উইকিশৈশব:রাসায়নিক মৌল/সেরিয়াম
ধাতুটি দেখতে, স্পর্শে, স্বাদে, অথবা গন্ধে কেমন লাগে?
সম্পাদনাসেরিয়াম হল একটি বিরল আর্থ এলিমেন্ট (আরইই) গ্রুপের (ল্যান্থানাইড সিরিজে) মৌল। এটি দেখতে একটি নরম, রূপালী-ধূসর ধাতুর মত এবং এটি খুব নমনীয়। বাতাসের সংস্পর্শে এলে তা কলঙ্কিত হয়ে যায়। এটা রাসায়নিকভাবে খুবই সক্রিয় ধাতু। এটি পৃথিবীর বিরল মৌল গোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ উপাদান।
ধাতুটি কিভাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল?
সম্পাদনাএটি ১৮০৩ সালে জনস জ্যাকব বার্জেলিয়াস এবং ভিলহেল্ম হিসিঞ্জার নামে দুই সুয়েডীয় বিজ্ঞানী দ্বারা আবিষ্কৃত হয়। এটি সুইডেনের বাস্টনাস শহরে আবিষ্কৃত হয়।
ধাতুটির নাম কোথা থেকে এসেছে?
সম্পাদনা১৮০১ সালে আবিষ্কৃত গ্রহাণু সেরেসের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছিল। একটি মজার তথ্য হল গ্রহাণুটি "সেরিয়াম" উপাদানটি খুঁজে পাওয়ার দুই বছর আগে আবিষ্কৃত হয়েছিল।
তুমি কি জান?
- হামফ্রি ডেভি ইলেক্ট্রোকেমিস্ট্রি আবিষ্কার করেছিলেন যা বিজ্ঞানীদের অন্যান্য উপাদান থেকে সেরিয়ামকে আলাদা করতে সাহায্য করে।
- পৃথিবীর ভূত্বকের ওজনের প্রায় ০.০০৪৬% সেরিয়াম দ্বারা গঠিত।
- সেরিয়াম নামটি এসেছে সেরেস নামক গ্রহাণু থেকে। মানুষ এই উপাদানটিকে মানব জীবনে স্বাগত জানানোর প্রায় দুই বছর আগে গ্রহাণুটি আবিষ্কৃত হয়েছিল।
এর ব্যবহার কোথায়?
সম্পাদনাসেরিয়াম ব্যবহার করার ক্ষেত্রে দুটি ভূমিকা থাকতে পারে: ১) কাঁচকে আবার চকচকে করতে সেরিয়াম অক্সাইড ব্যবহার করা হয়। ২)ফেরোসেরিয়াম লাইটার তৈরির জন্য সেরিয়াম ধাতু ব্যবহার করা হয়। ফেরোসেরিয়াম লাইটারগুলিতে একটি ফ্লিন্ট স্পার্ক লাইটার থাকে যা আগুন জ্বালানোর পরে সামান্য স্পার্ক তৈরি করে।
ধাতুটি কি বিপজ্জনক?
সম্পাদনাএটি বিপজ্জনক কারণ এটি পানির সাথে অত্যন্ত প্রতিক্রিয়াশীল এবং বিক্রিয়ার সময় হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন করে। ছুরির মতো ধারালো বস্তু দিয়ে আঁচড় দিলেও তা জ্বলে উঠবে। তবে এটি নিরাপদ হতে পারে যদি ব্যবহার করা হয় বা অন্যান্য উপাদানের সাথে মিশ্রিত করা হয়।