কসমস সম্পাদনা

কসমস হলো এক ধরনের সুন্দর ফুল, এগুলি রংবেরঙের হয়ে থাকে। মেক্সিকো এবং দক্ষিণ যুক্তরাজ্যে এর চাষ প্রথম করা হয়। তাই একে মেক্সিকান এষ্টার বলেও ডাকা হয়। বীজ থেকে চারা গাছ এবং চারা গাছের ডালে পূর্ণাঙ্গ ফুল হতে সময় লাগে ১২ সপ্তাহ। এগুলির আকার সাধারণত ৩-৪ ইঞ্চি হয়ে থাকে। এরা প্রজাপতিকে আকর্ষিত করে থাকে!

নির্দেশাবলী সম্পাদনা

হাতের কাছে সমস্ত সরঞ্জাম এবং কসমসের বীজ তৈরি থাকলে বীজ পুঁতে কিছু কসমসের চারা তৈরি করা যাক!

 
কসমস বীজ

ধাপ ১ সম্পাদনা

প্রথমেই যতগুলো বীজ পুঁততে চাই সে গুলোকে গুনে আলাদা করে ফেলতে হবে। কসমসের বীজ বড় হওয়ায় খুব সহজেই হাত দিয়ে সেগুলোকে আলাদা করতে পারা সম্ভব।


 
পাত্রের উপর থেকে ভেতরের দিকে বেশ কিছুটা জায়গা ফাঁকা রাখতে হবে।

ধাপ ২ সম্পাদনা

তারপর হাত বা ছোট কাপ ব্যবহার করে পাত্রের ভেতরে মাটি দিতে হবে। কাজটা যথেষ্ট অপরিষ্কার এবং অগোছালো! এটা বাড়ির বাইরে করাই শ্রেয়, বা বাড়ির সিংকে করা যেতে পারে নয়তো মাটির মণ্ড তৈরি হয়ে যাবে। পাত্রটি মাটি দ্বারা সম্পূর্ণ ভর্তি না করে কিছুটা বাদ দিতে হবে। আলতো করে মাটির উপরিতল মোটামুটি সমান করে নিতে হবে কিন্তু হাত দিয়ে বেশি চাপ প্রয়োগ করলে হবে না।


 
ভেতরের গর্ত ১/৪ ইঞ্চি গভীর হতে হবে

ধাপ ৩ সম্পাদনা

যন্ত্রের মাধ্যমে বা নিজের আঙ্গুল ব্যবহার করে মাটির মাঝখানের ছোট গর্ত তৈরি করতে হবে। যন্ত্রের সাহায্য নিলে ট্রান্সপ্লান্টার ব্যবহার করা যেতে পারে। গর্তটির আকাশ যেন উপরিতল থেকে ১/৪ ইঞ্চি গভীর হয়।


 
রোপিত বীজকে মাটি দিয়ে ঢাকা দিতে হবে।

ধাপ ৪ সম্পাদনা

ঐ গর্তে ৫টি বীজ একসাথে দিতে হবে! তারপর কিছু পরিমাণ মাটি নিয়ে বীজের উপর ঢেকে দিতে হবে ও আবার আলতোভাবে চাপতে হবে।


 
বীজটি জলপিপাসু, তাই এটির ওপর জলসিঞ্চন করতে হবে!

ধাপ ৫ সম্পাদনা

মাটিতে প্রয়োজনমতো জল দিতে হবে।


 
কসমসের অঙ্কুরোদগম

এরপর কি করণীয়? সম্পাদনা

প্রত্যেকদিন নিয়মমতো বীজে জল দিতে হবে! এই বিষয় নিশ্চিত হতে না পারলে মাটিতে জলের পরিমাণ বোঝার জন্য ললিপপ স্টিক টেস্ট করে দেখা যেতে পারে। ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে বীজের অঙ্কুরোদগম শুরু হলে তথা মূল মাটির গভীরে প্রবেশ করতে থাকলে পর্যাপ্ত সূর্যালোকের উপস্থিতিতে নিশ্চিত করা আবশ্যক।

যদি বাড়ির ভেতর উদ্যানপালন করতে হয়, সেই ক্ষেত্রে বড় পাথর ব্যবহার করা ভালো যেন চারা গাছের মূল বিনা বাধায় বিস্তৃত হতে পারে। টপ থেকে নিয়ে যদি বাইরে বীজ বপন করতে হয় তবে সেই ক্ষেত্রে দেখতে হবে প্রত্যেকটি বীজ নিজেদের থেকে যেন অন্তত ১ ইঞ্চি দূরে থাকে। এর ফলে চারাগুলি বৃদ্ধি পাওয়ার পর্যাপ্ত জায়গা পাবে।

কত পরিমাণ আলো ও কোন সময় বীজ বপনের জন্য আদর্শ? সম্পাদনা

বেশিরভাগ উদ্ভিদের ক্ষেত্রে বসন্ত কাল বা বছরের যেই সময় দিন রাতের তুলনায় বড় হয় সেই সময়কে গাছ লাগানোর আদর্শ সময় ধরা হয়ে থাকে। এইসময় বাইরের উষ্ণতা স্বাভাবিকের তুলনায় ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে বসন্ত আসে। অস্ট্রেলিয়ায় সেপ্টেম্বরের শুরুতে আবার যুক্তরাজ্যে বসন্ত আসে মার্চ মাসের শেষে। তবে সে ক্ষেত্রে বলা যায় রাতেরবেলা বাইরের উষ্ণতা যদি কম থাকে সেই সময়ে সদ্য উদগত বীজকে বাইরে পোঁতা উচিত নয়। কুয়াশা বীজের অঙ্কুরোদগমকে মন্দীভূত করে।