উইকিশৈশব:রাসায়নিক মৌল/লিথিয়াম
ধাতুটি দেখতে, স্পর্শে, স্বাদে, অথবা গন্ধে কেমন লাগে?
সম্পাদনালিথিয়াম একটি খুব নরম রূপালী ধাতু। এটি মাখনের মতো সহজেই ছুরি দিয়ে কাটা যায়। লিথিয়াম বাতাসে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে কালো বর্ণ ধারণ করে। এটি সবচেয়ে হালকা ধাতু। এর ঘনত্ব মাত্র ০.৫৩ গ্রাম/সেমি৩ যা প্রায় পাইন কাঠের সমান। লিথিয়াম হালকা ধাতু। এটি পানিতে ভাসমান অবস্থায় থাকতে পারে। কিন্তু সমস্ত ক্ষারীয় ধাতুর মতো লিথিয়াম হাইড্রোক্সাইড ও হাইড্রোজেন গ্যাস তৈরি করে এবং জলের সাথে এটি অত্যন্ত হিংস্রভাবে বিক্রিয়া করে। তাই কোনো লিথিয়াম স্নানের/গোসলের খেলনা হিসেবে আশা করবে না।
ধাতুটি কিভাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল?
সম্পাদনা১৭৯০ সালে ব্রাজিলের রসায়নবিদ রসায়নবিদ জোস বনিফেকো ডি অ্যান্ড্রাডা ই সিলভা সুইডেনের একটি লোহার খনি আবিষ্কার করেছিলেন। ১৮১৭ সালে বিজ্ঞানী জোহান অগাস্টা আর্ফওয়েডসন ও বিজ্ঞানী ইয়নস জ্যাকব বার্জেলিয়াস লোহার খনিতে আকরিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই মৌলটি আবিষ্কার করেছিলেন।
ধাতুটির নাম কোথা থেকে এসেছে?
সম্পাদনাবিজ্ঞানী ইয়নস জ্যাকব বার্জেলিয়াস মৌলটির নাম দিয়েছিলেন Lithium (লিথিয়াম)। তিনি "লিথিয়াম" নামটি নিয়েছিলেন গ্রীক শব্দ লিথোস (lithos) থেকে। যার অর্থ হচ্ছে "পাথর"।
তুমি কি জানো?
- মহাবিশ্বের শুরুতে বিগ ব্যাং সংগঠিত হওয়ার সময় সংশ্লেষিত কয়েকটি উপাদানের মধ্যে লিথিয়াম ছিলো একটি।
এটি কোথায় পাওয়া যায়?
সম্পাদনালিথিয়াম খনিজ ঝর্ণা জলে এবং বেশিরভাগ আগ্নেয় শিলায় পাওয়া যায়।
এর ব্যবহার কোথায়?
সম্পাদনালিথিয়াম এক বস্তু থেকে অন্য বস্তুতে তাপ স্থানান্তর করতে ব্যবহৃত হয়। কিছু জিনিসে লিথিয়াম ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ চশমা, জৈব যৌগ, এবং সিরামিক। এটি ব্যাটারিতেও ব্যবহৃত হয় কারণ এটি বিদ্যুত সুপরিবাহী। লিথিয়াম লবণ বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত রোগীদের জন্য মেজাজ-স্থিতিশীল হিসাবে ওষুধে ব্যবহৃত হয়।
ধাতুটি কি বিপজ্জনক?
সম্পাদনালিথিয়াম একটি বিষাক্ত মৌল। কারণ এটি খুব প্রতিক্রিয়াশীল অর্থাৎ এটি সহজেই অন্য মৌলের সাথে বিক্রিয়া করতে সক্ষম। ত্বকের সংস্পর্শে এটি আসলে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।