উইকিশৈশব:রাসায়নিক মৌল/প্লাটিনাম
ধাতুটি দেখতে কেমন?
সম্পাদনাপ্ল্যাটিনাম দেখতে ধূসর-সাদা রঙের। এটি একটি ভারী ধাতু। ধাতুটির গলনাঙ্ক ১৭৬৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা একটি বুনসেন বার্নারের শিখার থেকে বেশি। তাই বুনসেন বার্নারের শিখায় প্ল্যাটিনাম গরম করলে এটি লাল-কমলা রঙে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। প্লাটিনামের স্ফুটনাঙ্ক ৩৮২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রার উপরে গরম করলে, এটি উজ্জ্বল কমলা বাষ্পে পরিণত হয়।
ধাতুটি কিভাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল?
সম্পাদনাএটি প্রথম দক্ষিণ আমেরিকানদের দ্বারা আবিষ্কৃত হয়েছিল এবং প্রাক-কলম্বিয়ান ভারতীয়রা ব্যবহার করেছিল। ধাতুটিকে ১৭৫০ এর দশকে ইউরোপে নিয়ে আসা হয়। ১৭৪১ সালে চার্লস উড স্বাধীনভাবে প্ল্যাটিনাম নিষ্কাশন করেছিলেন।
ধাতুটির নাম কোথা থেকে এসেছে?
সম্পাদনাস্প্যানিশ শব্দ প্লাটিনা থেকে প্লাটিনাম নামটি এসেছে। "প্লাটিনা" শব্দের মানে হলো "লিটি্ল সিলভার" অর্থাৎ "ছোট রূপা"।
তুমি কি জান?
- প্ল্যাটিনাম, যদিও এটি একটি ধাতু, ফ্লোরাইটের মতো খনিজ দ্বারা এতে দাগ দেওয়া যায়।
- প্ল্যাটিনাম একটি মূল্যবান ধাতু, প্রতি আউন্সের দাম ১০০০ পাউণ্ডেরও বেশি।
ধাতুটি কোথায় পাওয়া যায়?
সম্পাদনাপ্ল্যাটিনাম দক্ষিণ আমেরিকা এবং রাশিয়ায় পাওয়া যায়। এটি নিকেল এবং তামা নিষ্কাশনের সময় উপজাত হিসাবে সংগ্রহ করা হয়।
এর ব্যবহার কোথায়?
সম্পাদনাগয়না, পরীক্ষাগারের সরঞ্জাম, বৈদ্যুতিক যোগাযোগ শিল্পে এবং দন্তচিকিৎসায় প্লাটিনাম ধাতু ব্যবহৃত হয়। মোটর গাড়ির ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমন নিয়ন্ত্রণে গাড়ির ক্যাটালাইটিক কনভার্টারে প্লাটিনাম ধাতুর ব্যবহার দেখা যায়।
ধাতুটি কি বিপজ্জনক?
সম্পাদনাপ্লাটিনাম ধাতব অবস্থায় বিপজ্জনক নয়। তবে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে, সুরক্ষা বিধি না মেনে প্ল্যাটিনামের লবণ স্বল্প-মেয়াদে নাড়াচাড়া করলে চোখ, নাক এবং গলার জ্বালা হতে পারে। আর দীর্ঘমেয়াদে এটি শ্বাসপ্রশ্বাস এবং ত্বক উভয়ের অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।