উইকিশৈশব:এটা কীভাবে কাজ করে/ফ্লুরোসেন্ট বাতি
ফ্লুরোসেন্ট ল্যাম্প হাইড্রোজেন এবং ফসফর থেকে আলো তৈরি করে।
কে এটি আবিষ্কার করেন?
সম্পাদনাথমাস এডিশন, জর্জেস ক্লড, এবং হেনরিখ গেসলার প্রমূখ বিজ্ঞানী ফ্লুরোসেন্ট বাতি বা প্রতিপ্রভ বাতি আবিষ্কার করেন।
এটি কিভাবে শক্তি পায়?
সম্পাদনাআপনি যখন কর্ডটি দেওয়ালের বিদ্যুৎ প্লাগের সাথে লাগান, তখন এটি বৈদ্যুতিক প্রবাহ ব্যবহার করে। যখন বিদ্যুৎ প্রবাহ দ্রুততর হয়, তখন এটি গরম হয়ে যায় ও একটি প্রতিপ্রভা (আলোর আভা) দেয়।
এটি কিভাবে কাজ করে?
সম্পাদনাএকটি ফ্লুরোসেন্ট বাতির টিউবে গ্যাস, পারদ এবং টিউবের অভ্যন্তরীণ পৃষ্ঠে একটি বিশেষ আবরণ ও ফসফর থাকে। টিউবের ভেতরে একটি কয়েল (কুণ্ডলী) উত্তপ্ত হয় এবং ইলেকট্রন নির্গত করে যা টিউবের ভিতরে পারদের পরমাণুর সাথে সংঘর্ষ করে। গ্যাসটি অদৃশ্য অতিবেগুনি রশ্মি উৎপন্ন করে, যা ফসফরের সাথে মিলিত হলে দৃশ্যমান আলোতে পরিণত হয়ে সমগ্র টিউবে ছড়িয়ে পড়ে, যা আমরা দেখতে পাই।
এটি কতটা বিপদজনক?
সম্পাদনাএতে থাকা পারদ খুব বিষাক্ত এবং মারক। টিউবটি ক্ষতিগ্রস্থ হলে বাতি ব্যবহার করা উচিত নয় কারণ এটির ভাঙা অংশ থেকে পারদের ধোঁয়া বেরোতে পারে। ব্যবহার না করে এটা তখন নির্দিষ্ট স্থানে সাবধানে ফেলে দেওয়া উচিত। অধিকাংশ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ফ্লুরোসেন্ট বাতি ফেলে দেওয়ার জন্য বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া থাকে যাতে পারদ পরিবেশে বা কাছাকাছি জলের উৎসে ছড়িয়ে না পড়ে।
এটা কি করে?
সম্পাদনাএগুলি এক ধরনের আলো, যা অন্ধকার জায়গায় সহজে দেখতে পেতে ব্যবহার করা হয়। টিউবের ফসফর জ্বলে উঠলে আলো তৈরি হয়।
পৃথিবীর ওপর এর প্রভাব কি?
সম্পাদনাফ্লুরোসেন্ট বাতিগুলি প্রথাগত আলোর বাল্বের তুলনায় কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, কারণ তারা কম তাপ উৎপন্ন করে। ভাস্বর আলোর বাল্বগুলি তাপ উৎপাদনকারী শক্তির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ গরম হতে ব্যবহার করে, যা আলো তৈরি করে না। অতএব এই অপচয়ের জন্য একই পরিমাণ আলো তৈরি করতে ঐ সমস্ত বাল্বের আরও শক্তির প্রয়োজন হয়।