উইকিশৈশব:রাসায়নিক মৌল/কোবাল্ট
ধাতুটিকে দেখতে কেমন লাগে?
সম্পাদনাবিশুদ্ধ কোবাল্ট দেখতে চকচকে রূপালী ধূসর রঙের। এট একটি শক্ত ধাতু।
ধাতুটি কিভাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল?
সম্পাদনাবহু প্রাচীনকাল থেকেই কোবাল্ট ধাতুর সঙ্গে মানুষের পরিচয় ছিল। ১৭৩২ সালে সুইডেনের বিজ্ঞানী জর্জ ব্র্যান্ড্ট কোবাল্ট ধাতু আবিষ্কার করেন।
ধাতুটির নাম কোথা থেকে এসেছে?
সম্পাদনাকোবাল্ট (Cobalt) নামটি জার্মান শব্দ কোবাল্ট (kobalt) থেকে এসেছে। এই শব্দটি আবার ইংরাজি কোবোল্ড (kobold) শব্দের সাথে মিল রয়েছে। যা ভূগর্ভস্থ খনিতে বসবাসকারী এক ধরণের অপদেবতা বা শয়তানদের উদ্দেশ্যে বলা হয়।
ধাতুটি কোথায় পাওয়া যায়?
সম্পাদনাতুমি কি জান?
- ব্রোঞ্জ যুগ থেকে কাচের রং করতে কোবাল্টের ব্যবহার চলে আসছে।
- কোবাল্ট একটি লৌহচুম্বকীয় ধাতু।
- ক্যান্সার চিকিৎসায় রেডিয়োথেরাপিতে কোবাল্ট-৬০ ব্যবহার করা হয়।
কোবাল্ট আকরিকের সবচেয়ে বড় উৎস হল আফ্রিকার কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের কাতাঙ্গা প্রদেশের টেনকে ফাংগুরুম নামের খনিটি।
এর ব্যবহার কোথায়?
সম্পাদনাপ্রাচীনকাল থেকে, কোবাল্ট প্রধানত কাচ এবং সিরামিক তৈরিতে নীল রঙ্গক হিসাবে ব্যবহৃত হত। রঙ তৈরিতে কোবাল্ট কাজে লাগে। বর্তমানে কোবাল্ট প্রধানত খুব শক্তিশালী সংকর ধাতু তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়। বিমানের ইঞ্জিন তৈরিতে যে 'সুপারঅ্যালয়' লাগে তাতে কোবাল্ট থাকে। কোবাল্ট-৬০ কোবাল্ট ধাতুর একটি বিশেষ আইসোটোপ। এটি তেজস্ক্রিয়। ক্যান্সার চিকিৎসায় রেডিয়োথেরাপিতে কোবাল্ট-৬০ কাজে লাগে। নানারকমের খাবার জীবাণুরোধক করার জন্যও কোবাল্ট-৬০ নিঃসরিত বিকিরণ কাজে লাগানো হয়।
ধাতুটি কি বিপজ্জনক?
সম্পাদনাকোবাল্ট আমাদের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। ১৯৬০ এর দশকে কানাডার কিছু লোকের হৃৎপিণ্ডের সমস্যা হয়। বেশ কয়েকজন মারাও গিয়েছিলন। পরে দেখা যায় বিয়ারের ফেনা স্থিতিশীল করতে ব্যবহৃত কোবাল্ট যৌগ এর জন্য দায়ী। অবশ্য খুবই সামান্য পরিমাণে কোবাল্ট আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজন হয়। ভিটামিন বি ১২ এ সামান্য কোবাল্ট আছে। তবে কারো শরীরে খুব কম কোবাল্ট থাকা খুবই বিরল। কিছু মানুষের কোবাল্টের সংস্পর্শে ত্বকে অ্যালার্জি হতে পারে।