সূচী পরবর্তী: পাইথন যেভাবে পাবেন

পাইথন বিভিন্ন ধরণের কাজে ব্যবহার উপযোগী একটি উচ্চ-স্তরের কাঠামোবদ্ধ ওপেন সোর্স প্রোগ্রামিং ভাষা। ১৯৯০-এর দশকে গুইডো ভান রোজাম পাইথন ভাষাটি তৈরী করেন; তারপরেই এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং সবার কাছে এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। মন্টি পাইথনের কমেডি প্রোগ্রামের নামানুসারে এই ভাষার নাম পাইথন রাখা হয়েছে।

সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাজে পাইথন ব্যপকভাবে ব্যবহার করা হয় (লিনাক্স ডিসট্রিবিউশনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কম্পোনেন্ট পাইথন দিয়ে রচিত)। নতুনদের প্রোগ্রামিং শেখা শুরুর ক্ষেত্রেও পাইথন একটি অসাধারণ ভাষা। নাসা তাদের সফটওয়্যার উন্নয়ন করার ক্ষেত্রে পাইথন ব্যবহার করে এবং ইন্টিগ্রেটেড প্লানিং সিস্টেমের আদর্শ স্ক্রিপ্টিং ভাষা হিসেবে গ্রহণ করেছে। গুগলও তাদের ওয়েব ক্ররাল ও সার্চ ইঞ্জিনের অনেক কম্পোনেন্ট পাইথন দিয়ে রচনা করেছে!

পাইথন একটি ইন্টারপ্রিটেড প্রোগ্রামিং ভাষা, এটি এক্সিকিউট হওয়ার আগে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাইটকোডে কম্পাইল হয় (বাইটকোড পরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিস্কে সংরক্ষণ করা হয় যেন পরবর্তীতে সোর্স কোড পরিবর্তন না করা হলে আবার কম্পাইল করার প্রয়োজন না হয়।) এটি একটি ডায়নামিক ভাষা এবং এটি অবজেক্ট অরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা।

পাইথনের একটি মৌলিক বিষয় হলো এখানে হোয়াইট-স্পেস একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পাইথনে ব্লকের শুরু ও শেষ বোঝাতে ব্লক ডেলিমিটারের (সি প্রোগ্রামিং-এ ব্রাকেট → "{}") পরিবর্তে ইন্ডেন্টেশন ব্যবহার করা হয়।

উদাহরণসরূপ, ইন্টারপ্রেটারে ইন্টারঅ্যাক্টিভ অবস্থায় বিখ্যাত "Hello World!" লেখাটি নিম্নোক্ত কোড ব্যবহার করে স্ক্রিনে লেখা যায়।

 >>> print "Hello World!"
Hello World!

পাইথনের আরেকটি অসাধারণ সুবিধা হলো মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, ম্যাকিন্টশ এবং সকল লিনাক্স ডিসট্রিবিউশনের মতো বিখ্যাত প্রায় সকল প্ল্যাটফর্মে সহজেই রান হয়। এই সুবিধাটি পাইথনকে পোর্টেবল করে, অর্থাৎ এক প্ল্যাটফর্মে লেখা প্রোগ্রাম সহজেই অন্য প্ল্যাটফর্মে ব্যবহার করা যায়।

পাইথনে অনেক বিল্ট-ইন টাইপ (যেমন: লিস্ট, ডিকশনারি এবং স্ট্রিং), বিল্ট-ইন ফাংশন এবং কিছু কনস্টাক্ট রয়েছে। উদাহরণসরূপ, লুপ কনস্টাক্ট শুধুমাত্র পূর্ণসংখ্যার উপরে ইটার করার মাঝে সীমাবদ্ধ না থেকে একটি কালেকশনের অনেক আইটেমের উপরেও ইটার করতে পারে। এছাড়াও পাইথনের শক্তিশালী স্টান্ডার্ড লাইব্রেরি রয়েছে যেখানে শত-শত মডিউল রয়েছে। এসব মডিউল রেগুলার এক্সপ্রেশন এবং টিসিপি/আইপি সেশনের মতো অনেক সুবিধা প্রদান করে।

ইন্টারনেটে বিদ্যমান বিশাল পাইথন সম্প্রদায়ই পাইথনের মূল চালিকাশক্তি। টিউটর তালিকার মতো মেইলিং তালিকা ও সংবাদ দল সক্রিয়ভাবে নতুন পাইথন প্রোগ্রামারদের সমর্থন ও সাহায্য করে থাকে। তারা আপনার বাড়ির কাজের মতো কাজ করে দেবে না, তবে তারা যথেষ্ট সাহায্য করে থাকে। বাজারে বিদ্যমান অনেক পাইথন পাঠ্যবইয়ের লেখকগণও এখানে রয়েছে।

Note:

পাইথন ২ বনাম পাইথন ৩: কয়েকবছর আগে পাইথন উন্নয়নকারী দল পাইথনের একটি বড় সংস্করণের কথা চিন্তা করে। শুরুতে বলা “পাইথন ৩০০০” পরে ৩. ধারাবাহিকে পরিবর্তন করা হয়। পাইথন ২-এর কিছু বিষয় অপসারণ করে নতুনভাবে ভিন্নভাবে তা করার উপায় পাইথন ৩-এ যোগ করা হয়।

 


  সূচী পরবর্তী: পাইথন যেভাবে পাবেন