উইকিশৈশব:রাসায়নিক মৌল/আয়োডিন
মৌলটি দেখতে, স্পর্শে, স্বাদে, অথবা গন্ধে কেমন লাগে?
সম্পাদনাআয়োডিন একটি গাঢ় ধূসর বা বেগুনি রঙের কঠিন পদার্থ। আয়োডিনকে তাপ দিলে এটি কঠিন পদার্থ থেকে একটি বেগুনি-গোলাপী গ্যাসে পরিণত হতে পারে, যার কটু গন্ধ রয়েছে।
মৌলটি কিভাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল?
সম্পাদনা১৮১১ সালে ফরাসি বিজ্ঞানী বার্নার্ড কোর্টয়েজ আকষ্মিকভাবে আয়োডিন আবিষ্কার করেন।
মৌলটির নাম কোথা থেকে এসেছে?
সম্পাদনাগ্রীক শব্দ আয়োডস (iodes) থেকে আয়োডিন নামটি এসেছে, যার অর্থ বেগুনি।
মৌলটি কোথায় পাওয়া যায়?
সম্পাদনাআয়োডিন বেশিরভাগই আয়োডাইড লবণ হিসাবে সমুদ্রের জলে পাওয়া যায়।
তুমি কি জান?
- আয়োডিন অল্প তাপমাত্রায় কঠিন থেকে সরাসরি গ্যাসে পরিবর্তিত হয়। একে ঊর্দ্ধপাতন বলা হয়।
- যদিও অনেকে আয়োডিনকে গাঢ় নীলাভ তরল বলে মনে করেন, এটি আসলে একটি বেগুনি রঙের কঠিন পদার্থ।
এর ব্যবহার কোথায়?
সম্পাদনাঅনেক জীবেরই খাদ্যের প্রয়োজনীয় অংশ হিসাবে আয়োডিনের দরকার হয়। আমাদের দেহের ঘাড়ের কাছে অবস্থিত থাইরয়েড গ্রন্থি দ্বারা উৎপাদিত থাইরয়েড হরমোনে আয়োডিন থাকে। আমাদের শরীরের যতটা আয়োডিন দরকার সেই পরিমাণ আয়োডিন গ্রহণ না করার ফলে গলগণ্ড নামক একটি রোগের সৃষ্টি হয়। এই রোগে থাইরয়েড গ্রন্থি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। আমরা আয়োডিন যোগ কর দিয়ে লবণকে "আয়োডাইজ" করি। এরজন্য কিছু লবণকে সোডিয়াম আয়োডাইডে (NaI) রূপান্তরিত করতে হয়, যাতে আমরা আমাদের খাদ্যে আয়োডিনের সঠিক পরিমাণ পেতে পারি।
এটা কি বিপজ্জনক?
সম্পাদনামৌল আয়োডিন বিপজ্জনক এবং বিষাক্ত। এটা কে স্পর্শ করোনা।