চিতই পিঠা
রন্ধনপ্রণালী সূচিপত্র | উপকরণ সমূহ | রন্ধনপ্রণালী | প্রস্তুতপ্রণালী
চিতই পিঠা | |
---|---|
রন্ধনপ্রণালী বিভাগ | পিঠা প্রস্তুতপ্রণালী |
পরিবেশন | ৫-১০ জন |
তৈরির সময় | ২০ মিনিট |
কষ্টসাধ্য |
চিতই পিঠা একটি বাঙালি পিঠা যা বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে খুবই জনপ্রিয়। এই পিঠা দেখতে গোলাকার ও চ্যাপ্টা। গ্রামাঞ্চলে চিতই পিঠার ছাঁচ দেখতে পাওয়া যায়। এটি চিতে পিঠে, ঢাকা পিঠে, চিতুই পিঠে, চিকুই পিঠে ও সরা পিঠে, আসকে পিঠে নামেও পরিচিত। ইতিহাসবিদ তপন রায়চৌধুরী চিতই বা আস্কে পিঠার সঙ্গে বিলেতের বিফস্টেকের তুলনা করেছিলেন।
প্রধান উপকরণ
সম্পাদনা- চালের গুঁড়ো বা আটা
- দুধ
- লবণ
ভিন্নতা
সম্পাদনা- দুধ চিতই
- রস চিতই
- ডিম চিতই
- ঝাল চিতই
প্রস্তুতপ্রণালি
সম্পাদনাডিম চিতই পিঠা
সম্পাদনাচালের আটা পানিতে গুলিয়ে গরম তাওয়াতে ভেজে এই পিঠা তৈরি হয়। এই পিঠা গুড় (বিশেষত ঝোলা গুড়) দিয়ে খাওয়া হয়। এটি শুকনো অথবা দুধ ও গুড়ের তৈরি সিরায় ভিজিয়েও খাওয়া হয়। পিঠা তৈরির জন্য আটা ও পানির মিশ্রণ অল্প তাপে মাটির খোলায় ভাজতে হয়।
পরিবেশন প্রক্রিয়া
সম্পাদনাশৌখিন বাঙালিরা মাংস বিশেষ করে হাঁসের মাংস দিয়ে চিতই পিঠা খেতে ভালোবাসে। আগের রাতে মিষ্টি রস অথবা দুধে ভিজিয়ে রাখা চিতই পিঠা খেতে সুস্বাদু হয়। শীতকালে বাংলাদেশের মৌসুমি পিঠার দোকানগুলোতে বিভিন্ন চিতই পিঠার দেখা মেলে। সন্ধ্যার সময়ে এসব দোকানে পিঠাক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। শীতে সবার কাছে চিতই পিঠার কদর আবার একটু বেশি থাকে। কারণ চিতই পিঠা নানা রকমের ভর্তার সঙ্গে মাখিয়ে খেতে সুস্বাদু লাগে। এসব ভর্তার মধ্যে রয়েছে শুঁটকি, ধনেপাতা, ডালভর্তা, সরিষা ভর্তা ইত্যাদি। পুরান ঢাকায় ডিমচিতই পিঠা বেশ জনপ্রিয়।