উপস্থাপনা/মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনা
বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন শিক্ষার্থীরা কোনো বিষয়ের ওপর নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরতে সাহায্য নেয় মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের। অনেক শিক্ষক চক-ডাস্টার-ব্ল্যাকবোর্ড বা মার্কার-হোয়াইটবোর্ডে লেখালেখি বাদ দিয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিয়ে থাকেন। এতে শিক্ষার্থীরা খুব সহজে ও অল্প সময়ে অনেক কিছু বুঝতে পারে। অফিস-আদালতে এখন কোনো কর্মচারী তাদের কোম্পানির কোনো প্রজেক্টের বর্ণনা বা কাজের পরিকল্পনার কথা অন্যদের সামনে তুলে ধরার জন্য ব্যবহার করছেন নতুন এ প্রেজেন্টেশন পদ্ধতি। কিন্তু সবার চেয়ে নিজের প্রেজেন্টেশনটি আলাদা ও আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে পারলে তবেই না প্রেজেন্টেশনের সার্থকতা। প্রেজেন্টেশন এমনভাবে সাজাতে হবে, যাতে করে শ্রোতারা মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকেন পর্দার দিকে এবং কান পেতে শোনেন উপস্থাপকের বক্তব্য। আজকের আলোচনায় কিছু টিপস দেয়া হবে যাতে প্রেজেন্টেশনকে করে তোলা যায় আরও আকর্ষণীয় ও সুন্দর।
প্রেজেন্টেশনের প্রস্তুতি
মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের জন্য কিছু জিনিস থাকাটা জরুরি, তা হচ্ছে- ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কমপিউটার, ওভারহেড প্রজেক্টর, সাদাবোর্ড বা পর্দা, প্রেজেন্টেশন সফটওয়্যার, উপস্থাপকের বানানো স্লাইড। প্রেজেন্টেশনের মান ভালো করার জন্য কিছু কাজ করা দরকার। সেগুলো হচ্ছে-
০১.স্লাইডগুলোর হার্ডকপি যদি শ্রোতাদের মাঝে প্রেজেন্টেশনের আগে সরবরাহ করা হয়, তবে তা অনেক ভালো হয়।
০২.প্রেজেন্টার তার সাথে সংক্ষেপে কিছু নোট রাখতে পারেন, তবে না দেখে সবকিছু বলতে পারলে বেশি ভালো।
০৩.প্রেজেন্টারকে হতে হবে ফিটফাট।
০৪.উপস্থাপকের বাচনভঙ্গি ও শ্রোতাদের সাথে মিথষ্ক্রিয়া ভালো হতে হবে।
০৫.কথা বেশি দ্রুত বা বেশি ধীরে না বলে সুন্দরভাবে গুছিয়ে স্পষ্ট কণ্ঠে সবাই শুনতে পারে এমন আওয়াজে নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে হবে।
০৬.প্রেজেন্টেশনে স্লাইড যত কমানো সম্ভব ততই ভালো।
০৭.কম সময়ে বেশি ব্যাপার বোঝাতে সক্ষম এমনভাবে স্লাইড বানাতে হবে।
০৮.স্লাইডে মাল্টিমিডিয়ার প্রয়োগ সঠিকভাবে করতে হবে।
০৯.প্রেজেন্টেশনের সময় কোনো কিছু নির্দেশ করার জন্য আঙ্গুলের চেয়ে স্টিক বা লেজার পয়েন্টার ব্যবহার করা ভালো।