রন্ধনপ্রণালী:গোলাপ জামুন
গোলাপ জামুন | |
---|---|
রন্ধনপ্রণালী বিভাগ | মিষ্টি |
পরিবেশন | ৪-৬ জন |
খাদ্য শক্তি | ১৮৬ ক্যালরি (প্রতি ১০০ গ্রাম) |
তৈরির সময় | ১ ঘন্টা |
কষ্টসাধ্য | |
টীকা | গোলাপ জল এবং এলাচের স্বাদে ভরপুর |
রন্ধনপ্রণালী সূচিপত্র | প্রস্তুতপ্রণালী | উপকরণ সমূহ
গোলাপ জামুন বা গোলাপ জাম একটি জনপ্রিয় বাঙালি মিষ্টি যা মূলত খোয়া এবং চিনির সিরা দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ এবং ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে সমানভাবে জনপ্রিয়। গোলাপ জাম তার মিষ্টি, নরম এবং সুগন্ধিযুক্ত স্বাদের জন্য বিখ্যাত।
ইতিহাস
সম্পাদনাগোলাপ জামের উৎপত্তি মধ্য এশিয়ায় হলেও এটি ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যাপকভাবে প্রচলিত হয়েছে এবং বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন উৎসব ও অনুষ্ঠানে গোলাপ জাম পরিবেশন একটি প্রচলিত রীতি।
উপকরণ
সম্পাদনানাম | উপকরণ |
---|---|
খোয়া | ২৫০ গ্রাম |
ময়দা | ২ টেবিল চামচ |
বেকিং পাউডার | ১/৪ চা চামচ |
দুধ | পরিমাণমতো (খামির তৈরি করতে) |
তেল বা ঘি | ভাজার জন্য |
চিনি | ২ কাপ |
পানি | ২ কাপ |
গোলাপ জল | ১ টেবিল চামচ |
এলাচ গুঁড়া | ১/২ চা চামচ |
পেস্তা বা বাদাম কুচি | সাজানোর জন্য (ঐচ্ছিক) |
প্রস্তুত প্রণালী
সম্পাদনা- খোয়া মেশানো: প্রথমে খোয়া, ময়দা, এবং বেকিং পাউডার একত্রে মিশিয়ে নিন। সামান্য দুধ দিয়ে মসৃণ খামির তৈরি করুন।
- খামির বল তৈরি: খামির থেকে ছোট ছোট বল তৈরি করুন। খেয়াল রাখুন যাতে কোন ফাটল না থাকে।
- তেল বা ঘি গরম করা: একটি গভীর প্যানে তেল বা ঘি গরম করুন। মাঝারি আঁচে বলগুলোকে ধীরে ধীরে সোনালী বাদামী হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
- সিরা তৈরি: অন্য একটি প্যানে চিনি এবং পানি মিশিয়ে ফোটান। ৫-৭ মিনিট ধরে ফুটিয়ে সিরা তৈরি করুন। সিরা ঘন হলে তাতে গোলাপ জল এবং এলাচ গুঁড়া মিশিয়ে নিন।
- গোলাপ জাম মেশানো: ভাজা গোলাপ জামগুলোকে গরম সিরাতে ডুবিয়ে রাখুন। ১ ঘন্টা ধরে রাখুন যাতে গোলাপ জামগুলো সিরা শুষে নিতে পারে।
পরিবেশন
সম্পাদনাগোলাপ জাম সাধারণত ঠান্ডা বা হালকা গরম পরিবেশন করা হয়। পরিবেশন করার আগে উপরে পেস্তা বা বাদাম কুচি ছড়িয়ে দিতে পারেন।
পুষ্টিগুণ
সম্পাদনাগোলাপ জাম পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং কিছু প্রোটিন রয়েছে যা শরীরের জন্য উপকারী।
প্রাসঙ্গিক তথ্য
সম্পাদনা- গোলাপ জামের স্বাদ ও গুণমান উন্নত করতে ভাল মানের খোয়া ব্যবহার করা যেতে পারে।
- বিভিন্ন স্বাদে গোলাপ জাম তৈরি করতে বিভিন্ন প্রকার ফলের নির্যাস বা সুগন্ধি ব্যবহার করা যায়।