উইকিশৈশব:রাসায়নিক মৌল/সিজিয়াম
ধাতুটি দেখতে, স্পর্শে, স্বাদে, অথবা গন্ধে কেমন লাগে?
সম্পাদনাসিজিয়াম দেখতে রূপালী ও সোনালী রঙের মিশ্রণের মতো। এটি একটি নরম ক্ষারীয় ধাতু। এটির গলনাঙ্ক ২৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
ধাতুটি কিভাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল?
সম্পাদনা১৮৬০ সালে দুই জার্মান রসায়নবিজ্ঞানী রবার্ট বুনসেন এবং গুস্তাভ কিরশফ সিজিয়াম আবিষ্কার করেছিলেন। তাঁরা জার্মানির একটি স্পার খনিজ পানি থেকে স্পেকট্রোস্কোপ ব্যবহার করে এটি আবিষ্কার করেছিলেন। স্পেকট্রোস্কোপ নামক এই যন্ত্রটি আগের বছর তাঁরা আবিষ্কার করেন।
ধাতুটির নাম কোথা থেকে এসেছে?
সম্পাদনাতুমি কি জানো?
- এটি কক্ষ তাপমাত্রায় (২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়) পর্যন্ত তরল অবস্থায় পরিণত হয় অর্থাৎ এর গলনাঙ্ক ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
- এটি খুব সূক্ষ্ম সময় পরিমাপে যেমন আ্যটোমিক ক্লক বা পারমাণবিক ঘড়িতে ব্যবহার করা হয়।
- সিজিয়াম যখন তরল থাকে তখন এটিকে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়।
দুই জার্মান রসায়নবিজ্ঞানী রবার্ট বুনসেন এবং গুস্তাভ কিরশফ আলোর রঙের ভিত্তি করে তাঁদের স্পেকট্রোস্কোপ যন্ত্রের সাহায্যে এই মৌলটির নামকরণ করেছিলেন। তাঁরা স্পেকট্রোস্কোপ যন্ত্রের সাহায্যে নীলাভ-ধূসর রঙের একটি পদার্থ দেখতে পান। তাঁরা এটিকে Ceasium(সিজিয়াম) নাম দেন এবং এই Ceasium(সিজিয়াম) শব্দটি নেওয়া হয়েছিল ল্যাটিন শব্দ Ceasius(সিজিয়াস) থেকে। যার মানে নীলাভ-ধূসর।
এটি কোথায় পাওয়া যায়?
সম্পাদনাএর ব্যবহার কোথায়?
সম্পাদনাসিজিয়াম গাড়ি চালানোর তেল এবং বৈদ্যুতিক শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সিজিয়াম অক্সিজেন এবং অন্যান্য গ্যাসের সাথে ভালভাবে বিক্রিয়া করে। তাই টিউব থেকে অবশিষ্ট অক্সিজেন অপসারণের জন্য ভ্যাকুয়াম টিউব তৈরিতেও এটি সহায়ক।
ক্যাথোড টিউবগুলিতে আবরণী হিসাবে এটি ব্যবহার করা হয়। এটি ব্যবহারের ফলে বৈদ্যুতিক প্রবাহ বৃদ্ধি হতে পারে।
ধাতুটি কি বিপজ্জনক?
সম্পাদনাসিজিয়াম বাতাসের সংস্পর্শে এলে পুড়ে যায় এবং পানির সংস্পর্শে এলে প্রচণ্ড জোরে বিস্ফোরিত হয়।