রন্ধনপ্রণালী:পিয়াজ পোস্ত

পিয়াজ পোস্ত
রন্ধনপ্রণালী বিভাগ তরকারি
পরিবেশন ৪ জন
খাদ্য শক্তি ১৫০ ক্যালরি (প্রতি ১০০ গ্রাম)
তৈরির সময় ৩০ মিনিট
কষ্টসাধ্য
টীকা ঐচ্ছিকভাবে কাঁচা মরিচ যোগ করা যেতে পারে

রন্ধনপ্রণালী সূচিপত্র | প্রস্তুতপ্রণালী | উপকরণ সমূহ

পিয়াজ পোস্ত

পিয়াজ পোস্ত একটি জনপ্রিয় বাঙালি তরকারি যা বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গবাংলাদেশে প্রচলিত। এটি পেঁয়াজ এবং পোস্তদানা (খসখস) দিয়ে তৈরি করা হয়। পিয়াজ পোস্ত তার সহজ প্রস্তুতি এবং মৃদু মশলাদার স্বাদের জন্য বিখ্যাত।

ইতিহাস

সম্পাদনা

পিয়াজ পোস্ত-এর উৎপত্তি এবং প্রসার অনেক প্রাচীন এবং এটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সহজ উপকরণ এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে তৈরি করা যায় বলে এটি বাঙালি রান্নাঘরের একটি প্রিয় পদ।

নাম উপকরণ
পেঁয়াজ ৩-৪ টি (মাঝারি আকারের, পাতলা কাটা)
পোস্তদানা (খসখস) ৩-৪ টেবিল চামচ
রসুন ২-৩ কোয়া (ঐচ্ছিক)
কাঁচা মরিচ ২-৩ টি (ঐচ্ছিক)
হলুদ গুঁড়া ১/২ চা চামচ
লাল মরিচ গুঁড়া ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
সরষের তেল ২ টেবিল চামচ
লবণ স্বাদমতো
চিনি ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক)

প্রস্তুত প্রণালী

সম্পাদনা
  1. পোস্তদানা পেস্ট তৈরি: প্রথমে পোস্তদানা কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর কাঁচা মরিচ এবং রসুন (ঐচ্ছিক) দিয়ে মিহি পেস্ট তৈরি করুন।
  2. পেঁয়াজ ভাজা: কড়াইয়ে সরষের তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা বাদামি করে ভাজুন।
  3. মশলা মেশানো: পেঁয়াজ ভাজা হলে তাতে হলুদ গুঁড়া, লাল মরিচ গুঁড়া (ঐচ্ছিক), এবং লবণ দিয়ে ভালভাবে মেশান।
  4. পোস্ত পেস্ট যোগ করা: এবার পোস্ত পেস্ট মিশিয়ে ভালভাবে কষাতে থাকুন। কষানো হলে অল্প পানি দিয়ে ঢেকে ১০-১৫ মিনিট রান্না করুন।
  5. শেষ পর্যায়: রান্না শেষের দিকে চিনি (ঐচ্ছিক) যোগ করে আরও ২-৩ মিনিট রান্না করে নামিয়ে নিন।

পরিবেশন

সম্পাদনা

পিয়াজ পোস্ত সাধারণত গরম গরম পরিবেশন করা হয়। এটি সাদা ভাতের সাথে খাওয়া যেতে পারে। এটি সাদা ভাতের সাথে খুবই সুস্বাদু লাগে।

পুষ্টিগুণ

সম্পাদনা

পিয়াজ পোস্ত পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শরীরের জন্য উপকারী।

জনপ্রিয়তা

সম্পাদনা

বাঙালি সমাজে পিয়াজ পোস্ত খুবই জনপ্রিয়। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী তরকারি যা বিশেষ করে দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় থাকে। এর মৃদু মশলাদার স্বাদ সকলের মন জয় করে।

প্রাসঙ্গিক তথ্য

সম্পাদনা
  • পিয়াজ পোস্তের স্বাদ ও গুণমান উন্নত করতে পোস্তদানা আগে থেকে ভেজে নেওয়া যেতে পারে।
  • বিভিন্ন স্বাদে পিয়াজ পোস্ত তৈরি করতে বিভিন্ন প্রকার মশলা বা সুগন্ধি ব্যবহার করা যায়।