উইকিশৈশব:রাসায়নিক মৌল/আর্সেনিক

পর্যায় সারণীতে আর্সেনিকের অবস্থান।
পর্যায় সারণীতে আর্সেনিক-এর প্রতীক

মৌলটি দেখতে, স্পর্শে, স্বাদে, অথবা গন্ধে কেমন লাগে? সম্পাদনা

 
আর্সেনিক মৌল

আর্সেনিক একটি স্থিতিশীল মৌল। বিশুদ্ধ আর্সেনিক দেখতে ধূসর রঙের। এছাড়া আর্সেনিকের আরও দু'টি রূপ রয়েছে। এগুলি হলুদ এবং কালো রঙের। হলুদ রঙের আর্সেনিক স্থিতিশীল নয়। এটি সবচেয়ে বিষাক্ত। আর্সেনিক একটি ধাতুকল্প অর্থাৎ এই মৌলে ধাতু এবং অধাতুর বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

মৌলটি কিভাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল? সম্পাদনা

প্রাচীন কাল থেকেই আর্সেনিকের যৌগগুলি পরিচিত ছিল। বিশেষ করে আর্সেনিক সালফেট এবং আর্সেনিক অক্সাইড। বিশুদ্ধ আর্সেনিক প্রকৃতিতে বিরল। আমরা যতদূর জেনেছি, ১২৫০ সালে আলবার্টাস ম্যাগনাস নামে একজন জার্মান খ্রীষ্টান ভিক্ষু এবং বিশপ সর্বপ্রথম বিশুদ্ধ আর্সেনিককে আলাদা করতে সক্ষম হন।

মৌলটির নাম কোথা থেকে এসেছে? সম্পাদনা

আর্সেনিক শব্দের উৎপত্তি পার্সি শব্দ থেকে। গ্রীক শব্দ আর্সেনিকোস এর অর্থ "কর্মঠ পুরুষ"। ল্যাটিন ভাষায় এই শব্দটি আর্সেনিকাম হিসাবে গৃহীত হয়েছিল। যা পরে ফরাসি ভাষায় আর্সেনিক হয়ে ওঠে। এর থেকে ইংরেজি শব্দ আর্সেনিক নেওয়া হয়েছে।

তুমি কি জান?

  • আর্সেনিকে ধাতু এবং অধাতু দু'টিরই বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই একে ধাতুকল্প বলে।
  • পৃথিবীর ভূত্বকে আর্সেনিকের পরিমাণ প্রায় ১.৫ পিপিএম অর্থাৎ শতকরা ০.০০০১৫ ভাগ।
  • ১৯৪২ সালে ডিডিটি আবিষ্কারের আগে পর্যন্ত চুন ও আর্সেনিকের মিশ্রণ এবং সীসার আর্সেনেট কীটনাশক হিসাবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল।

মৌলটি কোথায় পাওয়া যায়? সম্পাদনা

আর্সেনিক মোটামুটিভাবে পৃথিবীর একটি সাধারণ মৌল। চীন দেশে এর অনেকগুলি খনি আছে। এছাড়া অন্যান্য দেশ যেগুলি আর্সেনিক উৎপাদন করে সেগুলি হল চিলি, পেরু এবং মরক্কো।

এর ব্যবহার কোথায়? সম্পাদনা

কিছু কিছু সংকর ধাতুকে শক্ত করার জন্য আর্সেনিক ব্যবহার করা হয়। প্রাচীনকালে ব্রোঞ্জকে শক্ত করতে কখনও কখনও আর্সেনিক ব্যবহৃত হতো। কিছু কীটনাশক তৈরি করতে আর্সেনিক ব্যবহার করা হয়। যদিও আগের মতো আর ব্যবহার করা হয় না। এর কারণ এটি খাবারের সঙ্গে মিশে গেলে মানুষের ক্ষতি হতে পারে।

মৌলটি কি বিপজ্জনক? সম্পাদনা

আর্সেনিক বিষাক্ত। তাই এটি খুবই বিপজ্জনক। পৃথিবীতে আর্সেনিক খাইয়ে মেরে ফেলার অনেক কাহিনি রয়েছে। আর্সেনিক দূষণের ছবিটা আজকাল ভয়াবহ। আর্সেনিক দূষণের সংকট আগামী দিনে বড় রকমের সংকট হতে পারে।