রন্ধনপ্রণালী:খাজা
খাজা | |
---|---|
পরিবেশন | ১৮-২০টি। তৈরির সময়=৪৫মিনিট |
রন্ধনপ্রণালী সূচিপত্র | প্রস্তুতপ্রণালী | উপকরণ সমূহ
খাজা একরকমের মিষ্টি যা সাধারণত ভোজের শেষে পরিবেশিত হয় বা হাল্কা জল্খাবার হিসাবে পরিবেশিত হয়ে থাকে। খাজা প্রায় সব রাজ্যেই পাওয়া যায়। এটি উড়িষ্যার বিখ্যাত মিস্টান্ন। পশ্চিমবঙ্গেও এর খুব নাম আছে।
উপকরণ
সম্পাদনানাম | উপকরণ |
---|---|
ময়দা | ২ কাপ |
তেল বা ঘী | ১ ১/২ কাপ |
লবণ | ১/৮ চা-চামচ |
জল | পরিমাণমতো |
এলাচ গুঁরো | ১/৪ চা-চামচ |
এরারুট বা ময়দা | ৪ টেবিল চামচ |
চিনি | ১ কাপ |
রন্ধনপ্রণালী
সম্পাদনা- প্রথমে ময়দা ও ৩ চামচ ঘি ও লবণ খুব ভাল করে মেশাতে হবে। এরপর জল দিয়ে পুরো ময়দা ভাল করে মেখে নিতে হবে।
- এরপর একটি বড় পাত্রে বা হাঁড়িতে চিনি ও ২ কাপ জল উনানে বসিয়ে দিতে হবে চিনির রস বা শিরা বানাবার জন্য়। চিনির রস ফুটিয়ে ঘন করতে হবে (এক তার শিরা বা রস বানাতে হবে।)
- ৪ চামচ ময়দা বা এরারুট এবং ৪ চামচ ঘি একটি ছোট বাটিতে মিশিয়ে একটা পাতলা মিশ্রন তৈরী করে রেখে দিতে হবে।
- অন্যদিকে ময়দা থেকে ১২ টা লেচি বা গোলা তৈরী করতে হবে। এবার ঐ লেচিগুলো রুটির মতন বেলতে হবে।
- এবার একটি করে রুটি বেলে তার উপর ময়দা ও ঘি এর মিশ্রনের ভাল করে প্রলেপ লাগাতে হবে। এই ভাবে তিনটে রুটি বেলে তার উপর ময়দা ও ঘি এর মিশ্রন লাগাতে হবে। এই রুটিগুলো একটার উপর একটা রাখতে হবে। উপরের স্তরের বেলা রুটির উপরও ঐ মিশ্রন লাগাতে হবে। এরপর রুটিগুলোকে এক ধার থেকে সরু করে পাকাতে হবে। এবার আড়াআড়ি ভাবে ৫ থেকে ৬ টুকরো করে কাটতে হবে।
- প্রতিটি টুকরো একটু আড়াআড়ি ভাবে হাল্কা হাতে বেলে নিতে হবে (৫" সাইজের)। বেলার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন লেচির ভাঁজগুলো যেন দেখা যায় তার মানে ভাঁজ গুলো একটু খুলে যাবে। এইভাবে সব টুকুরোগুলো বেলে নিতে হবে।
- এর পর পাত্রে ঘি ঢেলে উনানে বসাতে হবে এবং ভাল মত গরম হলে বেলা টুকরোগুলো ভাল করে ভাজতে হবে। এই সময় দেখা যাবে খাজার মধ্যে যে ভাঁজগুলো ছিলো সেগুলো খুব সুন্দরভাবে খুলে গেছে। এইভাবে সব খাজাগুলো ভেজে নিতে হবে।
- এরপর ভাজা খাজাগুলো চিনির রস বা শিরাতে দিতে হবে। দুমিনিট রেখে খাজাগুলো চিনির রস থেকে তুলে কোনো ঝাঁঝড়িতে রেখে দিলে অতিরিক্ত রস ঝরে যাবে ও খাজা ঝরঝরে থাকবে।এইসময় এলাচের গুঁড়ো উপর থেকে ছড়িয়ে দিতে হবে। এরপর ঠান্ডা হলে কোনো ধাকনা লাগানো পাত্রে প্রায় ১৫ থেকে বিশ দিন মত সংরক্ষিত করা যাবে।