রন্ধনপ্রণালী:বেগুনের পিঠা

বেগুনের পিঠা
রন্ধনপ্রণালী বিভাগ পিঠা
পরিবেশন ৪-৬ জন
খাদ্য শক্তি ২০০ ক্যালরি (প্রতি ১০০ গ্রাম)
তৈরির সময় ১ ঘন্টা
কষ্টসাধ্য
টীকা ঐচ্ছিকভাবে নারকেল বা গুড় যোগ করা যেতে পারে

রন্ধনপ্রণালী সূচিপত্র | প্রস্তুতপ্রণালী | উপকরণ সমূহ

বেগুনের পিঠা

বেগুনের পিঠা একটি ঐতিহ্যবাহী বাঙালি পিঠা যা প্রধানত বেগুন এবং মশলা দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি বিভিন্ন উৎসব এবং অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয়।

ইতিহাস

সম্পাদনা

বেগুনের পিঠা বাঙালি সংস্কৃতির একটি পুরনো অংশ এবং এটি প্রধানত গ্রামাঞ্চলে তৈরি করা হয়। বিশেষ করে শীতকালে এই পিঠার প্রচলন বেশি।

নাম উপকরণ
বেগুন ২টি বড়
চালের গুঁড়া ২ কাপ
লবণ স্বাদমতো
পানি প্রয়োজনমতো
তেল ভাজার জন্য
কাঁচা মরিচ কুচি ২-৩টি (ঐচ্ছিক)
পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ
ধনে পাতা কুচি ১ টেবিল চামচ
গুড় ১ কাপ (ঐচ্ছিক)
নারকেল কুরানো ১ কাপ (ঐচ্ছিক)

প্রস্তুত প্রণালী

সম্পাদনা
  1. বেগুন প্রস্তুত করা: প্রথমে বেগুনগুলো ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কাটুন এবং সামান্য লবণ মাখিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট।
  2. চালের গুঁড়ার মিশ্রণ তৈরি: চালের গুঁড়া, লবণ, এবং পরিমাণমতো পানি মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন।
  3. বেগুন ভাজা: প্যানে তেল গরম করে বেগুনগুলো হালকা বাদামি করে ভেজে তুলে রাখুন।
  4. পিঠা তৈরি: চালের গুঁড়ার মিশ্রণে ভাজা বেগুনগুলো ডুবিয়ে নিন এবং প্যানে তেলে সোনালি বাদামি করে ভেজে তুলুন।
  5. ঐচ্ছিকভাবে মিষ্টি ভরাট করা: পিঠার ভেতরে নারকেল কুরানো এবং গুড়ের মিশ্রণ ভরে দিতে পারেন।

পরিবেশন

সম্পাদনা

বেগুনের পিঠা গরম গরম পরিবেশন করা হয়। এটি চা বা কফির সাথে পরিবেশন করা যেতে পারে। পরিবেশন করার আগে উপরে কিছু ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে দিতে পারেন।

পুষ্টিগুণ

সম্পাদনা

বেগুনের পিঠা পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শরীরের জন্য উপকারী।

জনপ্রিয়তা

সম্পাদনা

বাঙালি সমাজে বেগুনের পিঠা একটি জনপ্রিয় পিঠা। এটি বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় বেশি প্রচলিত এবং বিভিন্ন উৎসব ও অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয়।

প্রাসঙ্গিক তথ্য

সম্পাদনা
  • বেগুনের পিঠার স্বাদ ও গুণমান উন্নত করতে বাড়িতে তৈরি চালের গুঁড়া ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • বিভিন্ন স্বাদে বেগুনের পিঠা তৈরি করতে বিভিন্ন প্রকার মশলা বা সুগন্ধি ব্যবহার করা যায়।