উইকিশৈশব:রাসায়নিক মৌল/ক্রিপ্টন
ধাতুটি দেখতে, স্পর্শে, স্বাদে, অথবা গন্ধে কেমন লাগে?
সম্পাদনাক্রিপ্টন একটি নিষ্ক্রিয় পদার্থ। এটির কোন গন্ধ নেই এবং এটি একটি বর্ণহীন গ্যাসীয় পদার্থ।
ধাতুটি কিভাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল?
সম্পাদনা১৮৯৮ সালের ৩০ মে লন্ডনে স্কটিশ রসায়নবিজ্ঞানী ও পদার্থবিজ্ঞানী স্যার উইলিয়াম র্যামজি (১৮৫২-১৯১৬) এবং ব্রিটিশ রসায়নবিজ্ঞানী মরিস ট্র্যাভার্স (১৮৭২-১৯৬১) ক্রিপ্টন আবিষ্কার করেন। তারা তরল বাতাস ফুটিয়ে এটি আবিষ্কার করেছিল এবং অবশিষ্ট কিছু তরল ছিল ক্রিপ্টন। র্যামজি ক্রিপ্টনসহ একাধিক নিষ্ক্রিয় গ্যাস আবিষ্কারের জন্য ১৯০৪ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন।
ধাতুটির নাম কোথা থেকে এসেছে?
সম্পাদনাএই মৌলটির নাম নাম রাখা হয়েছে গ্রিক শব্দ kryptos (ক্রিপ্টোস) থেকে। এটি বাংলায় অনুবাদ করলে হয় "লুকানো"।
এটি কোথায় পাওয়া যায়?
সম্পাদনাক্রিপ্টন একটি নিষ্ক্রিয়-গ্যাসীয় পদার্থ। এটি একমাত্র উৎস হলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল। বিজ্ঞানীদের ধারণা অনুযায়ী পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের প্রায় ০.০০০১% ক্রিপ্টন গ্যাস রয়েছে।
এর ব্যবহার কোথায়?
সম্পাদনাপতিত আলোতে ক্রিপ্টন একটি ফিলিং গ্যাস হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এটি ফ্ল্যাশ ল্যাম্প এবং উচ্চ গতির ফটোগ্রাফির জন্যও ব্যবহার করা হয়। এটি লেজারের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে এবং সোভিয়েত ইউনিয়নে কতটুকু পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন হয় তা পরিমাপ করার জন্য স্নায়ুযুদ্ধেও ব্যবহার করা হয়েছিল।
ধাতুটি কি বিপজ্জনক?
সম্পাদনাক্রিপ্টন একটি গন্ধহীন এবং বর্ণহীন গ্যাস। এটি নিষ্ক্রিয় মৌল অর্থাৎ এরা সহজে অপর মৌলের সাথে বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না। তাই এদের বিপজ্জনক বলে মনে করা হয় না। ক্রিপ্টন যে গ্যাসে বিক্রিয়া করে তা হল ফ্লোরিন। এই বিক্রিয়ার ফলে ক্রিপ্টন ডাইফ্লুরাইড উৎপন্ন হয়।