উইকিশৈশব:রাসায়নিক মৌল/নিকেল
ধাতুটি দেখতে, স্পর্শে, স্বাদে, অথবা গন্ধে কেমন লাগে?
সম্পাদনানিকেল একটি রূপালী সাদা ধাতু।
ধাতুটি কিভাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল?
সম্পাদনা১৭৫৭ সালে সুইডেনের স্টকহোমে অ্যাক্সেল ফ্রেডরিক ক্রনস্টেড নামে একজন সুইডিশ বিজ্ঞানী এক ধরনের খনিজ থেকে তামা নিষ্কাশনের উদ্যোগ নেন। ঐ খনিজে তিনি তামা পাননি। তার বদলে পেলেন রুপোর মতো সাদা এক ধাতু। নতুন এই ধাতুর নাম নিকেল।
ধাতুটির নাম কোথা থেকে এসেছে?
সম্পাদনা১৬৯৪ সালে সুইডেনের খনিজবিদ হার্নে এক অজানা খনিজকে তামার আকরিক বলে ভুল করেন। বেশ কয়েকবার ওই আকরিক থেকে তামা নিষ্কাশন করতে গিয়ে ব্যর্থ হন। তখন ওই খনিজের নাম দিলেন ‘নিক’ (Nick)। ওই শয়তানই তামা নিষ্কাশনে বাধা দিচ্ছে। পাহাড়ের শয়তানকে ‘নিক’ বলা হয়। পরে ওই ‘নিক’ থেকে নিকেল নামটি এসেছে।
তুমি কি জান?
- মার্কিন নিকেল মুদ্রায় মাত্র ২৫% নিকেল বাকি ৭৫% তামা থাকে।
ধাতুটি কোথায় পাওয়া যায়?
সম্পাদনাসারা বিশ্বে নিকেল উৎপাদনের শতকরা প্রায় তিরিশ ভাগ কানাডার ওন্টারিও থেকে আসে। ইন্দোনেশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বের মোট ৪৩.৬ ভাগ নিকেল মজুত রয়েছে।
ধাতুটির ব্যবহার কোথায়?
সম্পাদনাবিভিন্ন দেশের মুদ্রায় নিকেল ব্যবহার হয়। শিল্পে ও কারখানায় নিকেলের ব্যবহার রয়েছে।
এটা কি বিপজ্জনক?
সম্পাদনানিকেলের যৌগ মানবদেহের পক্ষে ক্ষতিকারক। সংবেদনশীল ত্বকের ক্ষেত্রে নিকেল থেকে ত্বকের অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে।