মানব শারীরতত্ত্ব/পুরুষ প্রজননতন্ত্র

সাধারণত প্রজনন এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে জীব বংশধর তৈরি করে। এটা এমন একটা আশ্চর্যজনক বৈশিষ্ট্য যা সকল জৈব বস্তুকে অজৈব বস্তু থেকে আলাদা করেছে। কিন্তু তারপরেও প্রজনন প্রক্রিয়া একটি প্রজাতিকে বাঁচিয়ে রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে,যা একটি অংশকে বাঁচিয়ে রাখার চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। মানব প্রজনন প্রক্রিয়ায় দুই ধরনের যৌন কোষ বা গ্যামেট সংযুক্ত রয়েছে। বীর্য (স্পার্ম) হলো পুরুষ গ্যামেট যা একটি সেকেন্ডারি ওসাইট (oocyte) {এর সাথে ফাস্ট পোলার বডি এবং করোনা রেডিয়াটা রয়েছে}। নতুন একটি প্রজাতি তৈরির জন্য পুরুষ গ্যামেটকে অবশ্যই স্ত্রী প্রজনন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে। প্রজনন প্রক্রিয়া সংঘটনের জন্য জন্য পুরুষ এবং স্ত্রী প্রজনন প্রক্রিয়া দুটোই প্রয়োজনীয়। একটা সাধারণ ভ্রান্ত ধারণা হল স্ত্রী গ্যামেট কোষ ডিম বা ওভাম এর মত কিন্তু এটা অসম্ভব। একটি সেকেন্ডারি ওসাইট (oocyte) ওভাম বা ডিমে পরিণত হবার পূর্বে অবশ্যই একটি পুরুষ গ্যামেট দিয়ে মিলিত হতে হবে।

পুরুষ এবং স্ত্রী প্রজনন প্রক্রিয়ায় উভয়ই উৎপাদন বৃদ্ধি এবং একে অপরের ওসাইট (oocyte) বা শুক্রাণু পরিচলন করে, যদিও তাদের আকার এবং গঠন আলাদা। পুরুষের প্রজনন অঙ্গ তন্ত্র রয়েছে যা উদরের ভিতরে এবং বাহিরে

পুরুষ প্রজননতন্ত্রের অংশ উদরের ভিতরে এবং বাহিরে উভয় অংশে বিদ্যমান। অন্যদিকে স্ত্রী প্রজননতন্ত্র তার উদরের ভিতরের অংশে বিদ্যমান। পুরুষ প্রজনন ব্যবস্থায় অণ্ডকোষ এবং একাধিক নালী ও গ্রন্থি থাকে।শুক্রাণু অণ্ডকোষে উৎপাদিত হয় এবং প্রজনন নালীগুলির মাধ্যমে পরিবাহিত হয়।এই নালীগুলির মধ্যে রয়েছে এপিডিডাইমিস, ভাস ডিফারেনস, বীর্যপাত নালী এবং মূত্রনালী। প্রজনন গ্রন্থিগুলোর নিঃসরণ বীর্যের অংশ, তা মূত্রনালী থেকে ক্ষরণ হয়।

   প্রজনন গ্রন্থিগুলি নিঃসরণ তৈরি করে যা বীর্যের অংশ হয়ে যায়, মূত্রনালী থেকে ক্ষরণ হওয়া তরল।