উইকিশৈশব:রাসায়নিক মৌল/ভ্যানাডিয়াম
ধাতুটি দেখতে কেমন?
সম্পাদনাভ্যানডিয়াম ধাতুটি দেখতে চকচকে, হালকা ধূসর, নমনীয়। ধাতব অবস্থায় এটি কঠিন পদার্থ এবং সাধারণ তাপমাত্রায় ধাতুটি দেখতে গাঢ় নীল-ধূসর রঙের। এর গলনাঙ্ক প্রায় ১,৯০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এর স্ফুটনাঙ্ক প্রায় ৩,০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ধাতুটি কিভাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল?
সম্পাদনা১৮০১ সালে আন্দ্রেজ মানুয়েল ডেল রিও সর্বপ্রথম ভ্যানাডিয়াম আবিষ্কার করেছিলেন। কিন্তু তিনি নিশ্চিত হবার জন্য খনিজের একটি নমুনা প্যারিসের গবেষণাগারে পাঠিয়ে দেন। ফরাসি রসায়নবিদরা জানায় তিনি কিছু ভুল করেছেন। ঐ খনিজে ক্রোমিয়ামের মতো কিছু রয়েছে, ভ্যানডিয়াম নয়। আন্দ্রেজ তার দাবি ছেড়ে দেন। ১৮৩০ সালে স্টকহোমে সুইডিশ রসায়নবিদ নীলস গ্যাব্রিয়াল সেফস্ট্রোম নতুন করে ভ্যানাডিয়াম আবিষ্কৃার করেন।
ধাতুটির নাম কোথা থেকে এসেছে?
সম্পাদনাস্ক্যান্ডিনেভিয়ায় ভালোবাসা ও সৌন্দর্যের দেবীর নাম 'ভ্যানাডিস'। তার নামানুসারে মৌলের নামকরণ করা হয়েছিল 'ভ্যানাডিয়াম'।
তুমি কি জান?
- স্থলে বসবাসকারী প্রাণীদের তুলনায় সামুদ্রিক প্রাণীদের মধ্যে বেশি পরিমাণে ভ্যানাডিয়াম পাওয়া যায়।
- ডেল রিওর নামানুসারে এই মৌলের নাম প্রথমে "রিওনিয়াম" রাখা হয়েছিল কিন্তু পরে পরিবর্তন করে 'ভ্যানাডিয়াম' নাম রাখা হয়।
- বিশ্বের বেশিরভাগ ভ্যানডিয়াম আকরিক দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন এবং রাশিয়া এই তিনটি দেশ থেকে উত্তোলন করা হয়।
এর ব্যবহার কোথায়?
সম্পাদনাবেশিরভাগ সংকর ধাতু (ধাতুর মিশ্রণ) তৈরিতে ভ্যানডিয়াম ব্যবহার করা হয়, বিশেষ করে এমন ধাতু তৈরিতে যাতে মরিচা পড়ে না। অতিপরিবাহী চুম্বক তৈরি করতেও ভ্যানডিয়াম ব্যবহৃত হয়।
এটা কি বিপজ্জনক?
সম্পাদনাভ্যানডিয়াম বিষাক্ত হতে পারে কিন্তু এর প্রভাব খুব গুরুতর নয়। বেশি পরিমাণ ভ্যানডিয়ামের গুঁড়োর উপস্থিতিতে শ্বাস নিলে এটি ফুসফুসের ক্ষতি করতে পারে। সুরক্ষা বিধি না মেনে ভ্যানাডিয়াম নিয়ে প্রতিদিন কাজ করলে এটি বিপজ্জনক হতে পারে।