রন্ধনপ্রণালী:ঝালমুড়ি
ঝালমুড়ি | |
---|---|
পরিবেশন | ১-৪ |
তৈরির সময় | ১০ মিনিট |
কষ্টসাধ্য |
ঝালমুড়ি বাংলাদেশের সর্বত্র জনপ্রিয় একটি খাবার যা মুড়ি, চানাচুর ও অন্যান্য মসলা সংযোগে তৈরি হয়। বিশেষ করে স্কুল, কলেজ অর্থাৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে এটি সাধারণত ফেরি করে বিক্রি করা হয়। সবখানে এটি ফেরি করেই বিক্রি করা হয়। দোকানে কিংবা হোটেলে পাওয়া যায়না।
উপকরণ
সম্পাদনা- মুড়ি
- চানাচুর
- সরিষার তেল
- লেবু
- পেঁয়াজ
- মরিচ
- বুট
- ধনে পাতা
- টমেটো
- বিট লবণ
প্রস্তুত প্রক্রিয়া
সম্পাদনাপ্রথমে একটি বাটিতে মুড়ি, বুট আর চানাচুর নিতে হয়। পরে ধনে পাতা, পেঁয়াজ কুচি, মরিচ কুচি, লেবুর রস ছিটিয়ে দিতে হয়। সাথে পরিমান মত বীট লবণ। এবার বাটিকে বারবার ঝাঁকিয়ে দিয়ে মুড়ি মাখাতে হয়। কখনও মাংসের ঝোলও ব্যবহার করা হয়। সাথে টমেটো, পুদিনা পাতা, ধনে পাতা বা শসা ইত্যাদিও ব্যবহার করা যায়। ডাল বেশি দিয়ে অনেকে খেতে পছন্দ করেন। অনেকে আবার ডাল কম দিয়ে। সাধারনত মটরশুঁটি ডাল সিদ্ধ করে দেওয়া হয়। একে গুমনি বলা হয়।
পরিবেশন প্রণালী
সম্পাদনাপরিবেশনকালে সাধারনত কাগজ দিয়ে তৈরি ঠোঙ্গা ব্যবহার করা হয়। আবার কখন কখন বাটিতে করে খাওয়া হয়। কাগজের ত্রিকোনাকৃতি একটা পাত্র বানিয়ে দেওয়া হয়। আর খেতে চামচ হিসেবে ব্যবহারের জন্য শক্ত কাগজ কেটে দেওয়া হয়। আবার অনেক জায়গায় স্পেশাল ঝালমুড়ি পাওয়া যায়। যার দাম একটু বেশি। মাংসও দেওয়া হয় অনেকসময়। পুরানো ঢাকার মানুষেরা মাংস দেওয়া স্পেশাল ঝালমুড়ি বেশি পছন্দ করেন।