উইকিশৈশব:ছোট্ট মালি/অন্যান্য সরঞ্জাম

অতিরিক্ত সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি


উপর থেকে নিচে: একটি কর্ণিক(ট্রাওয়েল), একটি রোপণ প্রতিস্থাপক (ট্রানস্প্লান্টার), এবং একটি কর্ষক(কালটিভেটর)

উদ্যানপালনের সামগ্রী সম্পাদনা

উদ্যানপালনের ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতির ব্যবহার ঐচ্ছিক; এক্ষেত্রে বেশিরভাগ কাজই নিজের হাতে সম্পন্ন করা যায়। তৎসত্ত্বেও সামান্য কিছু ছোটখাটো যন্ত্রপাতি কিনতে হতে পারে যেমন একটি কর্ণিক, এটি বেলচার ছোট আকার, যার মাধ্যমে যথেষ্ট পরিমাণ মাটি সুবিধামতো এদিক-ওদিক করা যায়, একটি রোপণ প্রতিস্থাপক, যা মাটিতে সরু গর্ত করতে ও গাছের শাখা মূল সরাতে কাজে লাগে, এবং একটি কর্ষক, যা মাটিকে আলগা করতে সাহায্য করে। এই ধরনের কিছু বিশেষ যন্ত্র কিনতে না চাইলে উদ্যানপালকেকে অবশ্যই সরু তার, টেবিল-চামচ, কাঁটা-চামচ প্রভৃতির যোগান রাখতে হবে।

এছাড়াও আরও বেশ কিছু সামগ্রী রয়েছে যা উদ্যানপালনে কাজে লাগে, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেগুলির খুব একটা প্রয়োজন হয় না।

 
একটি সিঞ্চক বা স্প্রে করার যন্ত্র ব্যবহৃত জলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।

জলের পাত্র সম্পাদনা

উদ্যানপালককে গাছে জল দিতে হয়। একটি বীজ থেকে অঙ্কুরোদগমের জন্য কতবার এবং কত পরিমাণ জল সিঞ্চন করা হচ্ছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং তার ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যতের গাছটি কতটা অক্ষীণ থাকবে!

জলের পাত্র বা সিঞ্চক ব্যবহারও ঐচ্ছিক। বিশেষ স্প্রে কিনতে না চাইলে কাপ বা অন্য কোন নিত্য ব্যবহার্য জলের পাত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।

তবে সিঞ্চক ব্যবহার করলে প্রতিবার বীজে বা চারাগাছে কত পরিমাণ জল দেওয়া হচ্ছে তার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা যায়। বারবার জলসিঞ্চন, বা অতিরিক্ত পরিমাণ জলের ব্যবহার থেকে বিরত থাকা উচিত, এরকম আচরণ বীজ বা চারাগাছের পক্ষে ক্ষতিকারক। একই রকম ভাবে স্বল্প জলসিঞ্চন, বা কম পরিমাণ জলের ব্যবহার ও ঠিক নয়।

 
এরকম একটি বারকোশ চারাগাছের বৃদ্ধির সহায়ক

বীজ স্থাপন বারকোশ সম্পাদনা

একবারে একাধিক বীজ রোপণ ও অঙ্কুরোদগম করাতে হলে এরকম একটি বারকোশ খুব উপকারী। উদ্যান পালক প্রতিটি ছোট ছোট খোপে একটি বা একাধিক বীজ প্রোথিত করতে পারে। এর ব্যবহারের ফলে প্রতিটি নব অঙ্কুরোদগম হওয়া বীজ বা চারা গাছের মূল একে অপরের সঙ্গে আটকে যাবে না।


 
বিশ্বাস হোক বা না হোক, জলসিঞ্চনের মত এটিও উপকারী!

আইস ললিপপ কাঠি সম্পাদনা

মাটিতে জলের পরিমাণ বোঝার জন্য কম খরচে সবচেয়ে ভালো উপায় হল কাঠের আইস ললিপপ কাঠি ব্যবহার করা। তাই পরের বার খেলে, সেটা ছুঁড়ে ফেলে দেবেন না!

এই কাঠের ব্যবহার করার পদ্ধতি হলো, বীজ বা চারাগাছে জল দেওয়ার আগে এই কাঠিটাকে মাটির মধ্যে পুঁতে দেওয়া। তারপর জল দেওয়া হয়ে গেলে কাঠিটাকে তুলে দেখা যেতে পারে। যদি কাঠি তে কাদা লেগে থাকে তারমানে মাটিতে জলের পরিমাণ অনেক বেশি অর্থাৎ আর জল দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আর যদি কাটার স্বপ্ন থাকে তার মানে মাটিতে জল দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে।


 
খোলা মেলা জানালা থাকা সহায়ক

জানালা সম্পাদনা

বাড়ির ভেতরে চারাগাছ বড় করতে চাইলে তা রাখার সবচেয়ে ভালো জায়গা হলো রোদ হাওয়া বাতাস আসে এমন খোলামেলা জানলার সামনে। যদি বাড়িতে দক্ষিণ খোলা কোন জানালা থেকে থাকে তবে সেটা সব থেকে ভালো জায়গা।


 

বৃদ্ধি সহায়ক আলো সম্পাদনা

যদি কেউ ঘরের ভিতরে উদ্যানপালন করতে চায় তবে তাকে মাথায় রাখতে হবে তার সেই চারাগাছ ভাবির যেনো যথেষ্ট পরিমাণে সূর্য গ্রহণ করতে সক্ষম হয়। যদি বাড়িতে যথেষ্ট পরিমাণ ও সূর্যের আলো না ঢোকে তবে বৃদ্ধি সহায়ক আলো বা গ্রো লাইট ব্যবহার করা যেতে পারে।


 

আবর্জনার পাত্র সম্পাদনা

এইরকম পাত্রে ফার্টিলাইজার, বীজের প্রাথমিক মিশ্রণ বা অন্যান্য মাটির মিশ্রণ ঘর বন্দী করে রাখা যেতে পারে। এর ফলে যেই পাত্রে বীজ বা চারাগাছ বপন করা হয়েছে তা মাটি দিয়ে ভরতে বা সার দিতে সুবিধা হয়।


 

বাক্সবন্দী বীজ সম্পাদনা

বাক্সবন্দী বীজ সংগ্রহ করা খরচসাপেক্ষ। সাধারণত ঐরকম বাক্সে ওই বিশেষ বীজ ব্যবহার করে উদ্যানপালন করার নির্দিষ্ট নিয়মাবলী দেওয়া হয়ে থাকে। নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, পৃথিবীতে হাজার হাজার ধরনের শাক-পাতা পাওয়া যায়, বই পড়ে সেই সমস্ত পালন করার থেকে ওই বাক্সের নির্দেশাবলী অনুযায়ী কাজ করা অনেক যুক্তিসঙ্গত এবং সুফল দায়ী।