উইকিশৈশব:রাসায়নিক মৌল/রুবিডিয়াম
ধাতুটি দেখতে, স্পর্শে, স্বাদে, অথবা গন্ধে কেমন লাগে?
সম্পাদনারুবিডিয়াম দেখতে রূপালি সাদা রঙের। এটি নরম নমনীয় ধাতু। নমনীয় বলে এটিকে না ভেঙ্গে পাতলা তারে পরিণত করা যায়। ধাতুটির কোনো গন্ধ নেই।
ধাতুটি কিভাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল?
সম্পাদনা১৮৬১ সালে দুই জার্মান রসায়নবিদ, রবার্ট বুনসেন এবং গুস্তাভ কির্চহফ শিখা বর্ণালি পরীক্ষা ব্যবহার করে রুবিডিয়াম ধাতুটি আবিষ্কার করেন। সেইসময় শিখা বর্ণালির সাহায্যে মৌল চেনার পদ্ধতিটি একেবারে নতুন ছিল। ঐ পদ্ধতিতে বিজ্ঞানীরা একটি শিখার সাহায্যে যার উপাদান পরীক্ষা করতে হবে তাতে তাপ দিতেন। উপাদান থেকে নির্গত আলোর বর্ণালি পর্যবেক্ষণ করা হতো।
ধাতুটির নাম কোথা থেকে এসেছে?
সম্পাদনারবার্ট বুনসেন এবং গুস্তাভ কির্চহফ তাদের বর্ণালি-বীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে আলোর রঙের উপর ভিত্তি করে এই মৌলটির নামকরণ করেছিলেন। ল্যাটিন শব্দ রুবিডাস এর অর্থ লাল।
তুমি কি জান?
- বাতাসের সংস্পর্শে রুবিডিয়াম স্বতঃস্ফূর্তভাবে জ্বলে ওঠে।
- আতশবাজিতে বেগুনি রঙ করতে রুবিডিয়াম ব্যবহার করা হয়।
- "রুবিডিয়াম" নামটি ল্যাটিন শব্দ "রুবিডাস" থেকে এসেছে।
ধাতুটি কোথায় পাওয়া যায়?
সম্পাদনাপ্রাকৃতিতে লিউসাইট, পলুসাইট, কার্নালাইট এবং জিনওয়ালডাইট প্রভৃতি খনিজে রুবিডিয়াম থাকে। তবে এইসব খনিজে শতকরা এক ভাগ রুবিডিয়াম অক্সাইড থাকে। রুবিডিয়ামের অন্য খনিজ লেপিডোলাইটে শতকরা ০.৩ ভাগ থেকে শতকরা ৩.৫ ভাগ রুবিডিয়াম থাকে। এই খনিজটি রুবিডিয়ামের বাণিজ্যিক উৎস।
এর ব্যবহার কোথায়?
সম্পাদনাকিছু আতশবাজিতে বেগুনি রঙের জন্য রুবিডিয়াম ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন উচ্চ প্রযুক্তির সরঞ্জামে রুবিডিয়াম ব্যবহৃত হয়। ভ্যাকুয়াম নলের ভিতর থেকে খুবই কম মাত্রার গ্যাসগুলিকে একত্রিত করে এবং সরিয়ে নলের ভিতর বায়ুশূন্য রাখতে এই ধাতুটি ব্যবহার করা হয়। এটি লেজার এবং উচ্চ মানের সময় মাপার ঘড়িতেও ব্যবহৃত হয়। আলোকসংবেদী কোষ এবং বিশেষ ধরনের কাচ তৈরিতেও রুবিডিয়ামের ব্যবহার দেখা যায়। যেহেতু এটি সহজে আয়নিত হয়, তাই মহাকাশযানের আয়ন ইঞ্জিনের প্রপেলান্ট হিসেবে রুবিডিয়াম ব্যবহার করা হয়।
ধাতুটি কি বিপজ্জনক?
সম্পাদনাপটাসিয়ামের মতো জলের সংস্পর্শে এলে রুবিডিয়াম জ্বলতে থাকে। তাই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।