বেহালা বা ভায়োলিন

বেহালা তার বিশিষ্ট গীটার সদৃশ এটি একধরনের বাদ্যযন্ত্র যা ধনুক তন্তুর সম্মিলনে সুর সৃষ্টি করে। সাধারণত এগুলো চার পঙ্‌ক্তির হয়ে থাকে। তবে কিছুক্ষেত্রে নিখুঁত শব্দের জন্য পাঁচ পঙ্‌ক্তির হয়ে থাকে। এটা বীণাবিশেষ পরিবারের‌ ক্ষুদ্রতম পঙ্‌ক্তি যন্ত্র, যা দ্বৈত খাদ অন্তর্ভুক্ত সর্বোচ্চ ত্ত তীক্ষ্ণ স্বরবিশিষ্ট সদস্য। বেহালা প্রায় সব ধরনের সঙ্গীতের সাথেই ব্যবহৃত হয়।

বেহালা বাজানো

বেহালা সাধারণত সমবেত সঙ্গীত এর ক্ষেত্রে বসে বাজানো হয় তবে একক সঙ্গীতের ক্ষেত্রে বসে বা দাঁড়িয়ে যে কোন অবস্থানে বাজানো যেতে পারে।

বেহালার তিন‌ধরনের ধনুক

বেহালার তারগুলি এরকম ধনুকাকৃতি অংশের উপর বাঁধা থাকে। একটি আদর্শ বেহালা ৭৫ সেন্টিমিটার দীর্ঘ লম্বা হয়। বিহার আর এই বইগুলি ৫ মিলিমিটার ছোট এবং ১০ গ্রাম ওজনের হয়।

ইতিহাস সম্পাদনা

বেহালা যন্ত্রের ইতিহাস সম্পর্কে বিভিন্ন অভিমত দেখা যায়। সংক্ষেপে কয়েকটি অভিমত উল্লেখ করা হল।

ভারতীয় (হিন্দু) মতে, লঙ্কাপতি রাবণ কর্তৃক এক তার বিশিষ্ট "রাবণ স্ত্রম" নামে একটি বাদ্যযন্ত্র সৃষ্টি হয়। পরে একাদশ শতাব্দীর শেষদিকে পারস্য, আরব ও স্পেন হয়ে ইউরোপ গিয়ে বর্তমান প্রচলিত নাম "বেহালা" হয়েছে।

পাশ্চাত্য বিদ্বানদের মতে, ৪০০ বছর পূর্বে ইউরোপে ভাইল নামে একপ্রকার বাদ্যযন্ত্র আবিষ্কার করা হয়। পরে এই যন্ত্রের আকারে বর্তমান "বেহালা" তৈরী করা হয়।

অন্য এক মতে, ১৫৬৩ খ্রিস্টাব্দে ভেনিস নগরের এক গ্রামীণ লোক, নাম লিনাবোলি টেনর ভায়োলিন নামক এক বাদ্যযন্ত্র প্রচলন করেন। তারপরে, ইতালির কোন এক নাম না জানা বিদ্বান এর আরও উন্নতি সাধন করে বেহালার রুপ দেন।

 
ব্যাচেলডার বেহালা
 
১৫০৫ খ্রিস্টাব্দে আঁকা একটি চিত্রে বেহালা

চিত্রশালা সম্পাদনা

 
বেহালার অংশ
 
কাছ থেকে বেহালার দৃশ্য
 
ভায়োলিন ব্রিজ
 
এফ হোল
 
বেহালা ও ছড়
 
২০০ হার্জ ভায়োলিন আওয়াজের ত্রিমাত্রিক চিত্রণ

তথ্যসূত্র সম্পাদনা