উইকিশৈশব:রাসায়নিক মৌল/ম্যাঙ্গানিজ
ধাতুটি দেখতে, স্পর্শে, স্বাদে, অথবা গন্ধে কেমন লাগে?
সম্পাদনাম্যাঙ্গানিজ একটি হালকা ধূসর ধাতু অনেকটা লোহার মতো। এটি একটি শক্ত ধাতু এবং খুব ভঙ্গুর।
ধাতুটি কিভাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল?
সম্পাদনাকুড়ি হাজার বছরেরও আগে গুহার চিত্রগুলিকে রঙ করতে ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্সাইড ব্যবহার করা হয়েছিল। এটি কয়েক হাজার বছর ধরে কাচ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সম্প্রতি আলকেমিস্টরা এটি নিয়ে পরীক্ষা করেছেন। ১৭০০ সালের এর প্রথম দশকে রসায়নবিদরা জানতেন যে এই খনিজে এমন একটি উপাদান রয়েছে যা তারা এখনও সনাক্ত করতে পারেনি। ১৭৭৪ সালে সুইডিশ রসায়নবিদ যোহান গটলিয়েব গাহ্ন সর্বপ্রথম এই মৌলটি আলাদা করতে সক্ষম হন।
ধাতুটির নাম কোথা থেকে এসেছে?
সম্পাদনাতুমি কি জান?
- শতকরা ১২ভাগ ম্যাঙ্গানিজ দিয়ে তৈরি ইস্পাতের হেলমেট ব্রিটিশ সৈন্যরা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহার করেছিল। একে বলা হতো ব্রোডি হেলমেটে।
- কুড়ি হাজার বছরেরও আগে গুহার চিত্রগুলিকে রঙ করতে ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্সাইড ব্যবহৃত হয়।
প্রাচীনকালে ম্যাগনেসিয়া নামক একটি অঞ্চলে (যা এখন আধুনিক গ্রীসে) একটি কালো খনিজ পাওয়া গিয়েছিল। এই খনিজটি কাচ তৈরি করতে ব্যবহার করা হতো। ষোড়শ শতাব্দীতে মিশেল মের্কাটি নামে একজন ডাক্তার এই খনিজটিকে ম্যাঙ্গানেসা নাম দেন। পরে খনিজটির থেকে আলাদা করা ধাতুটি ম্যাঙ্গানিজ নামে পরিচিত হয়।
ধাতুটি কোথায় পাওয়া যায়?
সম্পাদনাম্যাঙ্গানিজ সারা বিশ্বে পাওয়া যায়। তবে বিশ্বের পরিচিত ম্যাঙ্গানিজ সম্পদের প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ দক্ষিণ আফ্রিকায়। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ম্যাঙ্গানিজ খনিজের ভাণ্ডার রয়েছে ইউক্রেন, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, চীন, এবং ব্রাজিলে। ম্যাঙ্গানিজের প্রধান আকরিক হলো পাইরোলোসাইট।
এর ব্যবহার কোথায়?
সম্পাদনাম্যাঙ্গানিজের সব চেয়ে বেশি ব্যবহার ইস্পাত শিল্পে। ম্যাঙ্গানিজযুক্ত ইস্পাত খুব দৃঢ় এবং ঘাতসহ হয়। ব্যাটারি, কাচ এবং সিরামিক শিল্পেও ম্যাঙ্গানিজ ব্যবহৃত হয়। ফ্রান্সের গুহাচিত্রে ম্যাঙ্গানিজের ব্যবহার পাওয়া গেছে। সংকর ধাতু তৈরিতে ম্যাঙ্গানিজের ব্যবহার দেখা যায়।
ধাতুটি কি বিপজ্জনক?
সম্পাদনামানবদেহে অল্প ম্যাঙ্গানিজের প্রয়োজন হয়। তবে এত অল্প পরিমাণে যে কারও পক্ষে এর ঘাটতি থাকা প্রায় অসম্ভব। বেশিরভাগ ধাতুর মতো প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজের সংস্পর্শ ক্ষতিকর হতে পারে।