উইকিশৈশব:রাসায়নিক মৌল/সোডিয়াম
ধাতুটি দেখতে, স্পর্শে, স্বাদে, অথবা গন্ধে কেমন লাগে?
সম্পাদনাবিশুদ্ধ সোডিয়াম একটি নরম এবং রূপালি ধাতু। এটি খুব সক্রিয় ধাতু। বাতাস ও জলের সংস্পর্শ সহজেই বিক্রিয়া করে। তাই সোডিয়াম ধাতুকে তেলে ডুবিয়ে রাখা হয়। এটি এতই নরম যে এটিকে ছুরি দিয়ে সহজেই কাটা যায়।
ধাতুটি কিভাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল?
সম্পাদনা১৮০৭ সালে স্যার হামফ্রে ডেভি সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড থেকে সোডিয়াম ধাতুকে আলাদা করতে সক্ষম হন।
ধাতুটির নাম কোথা থেকে এসেছে?
সম্পাদনাইংরেজি শব্দ soda থেকে সোডিয়াম নামটি এসেছে। ল্যাটিন ভাষায় একে বলা হতো ন্যাট্রিয়াম।
তুমি কি জান?
- ভূত্বকে প্রাচুর্যের দিক থেকে সোডিয়াম ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে।
- প্রাচুর্যের দিক থেকে পর্যায় সারণির প্রথম শ্রেণীতে ক্ষারীয় ধাতুদের মধ্যে সোডিয়ামই সব থেকে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়।
ধাতুটি কোথায় পাওয়া যায়?
সম্পাদনাসোডিয়ামের সবচেয়ে সাধারণ যৌগ হল সোডিয়াম ক্লোরাইড, যা লবণ বা নুন নামে বেশি পরিচিত। এটি সমুদ্রের জলে এবং খনিজ হ্যালাইটে পাওয়া যায়। মহাকাশের নক্ষত্রে সোডিয়ামের উপস্থিতি খুব সাধারণ ব্যাপার।
ধাতুটির ব্যবহার কোথায়?
সম্পাদনাআমরা প্রতিদিন সোডিয়াম ব্যবহার করি। খাবারে নোনতা স্বাদ আনতে আমরা যে খাদ্যলবণ ব্যবহার লবণ ব্যবহার করি সেটির সিংহভাগই হলো সোডিয়াম ক্লোরাইড। বেকিং সোডাতেও সোডিয়াম থাকে। যার রাসায়নিক নাম সোডিয়াম বাইকার্বোনেট। বেশিরভাগ সাবান এবং ডিটারজেন্টেও সোডিয়াম থাকে।
এটা কি বিপজ্জনক?
সম্পাদনাসোডিয়াম অত্যন্ত সক্রিয় ধাতু। জলের সংস্পর্শে সহজেই জ্বলতে পারে। এমনকি এটি বিস্ফোরণও ঘটাতে পারে।