শামুক একধরনের কম্বোজী প্রাণী

কম্বোজ বা মোলাস্করা পোকামাকড় বা ইনসেক্ট পরিবারের সদস্য না হলেও অনেকে এমনটাই মনে করে থাকেন। তাদের ডানার অনুপস্থিতির মাধ্যমে পোকামাকড় থেকে কম্বোজীদের আলাদা করা যায়। এছাড়াও এরা উষ্ণ রক্তের প্রাণী নয়। অনেকেই এরকম কম্বোজী প্রাণী দেখে ভয় পান, কিন্তু এই প্রাণীগুলি সাধারণত বেশ শান্ত এবং নিরীহ স্বভাবের হয়। কম্বোজীরা বন্য পরিবেশে বা অসহায় অবস্থায় মানুষকে আক্রমণ করে না। একটি কম্বোজী প্রাণীর যত্ন নিতে, এটিকে খুব সাবধানে আলতো করে ধুয়ে নিতে হবে এবং এটিকে ছোট পাতা বা ডাল খাওয়াতে হবে। তবে বেশিরভাগ মানুষ পোষা প্রাণী হিসাবে এই ধরনের কম্বোজী রাখার পরামর্শ দেন না। একটি কম্বোজী প্রাণীর খোলস থাকতে পারে বা নাও থাকতে পারে। খোলসের উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে কম্বোজী প্রাণীকে শ্রেণীবিন্যাস করা যাবে না কারণ কম্বোজী নয় এমন প্রাণী, যেমন কচ্ছপের খোলস থাকে। শান্ত স্বভাবের হওয়া সত্ত্বেও কম্বোজী প্রাণীদেরকে প্রায়শই ক্ষতিকারক বা বিরক্তিকর হিসাবে বিবেচিত করা হয়। বাগান থেকে এগুলি দূর করার পরামর্শ দেওয়া হয় নয়তো ছোট বাচ্চারা এগুলো নিয়ে খেলে থাকে।

এই পর্বের অধিকাংশ প্রজাতি সামুদ্রিক। এরা অধিকাংশ অগভীর জলে বসবাস করে। এই পর্ব সবচেয়ে বৃহত্তম সামুদ্রিক অমেরুদন্ডী প্রাণীর প্রজাতি।

বৈশিষ্ট্য

সম্পাদনা
  • এদের দেহ নরম। নরম দেহটি শক্ত খোলস ম্যান্টল দিয়ে আবৃত।
  • পেশিবহুল পা দিয়ে এরা চলাচল করে।
  • বহিঃত্বক, ফুসফুস বা ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়।
  • এরা বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রাণী।
  • এরা অধিকাংশই সামুদ্রিক।
  • সিলোমেট,অধিকাংশ দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসম।
  • রক্তে হিমোসায়ানিন ও অ্যামিবোসাইট কণিকা থাকে।
  • দেহে ম্যান্টল নামক পাতলা আবরণ থাকে।
  • উদাহরণ- অক্টোপাস,ললিগো, সেপিয়া প্রভৃতি।