রন্ধনপ্রণালী:নিরামিষ তরকারি

নিরামিষ তরকারি
রন্ধনপ্রণালী বিভাগ নিরামিষ তরকারি
পরিবেশন ৪-৬ জন
খাদ্য শক্তি ১৫০ ক্যালরি (প্রতি ১০০ গ্রাম)
তৈরির সময় ৩০ মিনিট
কষ্টসাধ্য
টীকা ঐচ্ছিকভাবে কাঁচা মরিচ ব্যবহার করা যেতে পারে

রন্ধনপ্রণালী সূচিপত্র | প্রস্তুতপ্রণালী | উপকরণ সমূহ

নিরামিষ তরকারি

নিরামিষ তরকারি একটি জনপ্রিয় বাঙালি নিরামিষ পদ যা বিভিন্ন সবজি দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর।

ইতিহাস

সম্পাদনা

নিরামিষ তরকারি বহু যুগ ধরে বাঙালি রান্নার একটি অংশ হিসেবে পরিচিত। এটি বিভিন্ন উৎসব ও অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে পরিবেশন করা হয়।

নাম উপকরণ
আলু ২০০ গ্রাম
ফুলকপি ১৫০ গ্রাম
গাজর ১০০ গ্রাম
মটর ১০০ গ্রাম
টমেটো ৫০ গ্রাম
সরষের তেল ২ টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ
জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ
ধনিয়া গুঁড়া ১ চা চামচ
কাঁচা মরিচ ৪-৫ টি
লবণ স্বাদমতো
পানি ১ কাপ

প্রস্তুত প্রণালী

সম্পাদনা
  1. সবজি কাটা: সব সবজিগুলো ধুয়ে ছোট টুকরো করে কেটে নিন।
  2. মশলা প্রস্তুত করা: সরষের তেল গরম করে তাতে জিরা ফোড়ন দিন। এরপর পিঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে ভাজুন।
  3. তরকারি রান্না করা: এরপর কাটা সবজি, হলুদ গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া, জিরা গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। সবজিগুলো সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত মাঝারি আঁচে রান্না করুন।
  4. পানি যোগ করা: সবজি কিছুটা ভাজা হয়ে এলে এক কাপ পানি যোগ করে ঢেকে দিন। সবজিগুলো ভালোভাবে সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
  5. পরিবেশন: তরকারি রান্না হয়ে গেলে গরম গরম পরিবেশন করুন।

পরিবেশন

সম্পাদনা

নিরামিষ তরকারি গরম ভাত বা রুটি সঙ্গে পরিবেশন করা যায়। উপরে কিছু ধনিয়া পাতা ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করা যেতে পারে।

পুষ্টিগুণ

সম্পাদনা

নিরামিষ তরকারি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার রয়েছে যা শরীরের জন্য উপকারী।

জনপ্রিয়তা

সম্পাদনা

বাঙালি সমাজে নিরামিষ তরকারি খুবই জনপ্রিয়। এটি একটি স্বাস্থ্যকর এবং মজাদার পদ যা সাধারণত পরিবারিক খাওয়াদাওয়ার অংশ হিসেবে পরিবেশন করা হয়।

প্রাসঙ্গিক তথ্য

সম্পাদনা
  • তরকারির স্বাদ ও গুণমান উন্নত করতে তাজা সবজি ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • বিভিন্ন স্বাদে তরকারি তৈরি করতে বিভিন্ন প্রকার মশলা বা সুগন্ধি ব্যবহার করা যায়।