উইকিশৈশব:ছোট্ট মালি/সূর্যমুখী
সূর্যমুখী
সম্পাদনাসূর্যমুখী বড় আকৃতির গাছ, এর ফুল হলুদ রংয়ের হয়। এই গাছগুলি অনেক লম্বা হতে পারে। বিভিন্ন পাখি এবং জন্তু এই গাছগুলির খেয়ে জীবন ধারণ করতে পছন্দ করে।
নির্দেশাবলী
সম্পাদনাহাতের কাছে সমস্ত সরঞ্জাম এবং সূর্যমুখীর বীজ তৈরি থাকলে বীজ পুঁতে কিছু সূর্যমুখীর চারা তৈরি করা যাক!
ধাপ ১
সম্পাদনাপ্রথমেই যতগুলো বীজ পুঁততে চাই সে গুলোকে গুনে আলাদা করে ফেলতে হবে। সূর্যমুখীর বীজ ছোট হলেও হাত দিয়ে সেগুলোকে আলাদা করতে পারা সম্ভব।
ধাপ ২
সম্পাদনাতারপর হাত বা ছোট কাপ ব্যবহার করে পাত্রের ভেতরে মাটি দিতে হবে। কাজটা যথেষ্ট অপরিষ্কার এবং অগোছালো! এটা বাড়ির বাইরে করাই শ্রেয়, বা বাড়ির সিঙ্ককে করা যেতে পারে নয়তো মাটির মণ্ড তৈরি হয়ে যাবে। পাত্রটি মাটি দ্বারা সম্পূর্ণ ভর্তি না করে কিছুটা বাদ দিতে হবে। আলতো করে মাটির উপরিতল মোটামুটি সমান করে নিতে হবে কিন্তু হাত দিয়ে বেশি চাপ প্রয়োগ করলে হবে না।
ধাপ ৩
সম্পাদনাযন্ত্রের মাধ্যমে বা নিজের আঙ্গুল ব্যবহার করে মাটির মাঝখানের ছোট গর্ত তৈরি করতে হবে। যন্ত্রের সাহায্য নিলে ট্রান্সপ্লান্টার ব্যবহার করা যেতে পারে। গর্তটির আকাশ যেন উপরিতল থেকে ২ ইঞ্চি গভীর হয়।
ধাপ ৪
সম্পাদনাঐ গর্তে একটি বীজ দিতে হবে! তারপর কিছু পরিমাণ মাটি নিয়ে বীজের উপর ঢেকে দিতে হবে ও আবার আলতোভাবে চাপতে হবে।
ধাপ ৫
সম্পাদনামাটিতে প্রয়োজনমতো জল দিতে হবে।
এরপর কি করণীয়?
সম্পাদনাপ্রত্যেকদিন নিয়মমতো বীজে জল দিতে হবে! এই বিষয় নিশ্চিত হতে না পারলে মাটিতে জলের পরিমাণ বোঝার জন্য ললিপপ স্টিক টেস্ট করে দেখা যেতে পারে। ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে বীজের অঙ্কুরোদগম শুরু হলে তথা মূল মাটির গভীরে প্রবেশ করতে থাকলে পর্যাপ্ত সূর্যালোকের উপস্থিতিতে নিশ্চিত করা আবশ্যক।
যদি বাড়ির ভেতর উদ্যানপালন করতে হয়, সেই ক্ষেত্রে বড় পাথর ব্যবহার করা ভালো যেন চারা গাছের মূল বিনা বাধায় বিস্তৃত হতে পারে। টপ থেকে নিয়ে যদি বাইরে বীজ বপন করতে হয় তবে সেই ক্ষেত্রে দেখতে হবে প্রত্যেকটি বীজ নিজেদের থেকে যেন অন্তত ১৮ ইঞ্চি দূরে থাকে। এর ফলে চারাগুলি বৃদ্ধি পাওয়ার পর্যাপ্ত জায়গা পাবে।
কত পরিমাণ আলো ও কোন সময় বীজ বপনের জন্য আদর্শ?
সম্পাদনামর্নিং গ্লোরির জন্য মধ্যম প্রকার সূর্যালোক জরুরি, নিশ্চিত করতে হবে যেন বীজ বা চারা দিনে ৮ ঘণ্টা সূর্যরশ্মি পায়। বাড়ির ভেতরে পালন করতে চাইলে গ্রো লাইটের মাধ্যমে ১০ ঘন্টা আলো দিতে হবে।
বেশিরভাগ উদ্ভিদের ক্ষেত্রে বসন্ত কাল বা বছরের যেই সময় দিন রাতের তুলনায় বড় হয় সেই সময়কে গাছ লাগানোর আদর্শ সময় ধরা হয়ে থাকে। এইসময় বাইরের উষ্ণতা স্বাভাবিকের তুলনায় ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে বসন্ত আসে। অস্ট্রেলিয়ায় সেপ্টেম্বরের শুরুতে আবার যুক্তরাজ্যে বসন্ত আসে মার্চ মাসের শেষে। তবে সে ক্ষেত্রে বলা যায় রাতেরবেলা বাইরের উষ্ণতা যদি কম থাকে সেই সময়ে সদ্য উদগত বীজকে বাইরে পোঁতা উচিত নয়। কুয়াশা বীজের অঙ্কুরোদগমকে মন্দীভূত করে।