ করতে হয় এবং কীভাবে অধ্যয়নের জন্য সময়ের ব্যবস্থা করতে সাহায্য করে।
  2. বিষয়টি সম্পর্কে আপনার জ্ঞানকে শক্তিশালী করতে নিয়মিত তা পর্যালোচনা করুন।
  3. অর্জিত জ্ঞান বাস্তবে প্রয়োগ করুন। আপনি যদি এটি প্রয়োগ না করেন তাহলে শীঘ্রই এটি ভুলে যাবেন।
  4. নিয়মিত আত্মবিশ্লেষণ করুন। প্রতি সপ্তাহে একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন যখন আপনি সেই সপ্তাহের জন্য আপনার ক্রিয়াকলাপ পরীক্ষা করবেন। আপনার করা ভুলগুলো এবং আপনার সাফল্য থেকে শিখতে যথেষ্ট সময় নিন।

এই নির্দেশাবলী ডেল কার্নেগির প্রতিটি বইয়ের ভূমিকায় দেওয়া অধ্যয়ন টিপস থেকে তুলে আনা হয়েছে।