| বিষণ্ণ ঔদাসীন্যে ঊষাবৌদি বাংলাভাষায় প্রচলিত ঈশপের নিখুঁত গল্পটির ডালপালা অর্ধেক ছড়াতেই ঋতু ভুঁইঞা আর ঐন্দ্রিলা ধড়ফড়িয়ে দারুণ হৈ-হৈ করে উঠল-- ওঃ, ব্যাস্ এবার থামো তো, বুঝেছি বড্ডো পুরানো ঢঙের কেমন এক গল্প যার নীতিবাক্য হল,“মূঢ় আড়ম্বর ও আত্মশ্লাঘার ফল জীবনে বিঘ্ন ও বৃহৎ ক্ষতি”-- তাই না, এ্যাঁ? তার উপর আবার কলমে কাঁকর
পড়ে দাঁত ভেঙ্গে গেলো, হাত ধুয়ে আসতে হবে এখনই। ঘিয়ে ভাজা, তেল আর জল গরুতে খেয়ে পুকুরপাড়ে ঘাস চিবোচ্ছে, বাংলার যত সব লোককথা। পাখি উড়ে গেছে, তাই পুকুর শুকিয়ে জল ভরে গিয়ে হো! হো! করে কাঁদছে। কাল রোদে ভিজে একাকার, বর্ষায় মাঠ, গতকাল এক, দুই, তিন দিন আগে। বাঘের মুখে লাল কালি, কালকেই লাল বাদরটাকে ঘরে নিয়ে যাবো। গাধার কান ঝুলে পড়েছে, তাই পাহাড়ে গিয়ে শোভা দেখে, ঘুম নেই! ঘুম নেই! চাল ভাজুন তো! |