ছাগল পালন/ছাগলের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা

রোগ ব্যাধি ছাগল খামারের অন্যতম প্রধান ক্ষতির কারণ। লাভজনকভাবে ছাগল পালন করতে হলে খামারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। রোগের বিরূদ্ধে সময়মতো যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে খামারের ক্ষতি এড়ানো অসম্ভব হয়ে পরে। তাই খামারের রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রমের উপর সমধিক গুরুত্ব প্রদান করতে হবে।

সুস্থ ছাগলের লক্ষণসমূহ সম্পাদনা

  • ছাগলের নাক, মুখ ও চোখ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে।
  • চোখের কোনায় পিঁচুটি থাকবে না।
  • ছাগল দলবদ্ধভাবে থাকবে এবং দলের সাথে চলাফেরা করবে।
  • সারা শরীরের লোম উজ্জ্বল, মসৃণ ও চকচকে থাকবে।
  • মাথা সবসময় উঁচু করে চলবে। নাকের আগায় ঘাম থাকবে।
  • কান সজাগ ও খাড়া থাকবে এবং লেজ স্বাভাবিকভাবে নেড়ে মশা মাছি তাড়াবে।
  • ছাগলের ক্ষুধা থাকবে এবং সবসময় কিছু না কিছু খেতে আগ্রহ প্রকাশ করবে।
  • জাবর কাটবে।
  • পানির পিপাসা স্বাভাবিক থাকবে।
  • মল-মূত্র স্বাভাবিক রংয়ের এবং নিয়মিত হবে।
  • পায়ু অঞ্চল থাকবে পরিচ্ছন্ন।
  • শান্ত থাকবে এবং অপরিচিত কোনো কিছুর সাথে অস্বাভাবিক আচরণ করবে না।

অসুস্থ ছাগলের লক্ষণসমূহ সম্পাদনা

  • ছাগলের মুখ ও চোখ নিস্তেজ ও বিষণ্ন হবে। চোখের কোনায় পিচুটি থাকতে পারে।
  • ছাগল দল থেকে সরে ধীরে ধীরে চলাফেরা করবে অথবা চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকবে।
  • মাথা নিচু বা ঝুলে থাকবে। জ্বর থাকলে নাকের আগা শুকনো ও গরম থাকবে।
  • ছাগলের ক্ষুধা কম থাকবে এবং খাদ্য গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করবে।
  • বিশেষ বিশেষ রোগের ক্ষেত্রে বিশেষ লক্ষণ থাকবে যেমন- পিপিআর হলে, ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা, ধনুষ্টংকার হলে শরীর শক্ত হয়ে যাবে এবং নড়াচড়া করবে না, একথাইমা হলে যা দেখা যাবে, ক্ষুরারোগ হলে মুখে, জিহ্বায় ও পায়ের ক্ষুরে ক্ষতস্থান দেখা যাবে ইত্যাদি।
  • মল-মূত্র অনিয়মিত এবং স্বাভাবিক হবে না।
  • তীব্র/অতি তীব্র রোগে অস্থিরতা প্রকাশ করবে।

অপুষ্টিজনিত রোগ ও প্রতিকার সম্পাদনা

খাদ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পরিমাণমতো না থাকলে উক্ত খাদ্য খেয়ে ছাগল অপুষ্টিজনিত রোগব্যাধিতে ভুগে থাকে। কিছু কিছু পুষ্টি উপাদান দৈহিক বৃদ্ধির জন্য অধিক পরিমাণে প্রয়োজন হয় যেমন- শর্করা, আমিষ ও স্নেহ জাতীয় খাদ্য। আবার কিছু কিছু উপাদান খুব সামান্য পরিমাণে প্রয়োজন হয়। যেমন- মিনারেল ও ভিটামিন। এদের প্রয়োজন খুব সামান্য পরিমাণে হলেও এর অভাবে ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাই অপুষ্টি জনিত রোগব্যাধি সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান থাকা আবশ্যক। নিম্নে কয়েকটি অপুষ্টি জনিত রোগব্যাধি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোকপাত করা হলো।

অস্টিওম্যালাসিয়া সম্পাদনা

শরীরে ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের অভাব হলে বা খাদ্যে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের অনুপাত ঠিক না থাকলে অস্টিওম্যালাসিয়া রোগ হয়। এ রোগে ছাগলের ক্ষুধামন্দা দেখা যায়, পায়ের গিড়া ও জয়েন্ট ফুলে যায়, দুধ উৎপাদন কমে যায় এবং ক্রনিক অবস্থায় ছাগল চলাফেরা করতে এমনকি দাঁড়াতে অক্ষম হয়ে পড়ে। অস্টিওম্যালাসিয়া রোগে আক্রান্ত পাঁঠাকে প্রজনন কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা যায় না।

অপুষ্টি জনিত রক্তশূন্যতা সম্পাদনা

শরীরে আয়রনের অভাব হলে রক্তশূন্যতা দেখা যায়। এ ছাড়া কপার, কোবাল্ট ও ভিটামিন-বি এর অভাব হলেও রক্তশূন্যতা হয়ে থাকে। পরজীবির আক্রমণেও ছাগলে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এ রোগে ছাগল ফ্যাকাশে হয়ে যায়, ক্ষুধামন্দা দেখা যায়, পর্যায়ক্রমে শুকিয়ে যায় এমনকি মৃত্যুবরণ করতে পারে। সুষম খাদ্য প্রদানের মাধ্যমে রক্তশূন্যতা এড়ানো সম্ভব।

গলগণ্ড সম্পাদনা

শরীর আয়োডিনের অভাব হলে এ রোগ দেখা যায়। এ রোগে গলা ফুলে যায়, প্রজনন অক্ষমতা দেখা দেয় এবং দুর্বল বাচ্চা জন্ম হয়। ছাগলের খাদ্যে আয়োডিনযুক্ত লবণ যোগ করে ছাগলকে খাওয়ালে ছাড়া কপার, কোবাল্ট ও ভিটামিন-বি এর অভাব হলেও রক্তশূন্যতা হয়ে থাকে। পরজীবির আক্রমণেও ছাগলে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এ রোগে ছাগল ফ্যাকাশে হয়ে যায়, ক্ষুধামন্দা দেখা যায়, পর্যায়ক্রমে শুকিয়ে যায় এমনকি মৃত্যুবরণ করতে পারে। সুষম খাদ্য প্রদানের মাধ্যমে রক্তশূন্যতা এড়ানো সম্ভব।

পরজীবীজনিত রোগ ও প্রতিকার সম্পাদনা

পরজীবিজনিত রোগে ছাগলের পুষ্টির অভাব ঘটে। ফলে উৎপাদন বাধাগ্রস্থ হয়। একটি ছাগল খামার সফলভাবে পরিচালনা করতে হলে ছাগলকে অবশ্যই অন্তঃপরজীবি ও বহিঃপরজীবির আক্রমণ হতে মুক্ত রাখতে হবে। নিম্নে ছাগলের কয়েকটি অন্তঃপরজীবি ও বহিঃপরজীবিজনিত রোগব্যাধি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোকপাত করা হলো।

অন্তঃপরজীবি বা কৃমিজনিত রোগ সম্পাদনা

ছাগলের অন্তঃপরজীবিজনিত রোগ প্রধানত ফ্যাসিওলা, প্যারামফিস্টোমাম, অ্যাসকারিয়া, হেমোনকাস, হুক ওয়ার্ম, সিস্টোসোমা, ইসোফেগোসটোমাম, ট্রাইচুরিয়া, ট্রাইকোস্টংগাইলাস প্রভৃতি প্রজাতির কৃমি দ্বারা ঘটে থাকে। এসব কৃমির আক্রমণে শরীরে পুষ্টির অভাব ঘটে, রক্তশূন্যতা দেখা যায়, ওজন কমে যায়, ক্ষুধামন্দা ঘটে, আক্রান্ত অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং অতি তীব্র প্রকৃতির রোগে ছাগলের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে থাকে। ছাগলের বয়স একমাসের অধিক হলে প্রতি চার মাস পরপর পায়খানা পরীক্ষা করে ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী কৃমির ঔষধ খাওয়াতে হবে।

বহিঃপরজীবিজনিত রোগ সম্পাদনা

উঁকুন, আঠালী, মাইট, মাছি প্রভৃতি কীটপতঙ্গ ছাগলের বহিঃপরজীবিজনিত রোগের প্রধান কারণ। মাইটের আক্রমণে ছাগলের সারকোপটিক মেঞ্জ, ডেমোডেকটিক মেঞ্জ, সোরোপটিক মেঞ্জ ও কোরিওপটিক মেঞ্জ খোস পাঁচড়া রোগ হয়ে থাকে। এ রোগে ছাগলের দৈহিক বৃদ্ধি ও উৎপাদন যেমন বাধাগ্রস্থ হয় তেমনি এর চামড়ার গুণগত মান কমে যায়। ইস্ট্রাস ওভিস প্রজাতির মাছির লার্ভার আক্রমণে ছাগলের নেজাল মিয়াসিস রোগ হয় এ রোগে ছাগলের নাক চুলকায়, হাঁচি হয়, শ্বাসকষ্ট হয়, খাদ্য গ্রহণ হ্রাস পায়, ছাগল দুর্বল হয়ে পড়ে এমনকি মারাও যায়। উঁকুন ও আঠালী ছাগলের শরীর হতে রক্ত চুষে খায়। এদের অতিরিক্ত আক্রমণে ছাগল অস্থির হয়ে পড়ে, খাদ্য গ্রহণে অনীহা দেখায়, রক্ত শূন্যতায় ভোগে। বহিঃপরজীবিজনিত রোগ হতে ছাগলকে রক্ষার জন্য একজন অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ ও পথ্য প্রদান করতে হবে।

বিপাকীয় রোগ ও প্রতিকার সম্পাদনা

কিটোসিস সম্পাদনা

ছাগলের গর্ভধারণের শেষ দিকে সাধারণত বাচ্চা প্রসবের কয়েকদিন পূর্ব থেকে প্রসবের পরে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এ রোগ হয়ে থাকে। রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কম হলে, রক্তে ইস্ট্রোজেন হরমোনের পরিমাণ বেড়ে গেল, খাদ্য গ্রহণের মাত্রা কমে গেলে, শর্করা জাতীয় খাদ্যের বিপাকে সমস্যা হলে ছাগলের রক্তের মধ্যে এসিটোন ও কিটোন নামক রাসায়নিক পদার্থ জমে যায়। ফলে বিষক্রিয়া হয়। এজন্য এ রোগকে কিটোনেমিয়া ও প্রেগনেন্সি টক্সিমিয়া নামেও অভিহিত করা হয়। এ রোগে ছাগলের ক্ষুধামন্দা হয়, জাবর কাটা বন্ধ হয়ে যায়, আক্রান্ত ছাগীর শ্বাস প্রশ্বাসে এসিটোনের গন্ধ পাওয়া যায়, অস্থিরতা দেখা দেয়, মাংসে খিঁচুনি শুরু হয়, হাটা চলায় অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়, ঠোঁট কাঁপে, চোখ ঘুরায়, অনেক সময় ছাগল অন্ধ হয়ে যায়। অতি তীব্র রোগে শুয়ে পড়ে এবং মৃত্যুবরণ করে। একজন অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী আক্রান্ত ছাগলকে ঔষধ ও পথ্য প্রদান করতে হবে।

দুগ্ধজ্বর সম্পাদনা

বাচ্চা প্রসবের কিছুদিন পূর্ব হতে কিছুদিন পর পর্যন্ত সময়ে ক্যালসিয়ামের অভাবে ছাগীতে এ রোগ দেখা যায়। এ রোগে ছাগীর পক্ষাঘাতের মতো অবস্থা হয়, ছাগী ঘাড় ঘুরিয়ে অবশ হয়ে শুয়ে পড়ে, অজ্ঞান ও প্যারালাইজড হয়ে যায় এবং শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়। চিকিৎসা না করালে ১২-২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাগল মারা যায়। একজন অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী আক্রান্ত ছাগলকে ঔষধ ও পথ্য প্রদান করতে হবে।

গ্রাস টিটানি সম্পাদনা

খাদ্যে ম্যাগনেসিয়ামের অভাব থাকলের ছাগলের এ রোগ হয়। এ রোগকে হাইপোম্যাগনেসেমিয়াও বলা হয়। এ রোগে ছাগল এলোমেলোভাবে পা ফেলে, মাংসপেশীর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে, খিচুনি দেখা দেয় এবং কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র অচল হয়ে যায়। বেশি আক্রান্ত হলে লক্ষণ প্রকাশের পূর্বেই ছাগল মারা যায়। একজন অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী আক্রান্ত ছাগলকে ঔষধ ও পথ্য প্রদান করতে হবে।

ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ সম্পাদনা

ওলান প্রদাহ সম্পাদনা

ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, মাইকোপ্লাজমা, ফাংগাসসহ ১৮-২০ ধরনের জীবাণু দ্বারা দুগ্ধবতী ছাগলের ম্যাস্টাইটিস বা ওলান প্রদাহ রোগ হয়ে থাকে। এ রোগে ছাগীর ওলান লাল হয়ে ফুলে যায়, শক্ত হয়ে যায়, হাত দিয়ে স্পর্শ করলে গরম অনুভূত হয়, দুধ দোহন করলে পাত্রে দুধের তলানি পড়ে, দুধ উৎপাদন কমে যায়, দুধের স্বাদ লবণাক্ত হতে পারে, তীব্র প্রকৃতির রোগে ওলানের ভিতর পুঁজ হয়। পরে দুধের সাথে রক্ত আসে ও দুর্গন্ধ হয় । ওলান ও বাটে ব্যথা হয় দুধ দোহন করতে বা বাচ্চাকে টেনে খেতে দিতে চায় না।

একজন অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী আক্রান্ত ছাগলকে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।

এ রোগ প্রতিরোধের জন্য নিম্নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়।

  • মাঝে মাঝে ওলানের প্রত্যেক কোয়ার্টারের দুধ কালো কাপড়ে নিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে হবে কোনো তলানি, পুঁজ বা রক্ত আছে কিনা, দুধের রং পরিবর্তন হয়েছে কিনা।
  • ছাগীকে গাদাগাদি বা ঠাসাঠাসি করে রাখা যাবে না। প্রসবের আগে ও পরে ছাগীকে সমতল ও নরম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন স্থানে রাখতে হবে।
  • দুধ দোহনের সময় হাত পরিষ্কার করে নিতে হবে। প্রয়োজনে সাবান বা ক্লোরিন সলিউশন ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • বড় ছাগল ছানাকে ওলান থেকে দুধ চুষে খেতে দেয়া যাবে না।

ধনুষ্টংকার সম্পাদনা

যে কোনো অপারেশন, খাসীকরণ, বাচ্চা প্রসবের সময় ছাগীতে বা ছাগল ছানার নাভীতে ক্ষত সৃষ্টি হলে উক্ত ক্ষতে যদি ক্লোস্ট্রিডিয়াম টিটানি নাম ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে তখন টিটেনাস রোগ হয়। এ রোগে আক্রান্ত ছাগলের চোয়াল, গলা ও দেহের অন্যান্য অংশের মাংসপেশী শক্ত হয়ে যায়। দাঁতের মাড়ির মাংসপেশী শক্ত হয়ে যাওয়ার ফলে দাঁত লেগে যায় বলে ছাগল খেতে পারে না। খিঁচুনি দেখা যায়, মুখ থেকে লালা ঝরে, প্রথম দিকে দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং শেষ দিকে তাপমাত্রা কমে যায়, দেহ শক্ত হয়ে বেঁকে যায়, পা ও ঘাঁড় শক্ত হয়ে যায় বলে আক্রান্ত ছাগল চলাফেরা করতে পারে না এমনকি দাঁড়াতেও পারে না। রোগাক্রান্ত ছাগল কয়েকদিনের মধ্যে মারা যায়।

একজন অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী টিটেনাস আক্রান্ত ছাগলকে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।

এ রোগ প্রতিরোধের জন্য নিম্নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়:

  • খোঁজাকরণ, নাড়ি কর্তন, লোম কাটাসহ যে কোনো ধরনের অপারেশনের সময় ছাগলকে Anti tetanus serum/Tetanus Toxoid ইনজেকশন দিতে হবে।
  • ডেটল, সেভলন প্রভৃতি এন্টিসেপটিক দিয়ে ক্ষতস্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
  • এক বছর পরপর দুইবার ছাগীকে Tetanus Toxoid ইনজেকশন প্রদান করলে এ রোগের আশংকা অনেক কমে যাবে।

তড়কা সম্পাদনা

ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নাম এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা এ রোগ হয়। এ রোগে আক্রান্ত ছাগল লক্ষণ প্রকাশের আগেই অনেক সময় মারা যায়। ছাগল টলতে টলতে পড়ে গিয়ে হাঁপাতে থাকে, খিঁচুনি দেখা যায় এবং মারা যায়। শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় (১০৩-১০৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট), খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়, জাবর কাটে না, শ্বাস কষ্ট হয়, নাক মুখ দিয়ে লালা পড়ে, পেট ফুলে ওঠে, রক্ত মিশ্রিত পায়খানা হয়। রোগের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে মল কালো হতে হতে আলকাতরার মতো হয়ে যায়। মরা ছাগলের নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত মিশ্রিত ফেনা বের হয়।

তড়কা একটি মারাত্মক ব্যাধি। রোগ লক্ষণ দেখা দেয়ার সাথে সাথে দেরি না করে একজন অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী তড়কা আক্রান্ত ছাগলকে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।

এ রোগ প্রতিরোধের জন্য নিম্নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়:

  • মৃত ছাগলকে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে বা মাটির গর্তে চুন বা ব্লিচিং পাউডার দিয়ে তার উপর মৃতদেহ রেখে মৃতদেহের উপর আবার চুন বা ব্লিচিং পাউডার দিয়ে মাটি চাপা দিতে হবে।
  • কোনো অবস্থাতেই মৃত ছাগলের চামড়া ছাড়ানো যাবে না। কারণ চামড়া এ রোগের জীবাণু বহন করে।
  • আক্রান্ত পশু বা মৃতদেহ কোনো অবস্থাতেই ব্যবচ্ছেদ করা যাবে না।
  • মৃত ছাগলের ব্যবহৃত সকল জিনিস পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
  • লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথে আক্রান্ত পশুকে পৃথক করে চিকিৎসা দিতে হবে।
  • অসুস্থ ছাগলকে বিক্রি করা যাবে না। অসুস্থ ছাগলকে এক স্থান হতে অন্য স্থানে চলাচল করানো যাবে না।
  • সুস্থ ছাগলকে নিয়মিত (১ বছর পর পর) অ্যানথ্রাক্স রোগের টিকা প্রদান করতে হবে।

এন্টারোটক্সিমিয়া সম্পাদনা

ক্লোস্টিডিয়াম প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট টক্সিন দ্বারা এন্টারোটক্সিমিয়া রোগ দেখা দেয়। পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত খাদ্যবস্তু এ রোগ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। এ রোগে আক্রান্ত ছাগল শরীরের ভার বহন করতে পারে না, চারণভূমিতে হাঁটতে হাঁটতে কাঁপতে থাকে, খিঁচুনি দেখা যায়, মুখ দিয়ে লালা ঝরে, পেট ফুলে উঠে, ডায়রিয়া হয়। তীব্র প্রকৃতির রোগে হঠাৎ কাঁপুনি দিয়ে মারা যায়।

রোগ লক্ষণ দেখা দেয়ার সাথে সাথে দেরি না করে একজন অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টারোটক্সিমিয়া আক্রান্ত ছাগলকে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে। এ রোগ প্রতিরোধের জন্য ছাগলকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন স্থানে রাখতে হবে এবং বিশুদ্ধ খাবার ও পানি প্রদান করতে হবে।

ক্ষুরারোগ সম্পাদনা

ক্ষুরারোগ ছাগলের একটি ছোঁয়াচে সংক্রামক রোগ। এ রোগে ছাগলের মৃত্যুর হার কম হলেও উৎপাদন মারাত্নক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ রোগে আক্রান্ত ছাগীর দুধ উৎপাদন কমে যায়, গর্ভবতী ছাগীর গর্ভপাত হয়, শরীরে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে, মুখ হতে লালা করে, মুখের ভিতরের পর্দায়, জিহ্বায়, দাঁতের মাড়িতে, ক্ষুরের ফাঁকে এমনকি ওলানে ফোস্কা পড়ে। মুখ ঘায়ের কারণে ছাগল খেতে পারে না, ফলে দুর্বল হয়ে পড়ে। ক্ষুরে মা হওয়ায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটে। আক্রান্ত ক্ষতে মাছি ডিম পাড়লে পোকা হতে পারে। বাচ্চা ছাগলে এ রোগ হলে হার্ট আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

এ রোগের লক্ষণ দেখা দিলে একজন অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী আক্রান্ত ছাগলকে পৃথক করে সাপোর্টিভ চিকিৎসা প্রদান করতে হবে। কুসুম গরম পানিতে ফিটকিরি বা পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট গুলে মু জ্বর ও পায়ের যা ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। ছাগলের ঘর ২% আয়োসান বা অন্যান্য ডিসইনফেকট্যান্ট দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। রোগাক্রান্ত ছাগলের মল মূত্র, বিছানা ও ব্যবহৃত উচ্ছিষ্ট খাদ্যদ্রব্য মাটিতে পুঁতে বা পুড়িয়ে ফেলতে হবে। মৃত ছাগলকে গর্ত করে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে। কোনো অবস্থাতেই মৃত ছাগলের চামড়া ছাড়ানো যাবে না এবং পথে ঘাটে ফেলা যাবে না। অসুস্থ ছাগলকে স্থানান্তর করা যাবে না এবং বাজারে বিক্রি করা যাবে না।

পিপিআর সম্পাদনা

পিপিআর ছাগলের একটি মারাত্নক রোগ। এ রোগের জীবাণু ছাগলের দেহে প্রবেশের ৪-৫ দিন পর রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। দ্রুত চিকিৎসা না করালে ছাগল মারা যেতে পারে। এ রোগে আক্রান্ত ছাগলের শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, নাক দিয়ে শ্লেষ্মা ঝরে এবং নাকের ভিতরে শ্লেষ্মা জমে যায়, পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া দেখা দেয়, জিহ্বা, দাঁতের মাড়ি, মাজল ও মুখের ভিতর যা হয়, মলের রং গাঢ় বাদামি হয় এবং মলের সাথে মাঝে মাঝে রক্ত মিশানো মিউকাস আসে। শ্বাস কষ্ট, কাশি প্রভৃতি নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা যায়। চিকিৎসায় বিলম্ব হলে ৫-১০ দিনের মধ্যে ছাগল মারা যায়।

একজন অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী পিপিআর আক্রান্ত ছাগলকে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে। এ রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রতিষেধক টিকা ব্যবহার করা প্রয়োজন। বাচ্চার ৪ মাস বয়সে টিকা প্রদান করতে হয়। অনেক সময় ঝুঁকি এড়াতে বাচ্চার ২ মাস বয়সে টিকা দেয়া হলে পুনরায় ৪ মাস বয়সে বুষ্টার ডোজ দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। একবার টিকা দিলে ১ বছর পর্যন্ত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে।

ঠোঁটের ক্ষত রোগ সম্পাদনা

কন্টাজিয়াস একথাইমা হচ্ছে ছাগলের একটি ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ। এ রোগে আক্রান্ত ছাগলের নাক ও মুখের চারদিকে ফুসকুড়ি হয়। ঠোঁট ও মাড়িতে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ক্ষতের উপর মরা চামড়ার আবরণ থাকে যা সরিয়ে দিলে লাল ক্ষত দেখা যায়। ক্ষতের জন্য ঠোঁট ফুলে যায়। অনেক সময় চোখ, ওলান, মলদ্বার ও পায়ের খুরের উপরের চামড়ায় ফুসকুড়ি ছড়িয়ে পড়ে। ফোস্কা ফেটে তরল আঠাল পদার্থ ঝরতে থাকে এবং প্রদাহ হয় । অনেক সময় এই ক্ষত অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হয়ে রোগ জটিল আকার ধারণ করে।

একজন অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী কন্টাজিয়াস একথাইমা আক্রান্ত ছাগলকে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে। ক্ষত ফিটকিরি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। আক্রান্ত স্থানে মিথাইল ব্লু বা ক্রিস্টাল ভায়োলেট ব্যবহার করা যেতে পারে। এ রোগ প্রতিরোধের জন্য ছাগল ছানার ১-২ দিন বয়সে ১ম ডোজ, ১০-১৪ দিন বয়সে ২য় ডোজ এবং ৩ মাস পর ৩য় ভোজ প্রতিষেধক টিকা প্রয়োগ করা প্রয়োজন।

গোটপক্স সম্পাদনা

গোট হচ্ছে ছাগলের একটি অন্যতম মারাত্নক ভাইরাসজনিত ছোঁয়াচে সংক্রামক রোগ। এ রোগে আক্রান্ত ছাগলের জ্বর হয়। চোখ ও নাক দিয়ে পানি পড়ে, মুখ দিয়ে লালা ঝরে। আক্রান্ত ছাগলের সারা শরীরে ফোস্কা পড়ে। সাধারণত মুখের চারপাশে, নাকে, মাজলে, মুখের ভিতরে দাঁতের মাড়িতে, কানে, গলায়, ওলানে ও বাঁটে পশম কম এমন জায়গায় বসন্তের গুটি বা ফোস্কা দেখা যায়।

বসন্ত রোগ দেখা দিলে একজন অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী বসন্ত আক্রান্ত ছাগলকে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে। আক্রান্ত ক্ষতে এন্টিবায়োটিক পাউডার বা কর্টিসোন ক্রিম লাগানো যেতে পারে। রোগের লক্ষণ দেখা দেয়ার সাথে সাথে অসুস্থ ছাগলকে পাল থেকে আলাদা করে ফেলতে হবে। সুস্থ ছাগলকে গোট পক্স টিকা প্রদান করতে হবে।

টিকা প্রদান সম্পাদনা

রোগ নিরাময়ের চেয়ে রোগ প্রতিরোধ উত্তম। রোগ প্রতিরোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হচ্ছে ভ্যাক্সিন বা প্রতিষেধক টিকা। কোনো সুস্থ প্রাণির রোগ হওয়ার পূর্বেই একটি নির্দিষ্ট রোগের টিকা প্রদানের মাধ্যমে উক্ত রোগ হতে মুক্ত রাখার পদ্ধতিকে ভ্যাক্সিনেশন বলে। এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গড়ে ওঠে। এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কখনও কয়েক মাসের জন্য গড়ে ওঠে, আবার কখনও কয়েক বছর হতে আজীবনকাল হতে পারে।

ভ্যাক্সিনেশনের সাধারণ নিয়মাবলী সম্পাদনা

সুস্থ সবল প্রাণিকে ভ্যাক্সিন প্রদান করতে হবে। অসুস্থ প্রাণিকে ভ্যাক্সিন প্রদান করা নিরাপদ নয়। পরজীবি আক্রান্ত প্রাণিতে ভ্যাক্সিন ভালো কাজ করে না। তাই ভ্যাক্সিন প্রয়োগের পূর্বে প্রাণিকে পরজীবি মুক্ত করে নিতে হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো ভালো কোম্পানি হতে ভ্যাক্সিন সংগ্রহ করে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পূর্বে ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করতে হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ ভ্যাক্সিন কোনো কাজে আসে না বরং তা ক্ষতিকর। ভ্যাক্সিন গুলানোর জন্য ডিস্টিল্ড ওয়াটার বা পাতিত পানি ব্যবহার করতে হবে। পুকুর, নদীনালা, ট্যাপ ও নলকূপের পানি ব্যবহার করলে ভ্যাক্সিনের কার্যকারীতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পানিতে গুলানো ভ্যাক্সিন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যবহার করে ফেলতে হবে (গুলানোর সর্বোচ্চ ১ ঘন্টার মধ্যে ভ্যাক্সিন ব্যবহার করতে হবে)। ভ্যাক্সিন নির্দেশনানুযায়ী যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। ভ্যাকসিন পরিবহনের সময় থার্মোফ্লাক্সে পরিবহন করতে হবে। প্রস্তুতকারকের নির্দেশনা মতে ভ্যাসকিস প্রয়োগ করতে হবে।

টিকা/ভ্যাক্সিন প্রয়োগ পদ্ধতি সম্পাদনা

বিভিন্ন ধরনের ভ্যাক্সিন প্রস্তুতকারকের নির্দেশনানুযায়ী শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পদ্ধতিতে প্রয়োগ করতে হয়। সাধারণত যে সকল পদ্ধতিতে ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা হয় সেগুলো হলো—

  • মাংসপেশীতে ইনজেকশন
  • চামড়ার নিচে ইনজেকশন
  • শিরায় ইনজেকশন
  • খাদ্য বা পানির সাথে মিশিয়ে প্রয়োগ
  • স্প্রে বা এ্যারোসলের মাধ্যমে বাতাসে ছড়িয়ে শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে
  • চোখে ড্রপ
  • মুখে খাওয়ানো ইত্যাদি।

টিকাবীজ/ভ্যাক্সিনের কার্যকারীতা কমে যাওয়ার কারণ সম্পাদনা

  • ভ্যাক্সিনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে
  • অসুস্থ প্রাণিকে ভ্যাক্সিন প্রদান করলে
  • প্রোটিন ডেফিসিয়েন্সিতে ভুগছে কিংবা রক্তশুন্যতায় ভুগছে এমন প্রাণিতে ভ্যাক্সিন করলে
  • জীবিত জীবাণু দ্বারা তৈরি ভ্যাক্সিনের জীবাণুগুলো মারা গেলে
  • ভ্যাক্সিন গুলানোর জন্য ডিস্টিল্ড ওয়াটার ব্যবহার না করে অনিরাপদ পানি ব্যবহার করলে
  • ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করার যন্ত্রপাতি পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত না হলে
  • যে জীবাণুর বিরুদ্ধে ভ্যাক্সিন দেয়া হলো ভ্যাক্সিন ঐ জীবাণুর এন্টিজেন দ্বারা তৈরি না হলে প্রস্তুতকারকের নির্দেশিত মাত্রায় ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা না হলে

টিকা প্রয়োগে সতর্কতা সম্পাদনা

অসুস্থ প্রাণিকে কোনো অবস্থাতেই ভ্যাক্সিন প্রদান করা যাবে না। টিকা প্রয়োগের পূর্বে প্রস্তুতকারকের নির্দেশনা ভালোমতো পড়ে নিতে হবে। নির্দেশনানুযায়ী নির্ধারিত মাত্রায় নির্দেশিত স্থানে ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করতে হবে। দুটি ভ্যাক্সিন প্রয়োগের মধ্যবর্তী বিরতিকাল কমপক্ষে ২ সপ্তাহ হবে। গর্ভবতী ছাগলকে জিটিভি দেয়া যাবে না।

কতিপয় আবশ্যকীয় টিকা সম্পাদনা

টিকার নাম টিকা প্রয়োগের বয়স পরবর্তী টিকা প্রয়োগের সময় টিকা প্রয়োগের স্থান টিকা প্রয়োগের মাত্রা/পরিমাণ
পিপিআর টিকা ৪ মাস ১ বছর পর চামড়ার নিচে ১ মি.লি.
ক্ষুরারোগ টিকা ৩ মাস - চামড়ার নিচে ২ মি.লি.
গোট পক্স টিকা ৫ মাস - চামড়ার নিচে প্রস্তুতকারকের নির্দেশনা অনুযায়ী
জলাতঙ্ক টিকা (রেবিসিন) ৪ মাস (বাচ্চার মাকে টিকা দেওয়া না হলে)
৯ মাস (বাচ্চার মাকে টিকা দেওয়া হলে)
১ বছর পর চামড়ার নিচে বা মাংসপেশিতে ১ মি.লি.
অ্যানথ্রাক্স টিকা চামড়ার নিচে ১ মি.লি.
গলাফুলা টিকা চামড়ার নিচে প্রস্তুতকারকের নির্দেশনা অনুযায়ী
টিটেনাস টিকা (টিটেনাস টক্সয়েড) প্রসবের পূর্বে ছাগীকে এবং প্রসবের পরে বাচ্চাকে - মাংসপেশিতে ১ মি.লি.
ব্রুডসেলোসিস টিকা চামড়ার নিচে প্রস্তুতকারকের নির্দেশনা অনুযায়ী
এন্টারো টক্সিমিয়া টিকা ৬ মাস চামড়ার নিচে প্রস্তুতকারকের নির্দেশনা অনুযায়ী