রন্ধনপ্রণালী:পানিফল ভর্তা

পানিফল ভর্তা
রন্ধনপ্রণালী বিভাগ	ভর্তা
পরিবেশন	৪-৬ জন
খাদ্য শক্তি	৭০ ক্যালরি (প্রতি ১০০ গ্রাম)
তৈরির সময়	৩০ মিনিট
কষ্টসাধ্য
টীকা	ঐচ্ছিকভাবে ধনে পাতা যোগ করা যেতে পারে

রন্ধনপ্রণালী সূচিপত্র | প্রস্তুতপ্রণালী | উপকরণ সমূহ

পানিফল ভর্তা

পানিফল ভর্তা একটি জনপ্রিয় বাঙালি খাবার যা বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে প্রচলিত। এটি পানিফল এবং মশলা দিয়ে তৈরি করা হয়। পানিফল ভর্তা তার মশলাদার ও সুগন্ধি স্বাদের জন্য বিখ্যাত।

ইতিহাস

পানিফল ভর্তার উৎপত্তি ও প্রসার অনেক প্রাচীন এবং এটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে এটি খুব জনপ্রিয়।

উপকরণ

নাম	উপকরণ
পানিফল	৫০০ গ্রাম
পেঁয়াজ কুচি	১ কাপ
রসুন বাটা	১ চা চামচ
আদা বাটা	১ চা চামচ
কাঁচা মরিচ কুচি	২-৩ টি
লাল মরিচ গুঁড়া	১ চা চামচ
সরিষার তেল	২ টেবিল চামচ
ধনে পাতা কুচি	২ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
লবণ	স্বাদমতো

প্রস্তুত প্রণালী

পানিফল সিদ্ধ ও ছোলা: প্রথমে পানিফলগুলোকে সেদ্ধ করে নিতে হবে। সেদ্ধ হওয়ার পর ঠান্ডা করে খোসা ছাড়িয়ে নিন।
ভর্তা তৈরি করা: সেদ্ধ পানিফলগুলোকে একটি পাত্রে রেখে ভালভাবে চটকে নিন। চটকানো পানিফলে পেঁয়াজ কুচি, রসুন বাটা, আদা বাটা, কাঁচা মরিচ কুচি, লাল মরিচ গুঁড়া, এবং লবণ দিয়ে মিশিয়ে ভালভাবে মেখে নিন।
সরিষার তেল যোগ করা: ভর্তায় সরিষার তেল যোগ করে ভালভাবে মিশিয়ে নিন। তেলের পরিমাণ আপনার স্বাদ অনুযায়ী বাড়াতে বা কমাতে পারেন।
ধনে পাতা যোগ করা (ঐচ্ছিক): মিশ্রণটিতে ধনে পাতা কুচি যোগ করে ভালভাবে মিশিয়ে নিন।

পরিবেশন

পানিফল ভর্তা সাধারণত ঠান্ডা বা রুম টেম্পারেচারে পরিবেশন করা হয়। এটি সাদা ভাতের সাথে খাওয়া যেতে পারে। পানিফল ভর্তা পরিবেশন করার আগে উপরে কিছু ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে দিতে পারেন।

পুষ্টিগুণ

পানিফল ভর্তা পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শরীরের জন্য উপকারী।

প্রাসঙ্গিক তথ্য

পানিফল ভর্তার স্বাদ ও গুণমান উন্নত করতে তাজা এবং পরিষ্কার পানিফল ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিভিন্ন স্বাদে পানিফল ভর্তা তৈরি করতে বিভিন্ন প্রকার মশলা বা সুগন্ধি ব্যবহার করা যায়।