রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মাছের ভর্তা

চিংড়ি মাছের ভর্তা
রন্ধনপ্রণালী বিভাগ মশলাদার পদ
পরিবেশন ৪-৬ জন
খাদ্য শক্তি ১৮০ ক্যালরি (প্রতি ১০০ গ্রাম)
তৈরির সময় ৩০ মিনিট
কষ্টসাধ্য
টীকা ঐচ্ছিকভাবে সরষের তেল ও কাঁচা মরিচ ব্যবহার করা যেতে পারে

রন্ধনপ্রণালী সূচিপত্র | প্রস্তুতপ্রণালী | উপকরণ সমূহ

চিংড়ি মাছের ভর্তা

চিংড়ি মাছের ভর্তা একটি জনপ্রিয় বাঙালি মশলাদার পদ যা বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গবাংলাদেশে প্রচলিত। এটি চিংড়ি মাছ এবং মশলা দিয়ে তৈরি করা হয়। চিংড়ি মাছের ভর্তা তার ঝাল ও মশলাদার স্বাদের জন্য বিখ্যাত।

ইতিহাস

সম্পাদনা

চিংড়ি মাছের ভর্তা বাঙালি রান্নার একটি পুরনো এবং প্রিয় পদ। এটি বিভিন্ন উৎসব ও অনুষ্ঠানে একটি জনপ্রিয় খাবার হিসেবে পরিবেশন করা হয়।

নাম উপকরণ
চিংড়ি মাছ ৫০০ গ্রাম
পেঁয়াজ ২টি (মাঝারি আকারের)
রসুন ৪-৫ কোয়া
কাঁচা মরিচ ৫-৬ টি
সরষের তেল ৩ টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ
লবণ স্বাদমতো
ধনিয়া পাতা ২ টেবিল চামচ (কুচি করা)

প্রস্তুত প্রণালী

সম্পাদনা
  1. চিংড়ি মাছ প্রস্তুত করা: চিংড়ি মাছগুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। মাথা এবং খোসা ফেলে দিন।
  2. পেঁয়াজ ও রসুন ভাজা: প্যানে সরষের তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ এবং রসুন দিয়ে ভাজুন যতক্ষণ না পেঁয়াজগুলো সোনালী বাদামি রঙের হয়।
  3. চিংড়ি মাছ ভাজা: পেঁয়াজ এবং রসুনের মধ্যে চিংড়ি মাছ, হলুদ গুঁড়া, এবং লবণ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে ভাজুন যতক্ষণ না চিংড়ি রান্না হয়ে যায়।
  4. ভর্তা তৈরি করা: মিশ্রণটি একটু ঠাণ্ডা হলে সব উপকরণ একটি পাত্রে নিয়ে ভালোভাবে চটকে ভর্তা তৈরি করুন। সাথে কাঁচা মরিচ যোগ করুন এবং ধনিয়া পাতা ছড়িয়ে দিন।
  5. পরিবেশন: ভর্তা গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।

পরিবেশন

সম্পাদনা

চিংড়ি মাছের ভর্তা সাধারণত গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করা হয়। উপরে কিছু ধনিয়া পাতা ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করা যেতে পারে।

পুষ্টিগুণ

সম্পাদনা

চিংড়ি মাছের ভর্তা প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। এটি শরীরের জন্য উপকারী এবং পুষ্টিকর।

জনপ্রিয়তা

সম্পাদনা

বাঙালি সমাজে চিংড়ি মাছের ভর্তা খুবই জনপ্রিয়। এর ঝাল ও মশলাদার স্বাদ সকলের মন জয় করে।

প্রাসঙ্গিক তথ্য

সম্পাদনা
  • ভর্তার স্বাদ ও গুণমান উন্নত করতে তাজা এবং ভালো মানের চিংড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • বিভিন্ন স্বাদে ভর্তা তৈরি করতে বিভিন্ন প্রকার মশলা বা সুগন্ধি ব্যবহার করা যায়।