উইকিশৈশব:রাসায়নিক মৌল/ফ্রান্সিয়াম

পর্যায় সারণীতে ফ্রান্সিয়ামের অবস্থান।
পর্যায় সারণিতে ফ্রান্সিয়াম-এর প্রতীক

ধাতুটি দেখতে, স্পর্শে, স্বাদে, অথবা গন্ধে কেমন লাগে? সম্পাদনা

ফ্রান্সিয়াম স্থায়ী ধাতু নয়। এটি একটি অস্থায়ী ধাতু। অন্য মৌলের সাথে বিক্রিয়া করতে সক্ষম। এর রূপালী এবং ধূসর রং আছে। ফ্রানসিয়াম খুব বিরল ধাতু। তোমরা কেউ ফ্র্যান্সিয়ামের স্বাদ গ্রহণ কোরো না যেন। কারণ এটি তেজস্ক্রিয় রশ্মি বিকিরণ করে যার ফলে তুমি মারা যেতে পারো। সুতরাং সাবধান! কখনো এর স্বাদ গ্রহণ করার কথা তো দূর তোমারা এর স্বাদ গ্রহণ করার চেষ্টা করবে না কখনো।

 
ফ্র্যান্সিয়াম, একটি কৃত্রিম পদার্থ।

ধাতুটি কিভাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল? সম্পাদনা

১৯৩৯ সালে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থিত কুরি ইনস্টিটিউটে মার্গুরাইট পেরেই এই মৌলটি আবিষ্কার করেছিলেন।

ধাতুটির নাম কোথা থেকে এসেছে? সম্পাদনা

এর নামকরণ করা হয়েছে ফ্রান্স নামক এক রাষ্ট্রের নামে। এটিকে প্রথমে "ক্যাটিয়াম" বলা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এটির বিরোধিতা করা হয়েছিল কারণ ইংরেজি ভাষাভাষীরা এটিকে বিড়াল নামক প্রাণীটির সাথের এটিকে তুলনা করতে পারে।

 
ফ্র্যান্সিয়ামের ইলেক্ট্রন বিন্যাস

এটি কোথায় পাওয়া যায়? সম্পাদনা

পৃথিবীতে প্রাকৃতিকভাবে ফ্র্যান্সিয়াম পাওয়া যায় না। এটি মূলত কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়। প্রোটন দিয়ে থোরিয়াম মৌলকে আঘাত করে বা নিউট্রন দিয়ে রেডিয়াম মৌলকে আঘাত করে করে ফ্রানসিয়াম তৈরি করা যেতে পারে।

এর ব্যবহার কোথায়? সম্পাদনা

ফ্রান্সিয়াম একটি অস্থায়ী মৌল। এটি অন্যান্য মৌলে দ্রুত ভেঙ্গে যায়। তাই গবেষণা বা অন্যকিছুতে ফ্রান্সিয়ামের তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য ব্যবহার নেই।

ধাতুটি কি বিপজ্জনক? সম্পাদনা

ফ্রান্সিয়াম অত্যন্ত তেজস্ক্রিয় মৌলের একটি। এটি জল, বায়ু এবং হ্যালোজেন সাথে বিক্রিয়া করতে সক্ষম। যার ফলে প্রকৃতি মারাত্মকভাবে বিনষ্ট হবে।

তুমি কি জানো?

  • প্রথমে ফ্রান্সিয়ামের প্রতীক ছিল Fa এবং পরে এটির প্রতীক Fr হয়েছিল।
  • পর্যায় সারণীতে প্রথম ১০১টি মৌলের মধ্যে ফ্রান্সিয়াম হল সবচেয়ে অস্থায়ী মৌল।
  • ফ্রান্সিয়াম হলো পৃথিবীর ভূত্বকের দ্বিতীয় বিরল মৌল এবং তৃতীয় বিরল মৌলটির নাম হলো অ্যাস্টাটিন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা