‎‏ مِيْزَان

আরবী ব্যাকরণ শাস্ত্রের সর্বপ্রধান দু'টি শাখার মধ্যে মীযান একটি। মীযান একটি গ্রন্থের নামও বটে, এই বইটিই এই শাখার সর্বজনগৃহীত মাপকাঠি বলে বিবেচ্য।

প্রথম পাঠ সম্পাদনা

প্রথমেই কয়েকটি শব্দ শিখে নেই, তাহলে পরবর্তীকালে বুঝতে এবং শিখতে সহজ হবে।

শব্দ অর্থ
الفِعْلُ (যে কোনো কাজ) করা
النَّصْرُ সাহায্য করা
الضَّرْبُ মারা, প্রহার করা।

আরবী শব্দের প্রকারভেদ সম্পাদনা

আরবী শব্দ তিনভাগে বিভক্ত।

  1. ইসম (اسم)
  2. ফে'ল (فعل)
  3. হরফ (حرف)
  • ইসম (اسم) এর সংজ্ঞা :

যেকোনো প্রকারের বিশেষ্যকেই ইসম বলে। যেমন: ٌاللّٰهُ ، مُحَمَّدٌ ، اِسْلَام

  • ফে'ল (فعل) এর সংজ্ঞা :

ক্রিয়া বা যার সাথে অতীত, বর্তমান অথবা ভবিষ্যৎ বিদ্যমান, উহাকেই ফে'ল বলে। যেমন: َقَالَ ، فَعَلَ ، نَصَر

  • হরফ (حرف) এর সংজ্ঞা :

যা কোনো বিশেষ্য নয় এবং তার সাথে কোনো কাল (অতীত, বর্তমান বা ভবিষ্যৎ) সম্বন্ধিত নয়, উহা হরফ। যেমন: مِنْ ، إليٰ ، عَليٰ

দ্বিতীয় পাঠ সম্পাদনা

মীযান অংশে ইসম এবং হরফ অপরিবর্তিত থাকবে। অর্থাৎ, মীযান শুধুমাত্র ফে'ল নিয়ে কাজ করবে।

ফে'ল প্রধানত ছয় প্রকার। যথা:-
১. মাযী (অতীতকাল)
২. মুযারে' (বর্তমান বা ভবিষ্যতকাল)
৩. হাল (বর্তমানকাল)
৪. মুস্তাকবিল (ভবিষ্যতকাল)
৫. আমর (আদেশসূচক কাল)
৬. নাহী (নিষেধসূচক কাল)

আবার মাযী (অতীতকাল) ও ছয় প্রকার। সেগুলো এই-
১. মাযী মুত্বলাক (সাধারণ অতীত)
২. মাযী ক্বরীব (নিকটবর্তী অতীত)
৩. মাযী বায়ীদ (দূরবর্তী অতীত)
৪. মাযী ইহতেমালী
৫. মাযী ইস্তেমরারী
৬.মাযী তামান্নায়ী (আকাঙ্ক্ষাসূচক অতীত)

উপরোক্ত প্রত্যেকটিই আবার চার প্রকার। সেগুলো এই-
১. ইছবাত মা'রুফ (হ্যাঁবাচক কর্তৃবাচ্য)
২. ইছবাত মাজহুল (হ্যাঁবাচক কর্মবাচ্য)
৩. নফী মা'রুফ (নাবাচক কর্তৃবাচ্য)
৪. নফী মাজহুল (নাবাচক কর্মবাচ্য)