রন্ধনপ্রণালী:কই মাছের কালিয়া

কই মাছের কালিয়া
কই মাছের কালিয়া
রন্ধনপ্রণালী বিভাগ মশলাদার পদ
পরিবেশন ৪-৬ জন
খাদ্য শক্তি ২৫০ ক্যালরি (প্রতি ১০০ গ্রাম)
তৈরির সময় ১ ঘন্টা
কষ্টসাধ্য
টীকা ঐচ্ছিকভাবে কাঁচা মরিচ ব্যবহার করা যেতে পারে

রন্ধনপ্রণালী সূচিপত্র | প্রস্তুতপ্রণালী | উপকরণ সমূহ

কই মাছের কালিয়া

কই মাছের কালিয়া একটি জনপ্রিয় বাঙালি মশলাদার পদ যা কই মাছ দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি তার ঘন ও মশলাদার গ্রেভির জন্য পরিচিত।

নাম উপকরণ
কই মাছ ৬০০ গ্রাম
পেঁয়াজ বাটা ১ কাপ
আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ
টমেটো বাটা ১ কাপ
হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ
জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ
ধনিয়া গুঁড়া ১ চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়া ১ চা চামচ
গরম মশলা গুঁড়া ১/২ চা চামচ
সরষের তেল ৩ টেবিল চামচ
লবণ স্বাদমতো
চিনি ১ চা চামচ
পানি ২ কাপ
কাঁচা মরিচ ৫-৬ টি

প্রস্তুত প্রণালী

সম্পাদনা
  1. মাছ ভাজা: কই মাছগুলোকে হলুদ গুঁড়া ও লবণ মাখিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। তারপর সরষের তেল গরম করে মাছগুলোকে সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভেজে তুলে রাখুন।
  2. মশলা ভাজা: সেই তেলেই পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা ও রসুন বাটা দিয়ে ভাজুন। পেঁয়াজ সোনালি রঙের হলে টমেটো বাটা, হলুদ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া ও লঙ্কা গুঁড়া দিয়ে ভাজুন।
  3. গ্রেভি তৈরি করা: মশলা ভালোভাবে ভাজা হয়ে গেলে তাতে পানি যোগ করুন। মশলা ও পানির মিশ্রণ ফুটে উঠলে তাতে লবণ ও চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন।
  4. মাছ রান্না করা: গ্রেভি ফুটে উঠলে তাতে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢেকে দিন। ১৫-২০ মিনিট মাঝারি আঁচে রান্না করুন যাতে মাছ ও মশলা ভালোভাবে মিশে যায়।
  5. গরম মশলা ও কাঁচা মরিচ যোগ করা: রান্নার শেষে গরম মশলা গুঁড়া ও কাঁচা মরিচ যোগ করে নামিয়ে নিন।
  6. পরিবেশন: কই মাছের কালিয়া গরম গরম পরিবেশন করুন।

পরিবেশন

সম্পাদনা

কই মাছের কালিয়া সাধারণত গরম ভাত বা পোলাওয়ের সাথে পরিবেশন করা হয়। পরিবেশন করার আগে উপরে কিছু ধনিয়া পাতা ছড়িয়ে দিতে পারেন।

পুষ্টিগুণ

সম্পাদনা

কই মাছের কালিয়া পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শরীরের জন্য উপকারী।

জনপ্রিয়তা

সম্পাদনা

বাঙালি সমাজে কই মাছের কালিয়া অত্যন্ত জনপ্রিয়। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী মশলাদার পদ যা বিশেষ করে উৎসব, অনুষ্ঠান এবং বিবাহে পরিবেশন করা হয়।

প্রাসঙ্গিক তথ্য

সম্পাদনা
  • কই মাছের কালিয়ার স্বাদ ও গুণমান উন্নত করতে তাজা মশলা ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • বিভিন্ন স্বাদে কই মাছের কালিয়া তৈরি করতে বিভিন্ন প্রকার মশলা বা সুগন্ধি ব্যবহার করা যায়।