কান দেখতে কেমন?

সম্পাদনা
 
একটি কান

বাইরে থেকে তাকালে মানুষের কানের আকার মোটামুটি ডিম্বাকৃতি মনে হয়। কাঠামো, উচ্চতা এবং ভাঁজের মতো বেশ কয়েকটি জায়গা কানের পৃষ্ঠকে বিভাজিত করে তোলে। কানের মাঝখানে, কর্ণকুহর মধ্য এবং ভিতরের কানের দিকে নিয়ে যায়। কানের মাঝখানটি কানের পর্দা দিয়ে শুরু হয়, যা ভিতরের কানের সাথে ছোট্ট হাড় দ্বারা যুক্ত থাকে, যাকে ক্ষুদ্রাস্থি বলা হয়। ভিতরের কানটি সর্পিল, যাকে ককলিয়া বলা হয়।

কানের কাজ কী?

সম্পাদনা

বাইরের কান বায়ু তরঙ্গ সংগ্রহ করে, তার পৃষ্ঠ দ্বারা তাদের পরিশোধন করে এবং কর্ণকুহরের মাধ্যমে কানের পর্দায় নিয়ে যায়। একটি ট্রামপোলিনের মতো, বায়ু তরঙ্গ কানের পর্দা থেকে লাফিয়ে পড়ে যা এই তরঙ্গকে ভিতরের কানে নিয়ে যায়। ভিতরের কান বায়ু তরঙ্গের মধ্যে শব্দগুলির বিভিন্ন মাত্রাকে আলাদা করতে পারে এবং প্রতিটি আলাদা মাত্রার সাথে সংশ্লিষ্ট অংশে উত্তেজিত হয়। ভিতরের কান তারপর এই তথ্য মস্তিষ্কে নিয়ে যায় যার ফলে আমরা শব্দ অনুভব করতে পারি। ভিতরের কানের আমাদের শরীরের নড়াচড়া পরিমাপ করার ক্ষমতা রয়েছে যা আমাদের চোখ বন্ধ বা অন্ধকারে পরিচালিত করতে সহায়তা করে এবং শরীরের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে।

কান কিভাবে শরীরের অন্যান্য অংশের সাথে যোগাযোগ করে?

সম্পাদনা

ভিতরের কান শ্রবণ স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কের সাথে সংযুক্ত থাকে যা শব্দ এবং শরীরের গতিবিধির তথ্য বহন করে। তাই কান মস্তিষ্কের সাথে যুক্ত থাকায় তোমরা শুনতে পাচ্ছ।

কিভাবে তোমরা তোমাদের কান সুস্থ রাখতে পার?

সম্পাদনা

কান একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল অঙ্গ যা খুব বেশি শব্দ মাত্রায় উন্মুক্ত হলে সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আপনার কান নিরাপদ রাখতে তোমরা কিছু জিনিস করতে পার:

  • তোমাদের শোনার সঙ্গীত খুব জোরে চালু করবে না
  • পোকামাকড় এবং রোগজীবাণু থেকে তোমাদের কান রক্ষা করবে