উইকিশৈশব:রাসায়নিক মৌল/বিসমাথ
ধাতুটি দেখতে, স্পর্শে, স্বাদে, অথবা গন্ধে কেমন লাগে?
সম্পাদনাবিসমাথ একটি নরম ভঙ্গুর, ভারী, গোলাপী রঙের রূপালী ধাতু। বাতাসের সংস্পর্শে এলে এটি বিবর্ণ হয়ে যায়। স্ফটিক অবস্থায় বিসমাথের থেকে রংধনুর রঙের প্রতিফলন হয়। এই ধাতুটির গন্ধ নির্ধারণ করা যায় নি।
ধাতুটি কিভাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল?
সম্পাদনাশতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিসমাথ ব্যবহার হয়ে এসেছে। তবে এটি আসলে কী তা না জেনেই লোকেরা ব্যবহার করতো। আগেকার মানুষেরা এটিকে টিন কিংবা সীসা মনে করে ভুল করেছিল। ১৭৫৩ সালে, ক্লদ ফ্রাঁসোয়া জিওফ্রয় দেখিয়েছিলেন যে এটি টিন বা সীসা নয়। এটি একটি আলাদা মৌল।
ধাতুটির নাম কোথা থেকে এসেছে?
সম্পাদনাবিসমাথ ল্যাটিন শব্দ বিসেমুটাম bisemutum থেকে এসেছে। বিসেমুটাম শব্দটি আবার জার্মান শব্দ উইসমথ Wismuth থেকে এসেছে। যার অর্থ হলো "সাদা ভর"।
তুমি কি জানো?
- তেজস্ক্রিয় নয় এমন মৌলদের মধ্যে বিসমাথ হল সবচেয়ে ভারী মৌল।
- এটি সুন্দর স্ফটিক গঠন করে।
- পৃথিবীর ভূত্বকে যতটা সোনা আছে তার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বিসমাথ রয়েছে।
ধাতুটি কোথায় পাওয়া যায়?
সম্পাদনাপৃথিবীতে বিসমাথ খুব বেশি নেই। পৃথিবীর ভূত্বকে যতটা সোনা আছে তার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বেশি। বিসমাথ প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে এর সালফাইড ও অক্সাইড আকরিকগুলো থেকেই এটি বাণিজ্যিকভাবে নিষ্কাশন করা হয়।
এর ব্যবহার কোথায়?
সম্পাদনাবিশুদ্ধ বিসমাথ দেখতে সুন্দর হলে কি হবে এটি সরাসরি ব্যবহার করা হয় না। বিসমাথের অল্প কিছু বাণিজ্যিক প্রয়োগ রয়েছে।