উইকিশৈশব:ছড়ায় গুনি সময়/সকল পাতা

এই বইটি উইকিশৈশব প্রকল্পের প্রাক-পাঠ্য স্তরের অন্তর্বর্তী একটি উপপ্রকল্প। এই বইয়ের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে খেলাঘর অর্থাৎ প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের হেসেখেলে ছড়া-ছন্দ দিয়ে সময়ের সঙ্গে পরিচয় করে দেওয়া, যার সঙ্গে পূর্বে তাদের পরিচিতি ছিলনা। বইটি মাবাবা/অভিভাবক অথবা শিক্ষকশিক্ষিকা শিশুদের সঙ্গে নিয়ে ছবি দেখিয়ে, ছড়া-ছন্দ করে পড়ে শোনালে তারা সহজেই ছড়ার মাধ্যমে সময়ের সঙ্গে পরিচিত হয়ে উঠতে পারবে এবং নিজের থেকে ছড়াগুলো বলতে থাকবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

লেখিকা: সম্মতি দাস

সূয্যি ওঠে ডুবে যায়,
ঢেউ ওঠে তীরে ধায়।
পল পল মিলে হায়,
সময়কে ডাকে আয়!


অগ্রহায়ণ
জামাজোড়া লাগে গায়,

শীত আসে গুটি পায়।

মাঠে মাঠে পাকা ধান,

বলে দিল এ অঘ্রাণ!

আশ্বিন
শিউলির ফুল দোলে,

আশ্বিনের মাস এলে!

ঢাকে কাঠি হইচই,

আগমনী এল ওই!

আষাঢ়
আষাঢ়ের ছবি আঁকা,

আকাশটা মেঘে ঢাকা;

আষাঢ়ের বরষায়,

চাষ করে ভরসায়!

ঋতু
বছরকে আছে ধরা,

ছয় ঋতু ভাগ করা।

গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ হেমন্ত,

শীতের পর হয় বসন্ত!

Dew particles
Dew particles
কার্তিক
রাতে হিম মেলে পাখা,

ভোরে শিশিরের দেখা।

ভোরবেলা পথে হাঁটা,

শিরশিরে গায়ে কাঁটা!

গ্রীষ্ম
বৈশাখ জ্যৈষ্ঠের মাস,

গরমেতে হাঁসফাঁস।

বকুল কি বেল জুঁই,

মনে হয় তাকে ছুঁই!

ঘণ্টা
তিলে তিলে দিন বাড়ে,

সময়ের গাড়ি ছাড়ে।

ষাট মিনিটের ঘরে,

ঘণ্টায় পুরো করে!

চৈত্র
বনে বনে আছে তাড়া,

পাখিদের বাসা গড়া।

বছরের শেষ মাসে,

চৈত্রটাই চলে আসে!

জ্যৈষ্ঠ
জ্যৈষ্ঠেরই গরমেতে,

আম-জাম পেড়ে খেতে;

ছেলেমেয়ে ছুটে যায়,

একসাথে মজা পায়!

দিন
দিন গেলে আসে রাত,

ঘুমে সব কুপোকাত!

চব্‌বিশ ঘণ্টায়,

একদিন হয়ে যায়!

পৌষ
কুয়াশায় ধুলো ধোঁয়া,

খেজুরের গুড়ে মোয়া।

কী করে যে তাকে ভুলি?

পৌষ মাসে পিঠে পুলি!

ফাল্গুন
ডালে ডালে লাল ফুল,

পলাশ কিবা শিমুল।

কৃষ্ণচূড়া থোকা থোকা,

ফাগুনের ছবি আঁকা!

বছর
একে একে চলে এল,

বারো মাস পার হল।

পর পর ঠিক আসে,

বছরটা বারো মাসে!

বর্ষা
আষাঢ় শ্রাবণ মাসে,

বর্ষা ঋতু চলে আসে।

জল জমে মাঠে ঘাটে,

কই শিঙি লাফ কাটে!

বসন্ত
দ্বারে সমাগত আজ,

বসন্তই ঋতুরাজ।

ফুলসজ্জা নিয়ে আসে,

ফাল্গুন চৈত্রের মাসে!

বুধবার
সব থেকে আগে আছে,

সুরজের ধারে কাছে।

একেকটা রাত দিন,

বুধবার হল তিন!

বৃহস্পতিবার
বৃহস্পতির বার,

গ্রহ এক নামে তার।

সপ্তাহে মাঝখানে,

সময়কে সবে জানে!

বৈশাখ
বছরের শুরু এটা,

আবাহনে কত ঘটা!

বৈশাখীর ঝড় হলে,

কাঁচা আম গাছতলে!

ভাদ্র
ভাদ্র মাস এল যেই,

বানে দেশ ভাসবেই!

মুচি বলে রোদ চাই,

আধা নেয় চাষিভাই!

মঙ্গলবার
গ্রহ এক মঙ্গল,

নেই সেথা জঙ্গল।

মঙ্গল হল ভালো,

নামে তার আছে আলো!

মাঘ
শীত বাড়ে এলে মাঘ,

কাবু হয়ে যায় বাঘ।

রোদ মেখে সারা গায়,

অনেকেই শুয়ে যায়!

মাস
রাত যায় আসে দিন,

একদিন প্রতিদিন।

তিরিশটা দিন হলে,

এক মাস তাকে বলে!

মিনিট
সরু কাঁটা এক পাক,

ষাট ঘর ঘুরে যাক।

সময়ের যত ধাঁধা,

মিনিটেই আছে বাঁধা!

রবিবার
সুরজের কত আলো,

ঘুচে যায় সব কালো।

ছ-টা দিন পার করে,

রবিবার আসে ঘুরে!

শনিবার
সকলেই খোঁজে তাকে,

আধবেলা ছুটি থাকে।

বলয়টা আছে তার,

সুরজের পরিবার!

শরৎ
কাশ আর পদ্মবন,

শরতের আগমন।

ইদ পুজো পাশাপাশি,

সকলেই হল খুশি!

শীত
শীতকালে ছোটো দিন,

উৎসবে ‘বড়োদিন’।

আলু কপি মাঠময়,

বেড়ানোতে মজা হয়!

শুক্রবার
শুক্র নামে আছে যেই,

সুরজের গ্রহ সেই।

সাঁঝবেলা দেখা গেল,

‘শুকতারা’ চেনা হল!

শ্রাবণ
নদীজলে জাল ফেলে,

ইলিশের দেখা মেলে।

রোদ্‌দুর নেই মোটে,

কদমের ফুল ফোটে!

সপ্তাহ
সোম থেকে রবি এল,

সপ্তাহ পুরো হল।

সময়টা নাও চিনে,

সপ্তাহ সাত দিনে!

সেকেন্ড
ঘড়ি দেখো আজকাল,

টিকটিক, ডিজিটাল।

কোয়াট্‌জে তাকে চেনা,

সেকেন্ডে হল গোনা!

সোমবার
সোম মানে হল চাঁদ,

অতীতের মতবাদ।

ছুটি খেয়ে এল আজ,

সোম থেকে শুরু কাজ!

হেমন্ত
হিমেলের হাওয়ায়,

হেমন্তকে চেনা যায়।

ঝরা পাতা বলে যায়,

শীত বুড়ো চলে আয়!