রন্ধনপ্রণালী:মাটন রেজালা

মাটন রেজালা
পরিবেশন ৩-৪ জন
তৈরির সময় ৪০-৪৫ মিনিট
কষ্টসাধ্য


মাটন রেজালা

রুটি বা পরোটার সঙ্গে খাওয়ার জন্য মাটন রেজালা একটি বিশেষ পদ। রোজ খাওয়ার মতো মাটন কষা বা মটন কারির থেকে এর স্বাদ সম্পূর্ণ আলাদা হয়।

নাম উপকরণ
মাটন ৫০০ গ্রাম
আদা-রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ
পেঁয়াজ কুচি ২টি
টকদই ২৫০ গ্রাম
কাজু কিসমিস ও পোস্তবাটা ১/২ কাপ
শাহি জিরা ১ চা-চামচ
দারচিনি ১ টুকরো
লবঙ্গ ২টি
ছোট এলাচ ২টি
তেজপাতা ২টি
লাল লঙ্কার গুঁড়ো ১ চা-চামচ
গরম মশলা গুঁড়ো ১ চা-চামচ
গোটা গোলমরিচ ১/৪ চা চামচ
শুকনো লঙ্কা ১টি
নুন ও চিনি স্বাদ অনুযায়ী
তেল প্রয়োজনমতো
ঘি ১ চামচ

রন্ধনপ্রণালী

সম্পাদনা
  1. মাংস ভালো করে ধুয়ে নুন, আদা-রসুনবাটা ও অর্ধেক পরিমান দই দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে ২ ঘণ্টা জারনের (ম্যারিনেশন) জন্য রেখে দিন।
  2. তারপর কুকারে পরিমাণমতো জল দিয়ে মাংস অর্ধেক সেদ্ধ করে নিন।
  3. এরপর কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে গোটা গরম মশলা (দারচিনি, লবঙ্গ, ছোট এলাচ), গোলমরিচ, শুকনো লঙ্কা, শাহি জিরা ও তেজপাতা ফোড়ন দিন।
  4. ফোড়নের গন্ধ বার হলে তাতে দিয়ে দিন পেঁয়াজ কুচি। পেঁয়াজে হালকা সোনালি রং ধরলে অর্ধেক সেদ্ধ করা মাংস দিয়ে দিন। জলটা দেবেন না। ভালো করে কষাতে থাকুন।
  5. মাংসের থেকে জল বেরোতে শুরু করলে ঢাকা দিয়ে দিয়ে কষান।
  6. একটা বাটিতে দই ফেটিয়ে নিন এবং তাতে আন্দাজ মতো নুন ও লাল লঙ্কার গুঁড়ো মিশিয়ে নিন।
  7. এই মিশ্রণ মাংসের মধ্যে দিয়ে দিন।
  8. মাংস পুরোপুরি সেদ্ধ হয়ে গেলে কাজু কিসমিস ও পোস্তবাটা মিশিয়ে নিন।
  9. নুন ঠিক হয়েছে কিনা দেখে নিন।
  10. আরও কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করুন। তারপর সেদ্ধ করা মাটনের জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন।
  11. ঘি ও গরম মশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
রুটি-পরোটা বা পোলাওয়ের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন