গ্যাস সম্পাদনা

গ্যাসের সন্ধানে সম্পাদনা

 
তুমি প্রতিদিন যে সব গ্যাসের মুখোমুখি হও সেগুলি বেশিরভাগই অদৃশ্য, কিন্তু ক্লোরিন গ্যাস দেখা যায়।

গ্যাস সর্বত্র রয়েছে। প্রকৃতিতে বায়ুমণ্ডল নামে একটি স্তর আছে। বায়ুমণ্ডল গ্যাসের একটি বড় স্তর যা পৃথিবীকে ঘিরে রয়েছে। এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩০০ মাইল (৪৮০ কিমি) পর্যন্ত বিস্তৃত।[১] কঠিন পদার্থে অণু এবং পরমাণুগুলি ঠাসাঠাসি এবং একসাথে কাছাকাছি থাকে। তরল পদার্থের কণা সাধারণত একটু বেশি ছড়িয়ে থাকে। তবে গ্যাসের নির্দিষ্ট কোনো আয়তন নেই। তারা যতটা সম্ভব প্রসারিত হয়ে থাকে। গ্যাসের অণু এবং পরমাণুগুলি শক্তিতে পূর্ণ হয়ে অবিরাম ঘুরে বেড়াচ্ছে।

গ্যাস যেকোনো আকার বা আকৃতির একটি পাত্রে রাখলে সেটি পূর্ণ করতে পারে। এটি তাদের ভৌত ধর্ম এবং বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি। একটি বেলুনের কথা চিন্তা কর। তুমি যে আকারেরই বেলুন তৈরি কর না কেন, এটি গ্যাসের কণা দিয়ে পুরোটাই পূর্ণ হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে অণু এবং পরমাণুগুলি পুরো বেলুন জুড়ে সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে। তরল যেখানে কেবল পাত্রের নীচের অংশটি পূরণ করে, গ্যাস সেখানে পাত্রটিকে সম্পূর্ণরূপে পূরণ করে ফেলে।

কঠিন এবং তরল পদার্থের তুলনায়, গ্যাসীয় পদার্থ তুলনামূলকভাবে সামান্য চাপ দিলেও সংকুচিত হতে পারে। এটা সব সময় একই রকমভাবে ঘটে। চাপ এবং ক্রমহ্রাসমান তাপমাত্রা এই দুয়ের সংমিশ্রণে গ্যাস যে কোনো নলের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। এই ধরনের গ্যাস আমরা প্রতিদিন ব্যবহারও করি। তুমি হয়তো একটি স্প্রে বোতলে সংকুচিত বায়ু দেখে থাকবে বা সোডার বোতল থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড দ্রুত বের হয়ে যাচ্ছে এটাও হয়তো তোমার নজরে এসেছে। এই দুটি উদাহরণই হলো গ্যাসকে কম জায়গায় জোর করে প্রবেশ করানো। এক্ষেত্রে গ্যাসটি সুযোগ পেলেই প্রথমে পালিয়ে যায়।

তুমি হয়তো বাষ্প শব্দটি শুনে থাকবে। বাষ্প এবং গ্যাস অনেক সময় একই অর্থে ব্যবহার করা হয়। তবে বাষ্প শব্দটি এমন পদার্থগুলির ক্ষেত্রে বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয় যে পদার্থগুলি ঘরের তাপমাত্রায় সাধারণত তরল থাকে। কিন্তু বেশি তাপমাত্রায় পদার্থগুলি গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে। আবার কার্বন ডাই অক্সাইডের মতো যৌগগুলির ক্ষেত্রে ঘরের তাপমাত্রায় যে এটি গ্যাস সেটি আলাদা করে বলার প্রয়োজন হয় না। তাই বিজ্ঞানীরা কদাচিৎ কার্বন ডাই অক্সাইডকে বাষ্প বলেন। জল এবং পারদ ঘরের তাপমাত্রায় তরল, তাই গ্যাসে পরিবর্তিত হওয়ার পরেও এগুলিকে জলীয় বাষ্প এবং পারদ বাষ্প বলা হয়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা