রন্ধনপ্রণালী:কচু শাক চচ্চড়ি

কচু শাক চচ্চড়ি
কচু শাক চচ্চড়ি
রন্ধনপ্রণালী বিভাগ শাক-সবজি
পরিবেশন ৪-৬ জন
খাদ্য শক্তি ৫০ ক্যালরি (প্রতি ১০০ গ্রাম)
তৈরির সময় ৩০ মিনিট
কষ্টসাধ্য
টীকা ঐচ্ছিকভাবে শুটকি মাছ যোগ করা যেতে পারে

{{রন্ধনপ্রণালী: উপকরণ : কচু শাক (৫০০ গ্রাম) তেল (২ টেবিল চামচ) পেঁয়াজ কুচি(১ কাপ) রসুন কুঁচি (১ চামচ) হলুদ গুঁড়া (১ চামচ) মরিচ গুঁড়া (স্বাদমতো) লবন(স্বাদমতো)

১। প্রথমে তাজা কিছু কচু শাক হালকা লবনযুক্ত পানিতে ধুয়ে পানি ঝড়িয়ে নিন। ২।একটি পাত্রে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজকুচি ও রসুনকুচি সেদ্ধ হওযা পর্যন্ত ভাজতে থাকুন। ৩। এরপর ভাজা পেঁয়াজ ও রসুনে হলুদ গুঁড়া ও মরিচ গুঁড়া ভালোভাবে মিশিয়ে তাতে কচুশাক দিয়ে দিন। ৪।কচু শাকের সাথে সকল উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন, এবং মধ্য আঁচে নেড়ে নিন। খুব জরুরী না হলে ঢেকে রাখবেন না। ৫। এবার কচুশাক সিদ্ধ হয়ে এনে এটি হালকা আঁচে রাখুন, এটি রান্না শেষ হলে নামিয়ে নিন এবং গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন }}

কচু শাক চচ্চড়ি

কচু শাক চচ্চড়ি একটি জনপ্রিয় বাঙালি শাক-সবজি ভিত্তিক তরকারি যা বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গবাংলাদেশে প্রচলিত। এটি কচু শাক, বিভিন্ন মশলা এবং কখনও কখনও শুটকি মাছ দিয়েও তৈরি করা হয়। সাদিয়া জাহান (আলাপ) ১৪:১২, ২৬ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)

ইতিহাস

সম্পাদনা

কচু শাক চচ্চড়ি বাঙালি রন্ধনপ্রণালীর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি সারা বছর ধরে পাওয়া যায় এবং বাঙালি খাবারের সঙ্গে খাওয়া হয়।

নাম উপকরণ
কচু শাক ৫০০ গ্রাম
পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ
রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ
কাঁচা মরিচ ৪-৫টি (কাটা)
সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ
লবণ স্বাদমতো
শুটকি মাছ ৫০ গ্রাম (ঐচ্ছিক)
শুকনা লাল মরিচ ২-৩টি (ঐচ্ছিক)

প্রস্তুত প্রণালী

সম্পাদনা
  1. শাক প্রস্তুতি: প্রথমে কচু শাক ভালভাবে ধুয়ে কেটে নিন। শাক কাটা হলে পানি ঝরিয়ে রাখুন।
  2. মশলা ভাজা: কড়াইয়ে সরিষার তেল গরম করে তাতে শুকনা লাল মরিচ ভাজুন (ঐচ্ছিক)। এরপর পেঁয়াজ কুচি ও রসুন কুচি দিয়ে সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
  3. শাক ও মশলা মেশানো: পেঁয়াজ ও রসুন ভাজা হলে তাতে কচু শাক, কাঁচা মরিচ, হলুদ গুঁড়া, এবং লবণ যোগ করুন। সব কিছু ভালভাবে মিশিয়ে ঢেকে দিন।
  4. শুটকি মাছ যোগ করা: যদি শুটকি মাছ ব্যবহার করেন, তাহলে শুটকি মাছ আগে থেকে ভেজে নিন এবং শাকের সঙ্গে মিশিয়ে দিন।
  5. রান্না করা: কচু শাক চচ্চড়ি ঢেকে মাঝারি আঁচে ১০-১৫ মিনিট রান্না করুন। মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন যাতে শাক মসৃণভাবে রান্না হয়।
  6. শেষ প্রণালী: শাক সিদ্ধ হয়ে এলে এবং পানি শুকিয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

পরিবেশন

সম্পাদনা

কচু শাক চচ্চড়ি সাধারণত গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করা হয়। এটি একা খাওয়া যেতে পারে অথবা অন্যান্য বাঙালি তরকারির সাথে পরিবেশন করা যেতে পারে।

পুষ্টিগুণ

সম্পাদনা

কচু শাক চচ্চড়ি পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং আঁশ রয়েছে যা শরীরের জন্য উপকারী।

জনপ্রিয়তা

সম্পাদনা

বাঙালি সমাজে কচু শাক চচ্চড়ি খুবই জনপ্রিয়। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী শাক-সবজি ভিত্তিক তরকারি যা সারা বছর ধরে পাওয়া যায়। এর মসৃণ স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ সকলের মন জয় করে।

প্রাসঙ্গিক তথ্য

সম্পাদনা
  • কচু শাকের চচ্চড়ির স্বাদ ও গুণমান উন্নত করতে তাজা কচু শাক ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • বিভিন্ন স্বাদে কচু শাক চচ্চড়ি তৈরি করতে বিভিন্ন প্রকার মশলা বা সুগন্ধি ব্যবহার করা যায়।