রন্ধনপ্রণালী:কমলাভোগ
কমলাভোগ | |
---|---|
রন্ধনপ্রণালী বিভাগ | মিষ্টি |
পরিবেশন | ১০-১২ জন |
খাদ্য শক্তি | ১৫০ ক্যালরি (প্রতি ১০০ গ্রাম) |
তৈরির সময় | ২ ঘন্টা |
কষ্টসাধ্য | |
টীকা | ঐচ্ছিকভাবে কমলা রস বা খোসার গুঁড়া যোগ করা যেতে পারে |
রন্ধনপ্রণালী সূচিপত্র | প্রস্তুতপ্রণালী | উপকরণ সমূহ
কমলাভোগ একটি জনপ্রিয় বাঙালি মিষ্টি যা পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে প্রচলিত। এটি ছানা ও কমলার স্বাদ দিয়ে তৈরি করা হয়। কমলাভোগ তার মিষ্টি স্বাদ এবং মসৃণ টেক্সচারের জন্য বিখ্যাত।
ইতিহাস
সম্পাদনাকমলাভোগ-এর উৎপত্তি এবং প্রসার অনেক প্রাচীন এবং এটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিভিন্ন উৎসব ও অনুষ্ঠানে কমলাভোগ পরিবেশন একটি প্রচলিত রীতি।
উপকরণ
সম্পাদনানাম | উপকরণ |
---|---|
ছানা | ৫০০ গ্রাম |
চিনি | ১ কেজি |
পানি | ৪ কাপ |
কমলার রস | ১ কাপ |
কমলার খোসার গুঁড়া | ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক) |
এলাচ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
প্রস্তুত প্রণালী
সম্পাদনা- ছানা তৈরি: প্রথমে দুধকে ফুটিয়ে তাতে লেবুর রস বা ভিনেগার দিয়ে ছানা তৈরি করে নিতে হবে। ছানা তৈরি হয়ে গেলে এটি একটি পরিষ্কার কাপড়ে ছেঁকে নিতে হবে যাতে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যায়।
- ছানা মাখানো: ছানাকে ভালভাবে মেখে নরম ও মসৃণ করে নিতে হবে।
- গোল তৈরি: মাখানো ছানা থেকে ছোট ছোট গোল করে নিন।
- সিরা তৈরি: একটি বড় পাত্রে চিনি ও পানি মিশিয়ে ফুটিয়ে সিরা তৈরি করতে হবে।
- ছানা সেদ্ধ করা: সিরা ফুটে উঠলে তাতে ছানার গোলগুলো দিয়ে ১৫-২০ মিনিট ঢেকে রান্না করতে হবে যাতে সেগুলো ফুলে যায়।
- কমলার রস যোগ করা: রান্না শেষের দিকে কমলার রস ও কমলার খোসার গুঁড়া (ঐচ্ছিক) দিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে ২-৩ মিনিট রান্না করে নামিয়ে নিতে হবে।
- এলাচ গুঁড়া যোগ করা: রান্না শেষে এলাচ গুঁড়া যোগ করে ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
পরিবেশন
সম্পাদনাকমলাভোগ সাধারণত ঠান্ডা করে পরিবেশন করা হয়। এটি একা খাওয়া যেতে পারে অথবা অন্যান্য বাঙালি মিষ্টির সাথে পরিবেশন করা যেতে পারে।
পুষ্টিগুণ
সম্পাদনাকমলাভোগ পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শরীরের জন্য উপকারী।
জনপ্রিয়তা
সম্পাদনাবাঙালি সমাজে কমলাভোগ খুবই জনপ্রিয়। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি যা বিশেষ করে উৎসব, অনুষ্ঠান এবং বিবাহে পরিবেশন করা হয়। এর মিষ্টি স্বাদ ও কমলার সুগন্ধ সকলের মন জয় করে।
প্রাসঙ্গিক তথ্য
সম্পাদনা- কমলাভোগের স্বাদ ও গুণমান উন্নত করতে কমলার রস এবং খোসার গুঁড়া ব্যবহার করা যেতে পারে।
- বিভিন্ন স্বাদে কমলাভোগ তৈরি করতে বিভিন্ন প্রকার ফলের নির্যাস বা সুগন্ধি ব্যবহার করা যায়।