উইকিশৈশব:রাসায়নিক মৌল/তামা
ধাতুটি দেখতে, স্পর্শে, স্বাদে, অথবা গন্ধে কেমন লাগে?
সম্পাদনাতামা একটি লালচে-কমলা ধাতু। রূপালী বা ধূসর ছাড়া অন্য রঙের যে দুটি মাত্র ধাতু আছে তামা তার মধ্যে একটি। অন্য ধাতুটি হলো সোনা।
ধাতুটি কিভাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল?
সম্পাদনাপ্রায় ১০,০০০ বছর আগে মানুষ মাটি খুঁড়ে বিশুদ্ধ ধাতব তামার সন্ধান খুঁজে পেয়েছিল। এই সব তামা সংগ্রহ করে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে নানা ধরনের অস্ত্র, সরঞ্জাম এবং আলংকারিক কাজে ব্যবহৃত হতো। উত্তর ইরাকে তামার তৈরি একটি দোলক পাওয়া গিয়েছে যা প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ৮৭০০ বছরের পুরোনো। এটি পৃথিবীর প্রাচীনতম তামার তৈরি উপকরণ।
ধাতুটির নাম কোথা থেকে এসেছে?
সম্পাদনারোমান সভ্যতায় সাইপ্রাস দ্বীপের তামার খনি থেকে প্রচুর তামা তৈরি হতো। এর থেকেই তামার নাম হয়েছে ‘সাইপ্রাম’। ‘সাইপ্রাম’ কথার মানে হলো ‘সাইপ্রাসের ধাতু’। পরে বলা হলো ‘কিউপ্রাম’। তাই তামার ইংরাজি কপার শব্দটি ল্যাটিন শব্দ ‘কিউপ্রাম’ থেকে এসেছে।
তুমি কি জান?
- রোমান দেবী ভেনাসের প্রতীক ছিল তামা, যার কাছে সাইপ্রাস দ্বীপ পবিত্র ছিল।
- আমেরিকার স্ট্যাচু অফ লিবার্টিতে ১,৭৯,২০০ পাউন্ড (৮১.৩ টন) তামা রয়েছে।
- যখন তামার একটি রূপ (যার নাম তুঁতে) পানিতে দ্রবীভূত হয়, তখন সেই পানি নীল হয়ে যায়।
ধাতুটি কোথায় পাওয়া যায়?
সম্পাদনাভূগর্ভে আকরিক আকারে তামা পাওয়া যায়। তামার প্রধান আকরিক উৎপাদনকারী দেশগুলি হল চিলি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, পেরু, রাশিয়া, কানাডা, চীন, পোল্যান্ড, কাজাখস্তান, জাম্বিয়া, জায়ার এবং মেক্সিকো।
এটা কি বিপজ্জনক?
সম্পাদনাঅনেক জীবের ক্ষেত্রে সামান্য তামার প্রয়োজন হয়। তবে তামার মাত্রা বেশি হলে বিষাক্ত হতে পারে।